আমি নির্দোষ, দুদককে দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে: জাহাঙ্গীর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ মে,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:২৩ এএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দিয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি বলেন, আমি কোনও দুর্নীতি করিনি। রবিবার (২১ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নোটিশের জবাব দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিনা কারণে দুদককে ব্যবহার করে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে বিপুল ভোটে তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। তিন বছরের মাথায় ঢাকা থেকে চিঠি দিয়ে অবৈধভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এই তিন বছরে সরকারের কাছ থেকে সম্মানি ভাতাসহ কোনও সুবিধা গ্রহণ করিনি।
তিনি বলেন, সরকার আমাকে দুটি প্রজক্টে মাত্র ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। কিন্তু দুদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে আমার বিরুদ্ধে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির কাল্পনিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের প্রচারণা চলছে। আমার জন্মদানকারী মা মেয়র প্রার্থী, আমি প্রধান সমন্বয়কারী। ২৫ তারিখে ভোট। আজ ও আগামীকাল নির্বাচনের প্রচারণা শেষ দিন। ২১ ও ২২ তারিখ নির্বাচনের প্রচারণা শেষ দিন। এমন সময় দুদক আমাকে ডেকেছে। নির্বাচনের সময় আজ কেন আমাকে আসতে বাধ্য করলো? একটি মহল দুদককে ব্যবহার করে আমাকে হয়রানি করছে।
গত ১৮ মে দুর্নীতির অভিযোগে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহের জন্য এক মাস সময় চান জাহাঙ্গীর আলম। তবে অভিযোগের অনুসন্ধানের শেষ পর্যায়ে তার বক্তব্য প্রয়োজন। এ কারণেই তাকে তলব করা হয়েছে বলে জানায় দুদক। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করা হয়।
ভুয়া ব্যাংক হিসাবে অবৈধভাবে টাকা লেনদেন, বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে পাঠানো নোটিশে ২১ ও ২২ মে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক আলী আকবরের নেতৃত্বে দুটি আলাদা অনুসন্ধান টিম জাহাঙ্গীর আলমকে তলব করে। দুই টিমের অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলিয়াজ হোসেন ও মো. আশিকুর রহমান।
এ বিষয়ে গত ১৭ মে সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছিলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনায় ২০২০ সালের একটি অভিযোগ ও ২০২২ সালের আরও একটি অভিযোগ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইতোমধ্যে অনেকেরই বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। অনেক কাগজপত্রও সংগ্রহ করা হয়েছে।