avertisements 2

৩০ হাজার মানুষের চলাচলের ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৪৩ এএম, ২৩ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ছয় গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বারো মাসিয়া নদীতে বাঁশের সেতু। অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয় অন্তত ৩০ হাজার মানুষকে। এ সেতু দিয়ে চলাচলে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও রোগীরা। দীর্ঘদিনেও সেতু তৈরি না হওয়ায় কিংবা বাঁশের সেতু সংস্কারের উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে নির্বাচন শেষে কোনো খবর রাখেন না। কৃষিনির্ভর এ অঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না থাকায় উৎপাদিত পণ্য সময়মতো পৌঁছানো যায় না। ফলে চাষিরা হচ্ছেন ক্ষতির সম্মুখীন। তারা ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বারো মাসিয়া নদীর ওপর বাঁশের সেতুটি নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছেন গ্রামের মানুষ। এ সেতু দিয়ে ছয়টি গ্রামের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ চলাচল করছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। সেতুর পশ্চিম দিকে রয়েছে কান্তাপাড়া, ঝাউকুটি ও চর গোরুকমন্ডপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফয়জুল উলুম মাদ্রাসা এবং গোরুকমন্ডপ কমিউনিটি ক্লিনিক। 
 
পূর্বদিকে রয়েছে পশ্চিম ফুলমতি, বালাহাট ও নাওডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পশ্চিম ফুলমতি উচ্চ বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিক। দুই প্রান্তের গ্রামগুলোর যোগাযোগের সংযোগস্থল হওয়ায় এ সেতু দিয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এ রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে চলাচল করাও ভীষণ কষ্টের। এলাকাবাসী তাদের নিজের প্রয়োজনে চাঁদা সংগ্রহ করে প্রতিবছরই মেরামত করেন সেতুটি।

নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতেমা, নুর মোহাম্মদ, আলোমনি জানায়, এ সেতু দিয়ে চলাচল করতে তাদের খুব কষ্ট হয়। পা পিছলে পড়ে অনেকেরই আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিম ফুলমতি গ্রামের মীর হোসেন বলেন, একটি সেতুর অভাবে ১৮ বছর ধরে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে আমরা এলাকাবাসী বেঁচে আছি। সুস্থ মানুষ বাঁশের এ সেতু দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছেন।

সেতু মেরামতকারী শাহাজামাল আলী বলেন, সাত বছর ধরে বাঁশের সেতুটি প্রতিদিন মেরামত করে আসছি। এলাকাবাসীর কাছ থেকে বাঁশ ও ধানের বিনিময় সেতুটি প্রতিদিন সংস্কার করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাছেন আলী বলেন, বারো মাসিয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণ খুবই প্রয়োজন। অনেক আগে থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আসিক ইকবাল রাজিব বলেন, এ নদীর ওপর ৩০ মিটার সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইতোমধ্যে সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2