জালাল উদ্দিন আহমেদ
মুক্তিযুদ্ধঃ খন্ডিত চেতনা
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ জুন,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৫৩ এএম, ২৫ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৪
পূর্ব প্রকাশিতের পর………
৩
কথার পিঠে কথা থেকে যায়। পাকিস্তান সৃষ্টি এবং এর ভিশনারী জরিপ ও বিশ্লেষনে আমরা কি সময় দিয়েছি? পাকিস্তানী উন্মাদনায় যে ধর্মীয় জাতি স্বত্ত্বার জন্ম দেয়া হোল তার যথার্থতা নিয়ে কোন প্রশ্ন কি কেউ সাতচল্লিশের ১৪ আগষ্ট সকাল বেলায় করেছিলেন? অন্ততঃ ক্ষমতার দন্ডমুন্ডের আশেপাশে যাদের বিচরন ছিল তারা কেউ এটা নিয়ে টু শব্দটিও করেছেন কি না তা ইতিহাসই সাক্ষ্য দেবে। আর যারা এই বাংলা বিভাজন ও পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধিতায় আমৃত্যু বলে গেছেন তারা অন্ততঃ আমজনতার কাছের মানুষ হয়ে কখনোই রাজনীতির মাঠে ছিলেন বলে আমার কাছে মনে হয় না। তাছাড়া সময়ের বাস্তবতায় সে সময়ের ধর্মীয় বিষাক্ত ছোবলে জাতিগত অস্মিতা তখন এই উপমহাদেশে টালমাটাল অবস্থানে বিরাজ করছিল। ফলে মুসলিম লীগের শ্লোগান "মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র" সাধারন মানুষের কাছে আপন বলেই মনে হয়েছে। একটি অখন্ড জাতি স্বত্ত্বাকে ভেঙ্গে চুরমার করে শুধুমাত্র ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে বাঙালীর অস্তিত্ত্বে যে কুঠারাঘাত করা হোল তার উত্তর কোথায়? মুসলিম রাষ্ট্র বানানোর উন্মাদনায় বাঙালী স্বত্ত্বার একটি অংশকে রীতিমত বিতাড়নের মাধ্যমে অন্য জাতিস্বত্ত্বার মানুষদেরকে এনে তার শুন্যস্থান পুরনের অপচেষ্টায় যারা পাকিস্তান আন্দোলনকে চাঙ্গা করতে চেয়েছিলেন, সেই শেরওয়ানী জিন্নাহ ক্যাপের উত্তরসুরীরা তো আজ একাত্তরের চেতনার কাঠগড়ায়।
সাতচল্লিশের ভারত ভাগের ধর্মীয় উন্মাদনায় এই উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে রক্তক্ষরন হয়েছিল তা নেহাত নগন্য ছিল না। সদ্য স্বাধীন ভারতবর্ষ তিন খন্ডে ভাগ হয়ে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম দিল। হিন্দি ভাষাভাষি ও হিন্দু ধর্মীয় সংখ্যাধিক্যের মূল ভূখন্ডটি ভারত নামেই তার অস্তিত্ত্ব বজায় রাখলো। আর পশ্চিম ও পুবের দুটি মুসলিম সখ্যাধিক্যের ভূখন্ড নিয়ে সৃষ্টি হলো পাকিস্তান নামক একটি মুসলিম রাষ্ট্র। ভারত ভাগের ফলে ধর্মীয় বিভাজন প্রকাশ্য রূপ নেয়াতে ভারতীয় ভূখন্ড হতে মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অংশ নিজেদের শেষ আশ্রয়স্থল হিসাবে পাকিস্তান মুখী হলো আর হিন্দু সম্প্রদায় তাদের বাসযোগ্য ভূমি হিসাবে হিন্দুস্থানের দিকে মুখ ঘুরালো। হিন্দুস্থান বা ভারত হিন্দুদের জন্য ঘোষিত কোন রাষ্ট্র নয়। তবে হিন্দুত্ববাদের(২) নিরঙ্কুশ আধিপত্য রক্ষার্থে মুসলিম লীগের ধর্মীয় ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টিতে নেহেরু-প্যাটেল বলয়ের খুব ওজর আপত্তি ছিল বলে মনে হয় নি। তারা হিন্দুত্ববাদের ছাতা মাথায় রেখে সর্ব ধর্মের রাষ্ট্র হিসাবে ভারত রাষ্ট্রের ভিত মজবুত করার কাজে মনোনিবেশ করেন।
স্বাধীনতা উত্তর সাম্প্রদায়িক জিঘাংসায় সদ্য স্বাধীন দুটি রাষ্ট্রকে শরণার্থী বা মোহাজের সমস্যায় কয়েকটি বছর তটস্থ থাকতে হয়েছে। বৃহত্তর বাংলায় বাঙালীদের ধর্ম ভিত্তিক আদান প্রদানে হিন্দুরা যেভাবে পুর্ব বাংলা ছেড়েছিলেন সেই হারে পশ্চিম বাংলার মুসলমান বাঙালীরা এদেশে এসেছিলেন বলে মনে হয় না। বৃহত্তর বাংলার পশ্চিম বঙ্গের কোলকাতা ও সীমান্ত সংলগ্ন দাঙ্গা বিদ্ধস্ত জেলাগুলি হতে বাঙালী মুসলিমরা পুবে এসছিলেন। তাছাড়া ভারত একটি ঘোষিত ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানকার মুসলিমরা বাপ দাদার ভিটে মাটিতে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেছে। অন্যদিকে পুর্ব বঙ্গ যেহেতু ঘোষিত মুসলিম রাষ্ট্র সেহেতু এখান থেকে হিন্দু বিতাড়নের আয়োজনটা সরকারী মদতেই করা হয়েছিল বলে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়(৩)। তবে হিন্দু বিতাড়নের শুন্যস্থান পুরন করার জন্য তৎসময়ের মুসলিম লীগ নেতারা যেভাবে বাঙাল মুলুকে ভিন জাতীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর আগমন ঘটিয়েছিলেন তাতে করে এতদাঞ্চলে এক মিশ্র জাতিস্বত্ত্বার দ্বারোদঘাটন হয়েছিল বলে বিজ্ঞজনেরা বলে থাকেন। সেক্ষেত্রে মুসলিম লীগ নেতারা ভাষা ও জাতিস্বত্ত্বার গুরুত্বের চেয়ে ধর্ম চেতনায় মুসলমানদেরকে এক নিক্তিতে ফেলে পাকিস্তান আন্দোলন চাঙ্গা করতে চেয়েছিলেন। জাতপাত ভাষা সংস্কৃতির মুল্যায়ন না করে পাকিস্তান রাষ্ট্রটির বিশেষ করে এর পুর্বাঞ্চলে এক শংকর জাতিস্বত্ত্বার সুত্রপাত করা হয়েছিল যা মোটেই বিবেচনা প্রসূত হয়নি বলে সমাজ বিজ্ঞানীরা মনে করেন। সরল উচ্চারনে বলতে দ্বিধা নেই যে পাকিস্তানী দাওয়াইয়ের ঝান্ডা হাতে যারা এই ভূখন্ডে এসেছিলেন তারা মনে প্রানে কখনোই বাঙালী হিসাবে নিজেদেরকে ভাবতে পারেন নি।
নিজেদের আধিপত্য ও রাজ কায়েম করার স্বার্থে পশ্চিমা প্রশাসক ও বেনিয়ারা তাদের প্রশাসন ও বানিজ্যে এখানে ব্যাপক বিনিয়োগ ঘটাতে থাকে। সবুজ শ্যামল বাংলা যে সোনাফলা মাটির দেশ তা তারা অল্প সময়েই বুঝে ফেলেন। ফলে তারা ওই দেশত্যাগী ছাপোষা বাঙালীদের (ঘটি) কেরানী হিসাবে সিভিল প্রশাসনে এবং স্বল্প শিক্ষিত বা অশিক্ষিত নন বেঙ্গলীদের মিল কারখানা ও আইন শৃংখলা বাহিনীতে ব্যাপকভাবে নিয়োজিত করতে থাকেন। পাকিস্তান আন্দোলনের বৈশিষ্ঠগুলির মধ্যে কিছু কিছু বিষয় সামাজিকভাবে দৃষ্টিকটু লেগেছে। তখন দেখা যেত ভারতের পশ্চিম বঙ্গ থেকে আগত শিক্ষিত বাঙালী ছেলেরা বেশ ভালভাবেই তাদের চাকরী বাকরীর স্থানগুলো পোক্ত করে নিত। কিংবা মিল কারখানায় অবাঙালীদের আধিক্য। সেক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনে যারা ছিলেন তারা মোটামুটি গ্রেটার ভারতের রিপার্টেড আইসিএস অবাঙালী অফিসার ছিলেন। হয়তোবা তাদের কর্ম স্থলকে নিরাপদ ও নিরুদ্রপ রাখতে তারা মোহাজের মুসলমানদেরকেই বেছে নিতেন। তবে পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠীর অলিখিত পলিসি নিয়েই এসব করা হোত বলে ধারনা করা যায়।
ইতোমধ্যে মোহাজেরদের পুনর্বাসনের লক্ষে বাংলার প্রতিটি জেলায় সরকারী তত্ত্বাবধানে পরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হয়। অবাঙালীদের আধিক্যের তোড়ে ঘটি বাঙালীরা সেখানে খুব বেশী সংস্থান পেয়েছিল বলে মনে হয়নি। এসব কার্যক্রম বা ঘটনাপুঞ্জ চাহিদার অতিরিক্ত ছিল কিনা, তা জানা না থাকলেও সামাজিক বৌষম্যের একটা সুত্রপাত কোথাও না কোথাও ঘটেছিল বলে মনে করা হয়। কারন সে সময় পুর্ব বাংলার বিশ'টি জেলাতেই ওইসব ভিনভাষী মোহাজেরদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন আবাসিক প্রকল্প সরকারী ভাবে করে দেয়াতে ভূখন্ডের মূল অধিবাসীদের অন্তরে কিছুটা হলেও রক্তক্ষরন হয়েছিল বলে অনুমান করা যায়। দেশত্যাগী ভিনভাষী মুসলমানদের এভাবে স্পষ্টীকরন করে পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী "ডিভাইড এন্ড রুলস" পলিসি গ্রহন করে। ফলে পাকিস্তানী আন্দোলনে শরীক হয়ে আসা ওইসব অবাঙালীরারা নিজেদেরকে পাকিস্তানী প্রেক্ষিতে একটু আলাদা উচ্চতায় উপস্থাপনে ব্যপৃত হয়। এভাবেই সরকারী আরো নানা রকম পৃষ্টপোষকতায় তারা নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিতেও উচ্চকন্ঠ হতে চায়। ফলে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির আবহে লালিত এ ভূখন্ডের সহজ সরল সমাজ জীবনে মিশ্র সংস্কৃতির এক উলোট করা গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। তাছাড়া সামাজিক ও অর্থনৈতিক বন্টন ব্যবস্থায় পাকিস্তানী শাসকদের দ্বৈতনীতি পুর্ব বঙ্গের সর্ব স্তরের মানুষের কাছে ধোকাবাজি বলে মনে হয়েছে। এসব ঘটনা পুঞ্জের পুঞ্জীভূত চাপে পাকিস্তান সৃষ্টির মূলমন্ত্র "পাকিস্তান জিন্দাবাদ" নামের জাতীয় শ্লোগানটি আস্তেধীরে বাঙালীর কাছে পানসে হয়ে যায়। ওদিকে প্রশাসনের মদত পাওয়া ভিনভাষীয় মুসলমানেরা তাদের সামাজিক দাপট প্রকাশেও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে। অন্যদিকে ভাষা সংস্কৃতি এক হলেও মোহাজের বাঙালীরা শামুকের মত নিজেদের গুটিয়ে রাখতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। তারা ধরি মাছ না ছুঁই পানির অবস্থানে নিজেদের অবস্থান ঠিক করে নেয়। তবে বাংলা ভাষাভাষি ও বাঙালী হওয়াতে তাদের নাড়ির টানটা "জয় বাংলা" শ্লোগানেই আবর্তিত ছিল। সেক্ষেত্রে ওই যে খেটে খাওয়া অবাঙালীরা, তারা কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই "পাকিস্তান জিন্দা রহেগা" আন্দোলনে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিল। তবে ব্যতিক্রমী হিসাবে ছিটেফোঁটা দু'একজন উদারপন্থী ও দূরদর্শী উর্দু ভাষী এদেশে ছিলেন যারা জয় বাংলা শ্লোগানে বাঙালীদের সাথে মিশে গিয়েছিলেন। কিন্তু এদেশীয় একটি গোষ্ঠী যারা পাকিস্তান আন্দোলনের কেউটে হিসাবে পাকিস্তানী পশ্চিমা শাসকদের পছন্দের খাতায় নাম লেখাতে পেরেছিলেন, তারা সব সময় তাদের দ্বিচারি চরিত্রে বাঙালী হওয়ার চেয়ে পাকিস্তানী হয়ে জীবন যাপনে গর্ববোধ করেছে। তারা সর্বক্ষেত্রে পাকিস্তান কায়েমের ফন্দি ফিকিরে নিজেদের ব্যপৃত রেখেছে।
(২) হিন্দুত্ববাদ কথাটি আসছে এই কারনে যে ভারত আন্দোলনের কংগ্রেস নেতা নেহেরু প্যাটেলদের সেদিনের সেই নীরবতায় ভারত ভাগের যে কাজটি হলো তার ফল তো ইদানীংকার ভারত শাসনে স্পষ্ট আকার ধারন করেছে। বরং হিন্দুত্ববাদী ছাতা মাথায় রেখে যে সেক্যুলার ভারতের সুত্রপাত নেহেরু গান্ধীরা করেছিলেন তার সামান্যতম অনুশীলন কি এখনকার ভারত নামের রাষ্ট্রটিতে খুঁজে পাওয়া যায়? বরং আজকের ভারতের হিন্দুত্ববাদী শাসকেরা নিজেদের খোলস থেকে বেরিয়ে এসে তাদের হিন্দুত্ববাদের জয়গানে সেদেশের ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িকতার শাশ্বত মেলবন্ধনকে ছত্রাখান করার মচ্ছ্ববে দেশটাকে ভাঙ্গনের দ্বারপ্রান্তে এনে ফেলেছে। এই ভয়াবহ বিপর্যয়ের সুত্রপাত কখন যে কিভাবে শুরু হয় সেটা সময়ই বলে দেবে। কারন একজন মানুষ রামকে নিয়ে তার নামে মন্দির নির্মানে কিংবা ধর্মের নামে নতুন নতুন ইস্যু তুলে ভারতে যে হোলি খেলা শুরু হয়েছে তা প্রতিটি বিবেকবান ভারতীয়কে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বলেই মনে হয়। সময়ই হয়তো বলবে, একজন অস্থিচর্মের মানুষকে কখনোই সৃষ্টিকর্তার সমকক্ষ করে ভাবা যায় না। স্রষ্টার সঙ্গে সৃষ্টির শরিকানা ছাড়া আর কি বলা যাবে এটাকে! তাছাড়া মানুষের খাদ্য হিসাবে বিবেচিত একটি গৃহপালিত পশুকে নিয়ে যেভাবে হিন্দুরা সমাজ তথা রাষ্ট্রে অরাজকতার সুত্রপাত করে চলেছে তা রাজনীতির এক ঠুনকো অজুহাত ছাড়া আর কি হতে পারে?
(৩) সাতচল্লিশের ভারত বিভাজনের মূল কারন ছিল ধর্মীয় বিভেদ। যদিও ভারত তার অখন্ডতার নিরিখে সর্ব ধর্মের রাষ্ট্র হিসাবে দাঁড়িয়ে ছিল তথাপি ধর্মীয় গোঁড়ামি ও হিন্দু সংখ্যাধিক্যের রেশ সেখানেও লক্ষ্য করা গেছে। ফল হিসাবে দেখা গেছে পুর্ব বাংলা থেকে যেসব হিন্দু গনহারে তাদের স্বদেশভূমি ছেড়ে ভারতীয় বাংলায় গেছেন, ভারত রাষ্ট্রের ঘোষনায় প্রকাশ্য না হলেও হিন্দু হিসাবে তারা প্রচ্ছন্ন সহযোগিতা পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে প্রাপ্তির শতভাগ আদায়ে তারা কতটুকু কামিয়াব হয়েছিল তার চালচিত্র আমরা বিভিন্ন মিডিয়ার কল্যানে দেখেছি। তাছাড়া সে সময়ের পশ্চিম বাংলার আর্থ সামাজিক চালচিত্রে অতবড় মানবিক বিপর্যয় সামাল দেয়া বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল বলেই অনুমান করা যায়। তবে একথা অকপটে বলা যায়, যেভাবে পুর্ব বাংলায় পাকিস্তান সরকার মুসলমানদের জন্য এই বাংলার প্রতিটি জেলায় মোহাজেরদের জন্য আবাসন প্রকল্পসহ অন্যান্য সরকারী প্রনোদনা দিয়েছিল, ভারত সরকার সেভাবে হিন্দু উদ্বাস্তুদের জন্য কিছু করেছে বলে মনে পড়েনা। ভারতীয় হলেও দিল্লি শাসনের বিজাতীয় রেসের ছিটেফোঁটা অবহেলা কি সেখানে কাজ করেছিল? নইলে স্বাধীনতার পৌনে এক'শ বছর চললেও সেই ভারতের পশ্চিম বঙ্গীয় বাঙালী সরকারকে হর হামেশা এখনো দিল্লি প্রশাসনের বঞ্চনা ও গঞ্জনার কাহিনী বলতে শুনা যায়।
চলমান………