ইউপি নির্বাচনের ভোটে বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রীর লড়াই
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:১৭ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে একটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বাবা-ছেলে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই পদে অন্য আরেকটি ইউনিয়নে স্বামী-স্ত্রী মনোনয়নপত্র জমা দেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস জানায়, তৃতীয় দফায় নাগেশ্বরী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে ২৮ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ২ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল এ উপজেলায়। এতে ১৪ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৯৭ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৭৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৯৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এরমধ্যে উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি শফিউল আলম শফি এবং তার ছেলে এস এম ফয়সাল শামীম। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে তাদের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা দেয় নির্বাচন অফিস।
এদিকে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম। তাদের মনোনয়নও যাচাই-বাছাইয়ে বৈধ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার যাচাই-বাছাইয়ে চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থীর মনোনয়ন বাদ পড়ে। তারা হলেন নেওয়াশী ইউনিয়নের বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী আবদুল মান্নান, নুনখাওয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী সাবুল হোসাইন, রামখানা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সাত্তার ও বল্লভেরখাসের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুর আলম প্রধান। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে আটজন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৫ জনের মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন অফিস।
এদিকে একই ইউনিয়নে বাবা-ছেলে এবং অপর এক ইউনিয়নে স্বামী-স্ত্রী প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নানান রকম আলোচনার জন্ম দিয়েছে। নির্বাচনী এলাকা ছাপিয়ে এ আলোচনা বর্তমানে উপজেলা জুড়ে। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াইয়ে তারা থাকবেন কিনা এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন তাদের মধ্য থেকে যেকোনো একজনের মনোনয়নপত্র অবৈধ হতে পারে এমন শঙ্কা থেকে নিজেদের আরেকজনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। সময়ের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে পারেন। যদিও তা নিশ্চিত হতে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বামী-স্ত্রী প্রার্থী হওয়া নিয়ে স্বামী আমজাদ হোসেন ব্যাপারী বলেন, ‘আমার ভোটের মাঠ ভালো। আমাকে জনগণ সমর্থন করছে। আমার স্ত্রীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হবে।’
ভিতরবন্দ ইউনিয়নের শফিউল আলম শফি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে থাকব। ছেলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবে।’
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, যাচাই-বাছাইয়ে চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এরমধ্যে বামনডাঙ্গা ও ভিতরবন্দ ইউনিয়নের কেউ নেই। স্বামী-স্ত্রী, বাবা-ছেলে প্রার্থীর বিষয়টি জানা নেই।’
তিনি বলেন, ‘১১ নভেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যারের শেষ দিন। এরপর ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ নভেম্বর। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি চলছে।’
ভিতরবন্দ ইউনিয়নে বাবা-ছেলেসহ ৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। বামন ডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বামী-স্ত্রীসহ চেয়ারম্যান পদে আটটি মনোনয়ন বৈধ হয়েছে।