আওয়ামী লীগ একা ভোট করলে অন্যদের সামনে বিকল্প কী ?
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ মার্চ,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:০১ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বিএনপি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষাবধি না এলেও নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কীভাবে ও কোন প্রক্রিয়ায় আগামী নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করা হবে তা জনগণের সামনে এক বড় রহস্য। প্রতিটি নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল গ্রহণের কৃতিত্ব যেমন আওয়ামী লীগকে দিতে হয়, তেমনি নির্বাচনের পূর্বাবধি সেই কৌশল পুরোপুরি গোপন রাখার কৃতিত্বও তাদের। এই যে ‘কেউ কিছু জানে না পরিস্থিতি’, তা রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেককে ফেলেছে মহাবিপদে।
তবে আগামী নির্বাচনের কৌশল সম্পর্কে যে টুকু জানা যাচ্ছে তা হলো ‘স্বতন্ত্র’ মোড়কে ডামি ও বিদ্রোহীসহ প্রতি আসনে গড়ে ৮-১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মাধ্যমে অংশগ্রহণমূলক করার কৌশলকে অগ্রাধিকার দিতে পারে আওয়ামী লীগ। যদি আওয়ামীলীগ এই ’একা’ নির্বাচন করার কৌশল অবলম্বন করে সেক্ষেত্রে অন্যদের সামনে বিকল্প কি? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রতিবেশ-পরিবেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সেই সুযোগ ও সম্পূর্ণ সক্ষমতা রয়েছে। এককভাবে নির্বাচন করতে তাদের কোন বেগ পেতে হবে না। এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের শরিকরা। ইত্তেফাকের সঙ্গে কথা বলেছেন ১৪ দলের শরিক ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া। তারা এই পরিস্থিতির উদ্ভব হলে নতুন মেরুকরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারা বলছেন,অবস্থার প্রেক্ষিতে সবকিছু হবে। নির্বাচনে বিরত না থেকে সমমনাদের নিয়ে বৃহত্তর জোট হতে পারে। অথবা নিজস্ব প্লাটফরম থেকে নির্বাচন করা যেতে পারে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক অভিজ্ঞ এবং বিচক্ষণ একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। তারা এখনো নির্বাচন নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোন আলোচনা করেনি। পরিস্থিতি যদি তেমন হয় তবে তখন আমরা আমাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিবো।বৃহত্তম জোট করতে পারি অথবা এককভাবেও নির্বাচন করতে পারি। যেটা সুবিধাজনক হবে সেটাই করা যেতে পারে। তবে আমি জানি আওয়ামীলীগ এককভাবে নির্বাচন করবে না।সেধরনের কোন সিদ্ধান্তও তাদের নেই।
হাসানুল হক ইনু বলেন, আমি যতটুকু জানি আওয়ামী লীগ এমন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি আর করবে এমন সম্ভাবনাও দেখছি না। যদি আওয়ামীলীগ ’ডামি’ প্রার্থী নিয়ে একা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয় তা হবে তাদের জন্য আত্মঘাতির কারণ। ১৪ দলীয় জোটকে নিষ্ক্রিয় করার সময় এখন নয়। আরও শক্তিশালী করাটাই এখন সবচেয়ে বিচক্ষণতার কাজ। কারণ বিএনপি-জামায়াত জঙ্গীসহ তাদের সঙ্গী দলগুলো সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করে যাচ্ছে।ভোটের পরেও তারা পাকিস্তানের চক্রান্তে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখবে।
ইনু বলেন, আওয়ামীলীগ যদি মনে করে তারা জোটকে পৃথক করে দিয়ে একা নির্বাচন করবে সেক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত কি হবে তা এখনো আমরা চিন্তা করিনি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে সিদ্ধান্ত।
দিলীপ বড়ুয়া বলেন,বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ১৪ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে এটাই বাস্তবতা।এর কোন বিকল্প নেই।আওয়ামীলীগ যদি একা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয় সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মেরুকরণের উদ্ভব হতে পারে। সমমনাদের নিয়ে আমরা বৃহৎ জোট গঠনকে প্রাধান্য দিবো।যেহেতু এখনও আমরা জানি না আওয়ামীলীগ কি করবে তাই সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো আসেনি। তিনি বলেন,১৪ দলে এমন কোন আলোচনা হয়নি যে আওয়ামীলীগ একা নির্বাচন করবে। আওয়ামীলীগ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন কোন সিদ্ধান্ত নিবেন বলে মনে হয় না। কারণ উনি রাজনীতিতে অনেক প্রাজ্ঞ-অভিজ্ঞ।