avertisements 2

বীরাঙ্গনা দাবি করা সেই আ’লীগ নেত্রী দল থেকে বহিষ্কার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০২:৪৩ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২০ | আপডেট: ০৭:০৬ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

জালিয়াতির মাধ্যমে বীরাঙ্গনা খেতাব পেতে আবেদন করে গেজেটভুক্ত হওয়ার জন্য জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) আবেদনকারী জয়পুরহাট সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আছমা বিবিকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে- বয়স, জন্ম নিবন্ধন, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন প্রত্যয়নপত্র জালিয়াতির আশ্রয় নেন তিনি। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেবেকা সুলতানা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা বেগম নায়না উপস্থিত হয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ বিষয়টি অবগত করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান আছমা বিবির জাতীয় পরিচয়পত্র হিসেবে ১৯৭১ সালে ৮ বছর ৩ মাস বয়স থাকলেও, তিনি নিজেকে সেসময় ২১ বছরের একজন যুবতী বলে দাবি করেন এবং তার জন্ম ১৯৫০ সালে উল্লেখ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের ১৯৬২ সালের জন্ম তারিখ সংশোধনের আবেদনও করেন তিনি।

বীরাঙ্গনা স্বীকৃতি চেয়ে ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর জামুকা মহাপরিচালক বরাবর একটি আবেদন করেন আসমা বিবি। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সদর উপজেলায় কর্মরত ৫ সদস্যের সরকারি নারী কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শাহনাজ সিগমা কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়াই রিপোর্ট দেন।

এ খবর পেয়ে জয়পুরহাট প্রতিনিধি আওয়ামী লীগের সভাপতি আজম আলী বিষয়টি জালিয়াতি বলে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন এরপরে শুরু হয় গুঞ্জন।

এদিকে, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমজাদ হোসেন এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আফছার উদ্দিন আসমার জন্ম তারিখ ১৯৬২ দেখে তার বিরুদ্ধে সুপারিশ করেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আফছার উদ্দিন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স আট বছর ছিল বলে সুপারিশ করা হয়েছে।

জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেবেকা সুলতানা বলেন, যেহেতু আসমার বীরাঙ্গনা হওয়ার বিষয়টি বিতর্কিত তাই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আসমা বিবি জানান, তার সব কাগজপত্র সঠিক। মহাযুদ্ধের সময় তার বয়স একুশ বছর ছিল এবং পাকিস্তানী সৈন্যরা তাকে ক্যাম্পে নিয়ে নির্যাতন করেছে। এতদিন লজ্জায় কাউকে বলেননি। জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল করে তার বয়স কম দিয়েছে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা সব যাচাই করেই সুপারিশ দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2