জালাল উদ্দিন আহমেদ
ক্ষমতাই সব কিছুর উৎস
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ নভেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৪৮ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
কেন এত কথা? কেন এত মাথা নষ্টের আয়োজন? কার বাড়া ভাতে ছাই পড়েছে যে আজ সমগ্র বাংলাদেশের বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় এবং চতুর্মুখী আয়োজনে কথার বাক্যবানে গেল গেল রব। তাও আবার বিদেশের মাটিতে বিশ তিরিশ তলার এসি রূমে বসে গুটিকয় অচেনা ব্যক্তির সব জান্তার বক্তব্যে তোলপাড় আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। কিন্তু মাঠের খবর কি? মাঠ তো ফাঁকা। শুধুমাত্র প্রেস রিলিজ আর মিডিয়ার আধিক্যের সুবিধাভোগে কতিপয় তথাকথিত পার্টিজান মুখচেনা নেতা পাতি নেতার ক্যামেরার সামনে আস্ফালন ছাড়া আর কোন রাজনীতি কি বাংলার জমিনে আছে?
কথা বলার সুযোগ নেই। রাজনীতি করার সুযোগ নেই। মৌলিক অধিকারের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। মানুষ ও জনপদে জীবন ও জীবিকার আহাজারি চলছে। খুন গুম নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ বিচার পাচ্ছে না। চাকরী বাকরীর অভাবে জনপদে মানবেতর অবস্থা বিরাজ করছে। আইন সরকারী কথায় চলে। শৃংখলা ও নিরাপত্তা শুধু ওরাই ভোগ করছে। সরকারের মূল সংগঠন, যুব সংগঠন ও ছাত্র সংগঠনের দৌঁরাত্মে জনপদে আহাজারি চলছে। প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনী আজ সরকারী সংগঠনের রূপ ধারন করেছে। সরকারী মন্ত্রী এমপি মেয়র চেয়ারম্যানদের দুর্বিনীত আচরনে বাংলার জনপদে হাহাকার চলছে। প্রশাসন ও আইন শৃংখলার লোকজন আজ জনতার কর্মচারী না হয়ে সরকার পক্ষীয় রাজনীতির ক্যাডার সেজে চারিদিকে হরিল্লুট চালাচ্ছে। দেশের অর্থনীতি আজ লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। মন্ত্রী এমপিরা সরকারী কর্মচারীদের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে দেশের টাকা বিদেশে পাচার ক'রে সেসব দেশে তাদের দ্বিতীয় আবাসস্থল বানাচ্ছে। এহেন হাজারো অভিযোগ বাংলার জনগন জানতে পারছে এবং প্রতিনিয়ত শুনছে ওইসব ক্ষমতা হারানো বিপক্ষীয় রাজনীতির রথি মহারথিদের মুখ থেকে। সঙ্গে জুটেছে কতিপয় পথহারা সাংবাদিক ও বুদ্ধজীবি আর ক্যন্টনমেন্ট পরিত্যক্ত কতিপয় সামরিক কর্মকর্তা। মূল ধারার মিডিয়া ও হালে যুক্ত হওয়া সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যানে মানুষ আজ ঘরে বসেই এসব শুনছে এবং জানছে। সবই হচ্ছে। কোথাও চার দেয়ালের বিশাল বিশাল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হল ঘর ভাড়া করে। কোথাওবা ভার্চ্যুয়াল ভিডিও সংযুক্তির মাধ্যমে। আবার অনেকে বিদেশের মাটিতে বসে নিজস্ব নিউজ পোর্টাল তৈরী করে ইউ টিউবের মাধ্যমে এসব রাজনীতির চটকদার কেচ্ছা কাহিনী বাঙালীর জন্য অন এয়ার করছেন। কেচ্ছা কাহিনী ছাড়া কিইবা বলা যায়! যেখানে রাজনীতির দুর্বৃত্যায়নে বাঙালীর জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে সেখানে এই রাজনীতি আমাদের কি দিচ্ছে, তাদের কথিত গনতন্ত্রে আমাদের কি লাভ - সেই সোলেনামার ব্যাপারটিই তো আমাদের ভাবতে হবে।
আসলে হচ্ছেটা কি? সবইতো ঠিক ঠাক চলছে। মানুষ খাচ্ছে ঘুমাচ্ছে। স্বপ্ন দেখছে। বিয়ে শাদি হচ্ছে। বাচ্চা পয়দা করছে। সাইকেল ছেড়ে মোটর সাইকেলে চড়ছে। মোটর সাইকেল ছেড়ে চার চাকার মালিক হচ্ছে। ঢাকায় এপার্টমেন্ট কিনে মেগা সিটির মালিক হচ্ছে। এক দুই লাখ টাকার বদলে আট দশ লাখ টাকা খরচ করে মধ্যপ্রাচ্য মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে। তিন'শ টাকার কেরানী তিরিশ হাজার টাকার বেতনে উন্নীত হয়ে ছেলেকে ইউরোপ আমারিকায় পড়ানোর স্বপ্ন দেখছে। গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত ঘরে বিবিসি সিএনএনের খবর পৌঁছে যাচ্ছে। গরিব কৃষক বা দিন মজুর ঘরে বসে বোম্বে সিনেমার হালনাগাদ প্রিমিও দেখছে। কাদামাটির কৃষক বাড়ির দরজায় বেরিয়েই অটোতে চড়ে বাজার ঘাটে যেতে পারছে। রিক্সাওয়ালা সারাদিনের রোজগারের টাকা মোবাইলের বোতাম টিপে বিবি বাচ্চাদের কাছে পাঠাতে পারছে। কাজের বুয়া তার ছেলে মেয়েদের শহরের স্কুলে মাসিক পাঁচ'শ টাকা বেতনের স্কুলে পড়াচ্ছে। গ্রামের মেয়েরা বাবা মায়ের বোঝা না হয়ে সিক্স সেভেন অব্দি লেখাপড়া শিখে শহরে এসে স্বাবলম্বী হচ্ছে এবং দেশের শিল্পায়নে অবদান রাখছে। দেশে বিদ্য্যুৎ, যোগাযোগ ও কৃষিক্ষেত্রে প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে এবং একটার পর একটা মেগা প্রকল্প হাতে নিয়ে দেশের উন্নয়নের দুয়ার প্রশস্ত হচ্ছে। সেতু হচ্ছে। ট্যানেল হচ্ছে। মেট্রো রেল হচ্ছে। বুলেট ট্রেন হওয়ার কথাও শোনা যাচ্ছে। যে দেশে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যায় কিংবা কথায় কথায় হেলিকপ্টারে চড়ে মাওলানা হুজুরেরা ওয়াজ মাহফিল করতে যায় সেদেশে কোথায় কি আহাজারি আছে বা থাকতে পারে – ভাবতেই মনটা আপসেট হয়ে যায়। এক সময়ে তিন বা চার বিলিয়ন ডলারের রপ্তানী আয় দেশের জন্য বিশাল আশীর্বাদ বলে গন্য করা হোত। সেই রপ্তানী আজকের দিনে চল্লিশ বিয়াল্লিশ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ফলে পার্শ্ববর্তী দেশের ঈর্শার পাত্র হয়ে বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে বিশ্ব বাজারে তার যোগ্যতার প্রমান দিচ্ছে। এটা কি কাউরি চোখে পড়ে না! শিক্ষার হার বেড়েছে। দারিদ্রতার হার চোখে পড়ার মত কমেছে। শিশু মৃত্যুর হার শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। এসব কিসের আলামত? কেন গুটিকয় পরজীবি মানুষ “নাই কাজ তো খই ভাজ”এর আচরনে আকাশ বাতাস প্রতিনিয়ত ভারি করে চলেছে। তাদের এই আয়োজনের অর্থ কারা যোগায়?
যারা এসব বলছেন তাদের একটা চটকদার অজুহাত হলো “আমাদেরকে রাস্তায় বের হতে দেয়া হচ্ছে না। মিটিং মিছিল করতে দেয়া হচ্ছে না। রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হচ্ছে না” ইত্যাদি ইত্যাদি। কি চমৎকার অজুহাত। অথচ তারা মিটিং করছেন। মিছিল করছেন। টেলিভিশন টকশো করছেন। তীক্ষ্ণ বাক্যবানে সরকারকে বেকায়দায় ফেলছেন। তারপরেও তাদের নাই নাই কথাবার্তা। কবে কোন মন্ত্রী ছিলাম। কোন কালে ছাত্র নেতা ছিলাম। কিংবা মেয়র চেয়ারম্যান এমপি ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে রাজনীতি করেছি। জিয়াউর রহমান তাকে খুব বিশ্বাস করতেন। ভাসানীর ন্যাপ করে ডাইসাইটে ছাত্রনেতা হয়েছি। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র করে ডাকসুর ভিপি হয়েছি। এহেন হাজারো ট্যাগ লাগিয়ে আমাদের আজকের রাজনীতি। আমার কিশোর বয়সী নাতিটি বেশ সেয়ানা হয়েছে। এসব রাজনীতির নাড়ি নক্ষত্র সে ভালই বুঝে বলে মনে হোল। একদিন আমাকে জিগ্যেস করে “আচ্ছা নানা ভাই, এই যে উনারা এত এত কথা বলে সরকার প্রশাসনকে তুলোধুনা করে ছাড়ছে। কিন্তু ওদের রাজনীতির জনসম্পৃক্ততা কোথায়? উনারা তো শীতাতপ হলঘরে বসে শুধু বয়ান করেন। আমার জ্ঞান হওয়া অব্দি আমি আমার পাড়া মহল্লায় কোন গন সংযোগে উনাদের দেখি নি। এমনকি স্থানীয় সিটি নির্বাচনেও অথবা ২০১৮এর জাতীয় নির্বাচনেও তাদের কোন লিফলেট বা তাদের গন সংযোগ আমি অন্ততঃ দেখি নি। শুধু টিভি ইউটিউবে বড় বড় বিবৃতি দেখছি।“। আমি তার এত সুন্দর করে গুছিয়ে বলা কথাগুলি শুনে একটু হতবাকই হলাম। কি আশ্চর্য, এভাবে তো আমরা ভাবিনা। অথচ আজকের দিনের ছেলে পুলেরা কত স্মার্ট। সম্ভবতঃ এসব ধারনা নিয়েই হয়তো তরুন যুবারা আস্তেধীরে রাজনীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হচ্ছে। আর যারা সক্রিয় হচ্ছে তারা শুধুমাত্র ক্ষমতা ও অর্থ প্রাপ্তির সোনার হরিনের টোপে স্বেচ্ছাচারীর খাতায় নিজেদের নাম লিখিয়ে রাজনীতির মহাশক্তিধর মহামহিম হওয়ার নেশায় উন্মত্ত হচ্ছে। ফলে রাজনীতির ময়দানে আমরা নেতৃত্ত্বের স্ফুরন দেখতে পাচ্ছি না। যা পাচ্ছি বা দেখছি তা হোল কতিপয় পরজীবি মোসাহেব তৈরী হওয়ার মহোৎসব। আর বংশ পরম্পরার খুঁটিকে মজবুত করার জন্য তৈরী হচ্ছে ব্যক্তি ও গোষ্ঠি কেন্দ্রিক লেঠেল বাহিনী। আজকের দিনে বাংলার রাজনীতিতে ওইসব পরজীবি মাথামোটা রাজনীতিকদের নিজস্ব ক্যারিশ্মা নিয়ে গ্রাম বাংলার জনগনের সামনে দাঁড়ানোর ভিত্তি আছে কি? একজন শেরে বাংলা, একজন ভাসানী এবং একজন শেখ মুজিব এমনি এমনিই কি বাঙালীর ভালোবাসার কুঁড়েঘরে আস্তানা গেঁড়েছিলেন। তাদের শ্রম ও মেধা এবং বাংলার মানুষের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় তারা বাঙালীর মনে ঠাঁই পেয়েছিলেন। সেরকম নিজস্ব ব্যক্তিত্ব ও কর্মযোগের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব কি আজকের দিনে বাংলায় খুঁজে পাওয়া যাবে? বঙ্গবন্ধু নেই তো হাতা কাটা কাল কোটওয়ালাদের খোঁজ নেই। জিয়া নেই তো কথার তুবড়ি ফুটানো জিন্দাবাদের সৈনিকরা অপাংতেয়। সুতরাং কি হবে এসব বড় বড় তত্ত্ব ও তথ্য দিয়ে। নিজেদের পায়ের মাটি যাদের অন্যের দয়া দাক্ষিন্যে গেঁথে নিতে হয় তারাই বা বাংলার হা-অন্ন মানুষের জন্য রাজনীতির মহান পেশায় আসেন কেমন করে?
বাংলাদেশের রাজনীতির ঠিকুজি বিশেষ করে গত অর্ধ শতাব্দীর রাজনৈতিক চরিত্রের বিশ্লেষন করতে গেলে ভলিয়্যুম এর পর ভলিয়্যুম তৈরী হবে। ঢেঁকি কুটাই হবে শুধু, কিন্তু চাউল বের হবে না। সত্যি কথা বলতে কি, গত শতাব্দীর নব্বইয়ের শুরু থেকে আজকের একবিংশের প্রথম কোয়ার্টার অব্দি রাজনীতির পক্ষ বিপক্ষ নিয়ে হিংসা বিদ্বেষ রেশারেশি থাকবে। এটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু রাজনীতির পক্ষ বিপক্ষের হিংসা বিদ্বেষ যখন অশ্রাব্য গালিগালাজ, চারিত্রিক বিষাদগার, সহিংস আচরন, খুন গুম ও লগি বৈঠার আয়োজনে গনহত্যার সহিংসতায় রূপ নেয় তখন আর সেটা রাজনীতি থাকে না। এছাড়া রাজনীতির উঠানে কর্মী সম্মেলন বা রাজনীতির পঠন পাঠন ইত্যাদির অনুশীলনে না থেকে যখন সেটা ব্যক্তি স্তুতির সম্মোহনী কারিশমায় বৈতরনী পার হওয়ার সোপান হয় তখন সেখানে রাজনীতির বেসিক স্ট্রাকচার থাকে না। আমরা এখন এই বাহনের যাত্রী। আমরা সাধারন মানুষ “না ঘরকা না ঘাটকা” পর্যায়ে অবস্থান করছি। আজকের দিনে “জনগন ক্ষমতার উৎস” না হয়ে “ক্ষমতাই জনগনের উৎস” হয়ে সামনে চলে এসেছে।
সুতরাং আজকের গনতন্ত্রে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু জনগন – এটার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। আমরা এখন ক্ষমতার উৎস হিসাবে মহান নেতা ও মহান সৈনিকের পোর্টেটের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। এমনকি তাঁদের বংশ পরম্পরার প্রবাহ সৃষ্টি করে ক্ষমতার বাহন হিসাবে তাকে ব্যবহার করছি। অথচ সেইসব মহান নেতার কর্মধারা ও চলার পথকে আমরা কখনোই সামনে আনছি না। আমরা মহান নেতার কর্মধারা ও তার শৃংখলাবদ্ধ আচরনের রাজনীতির অনুসরন থেকে দূরে থাকছি। কিন্তু তার ক্যারিশ্মেটিক রাজনীতিকে বিকি কিনি করে নিজেদের ক্ষমতার সিড়ি গাঁথায় উন্মত্ত হচ্ছি। মহান সৈনিকের জন বান্ধব কর্মসূচিকে থোড়াই কেয়ার করে শুধুমাত্র তার কর্ম ইমেজকে পুঁজি করে নিজেদের ক্ষমতার সিঁড়ি গাঁথছি। আর কত? পরজীবি রাজনীতির ইতি টানতে হবে। বাংলার জনপদে আপনজন হয়ে বেড়ে উঠার রসদ খুঁজতে হবে। নেতার ক্যারিশ্মা বা বক্তৃতার ছবি দেখিয়ে নয়, নেতার কর্মধারা ও তাদের কৃচ্ছ্বসাধনের পথে হাঁটতে হবে। জনগন ও জনপদের মঙ্গল কামনায় নিবেদিত প্রান কর্মী হয়ে এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্রগাঁথায় নিজেদেরকে সঁপে দিতে হবে। বংশ পরম্পরার খুঁটি গেঁড়ে, রাজনীতির দুর্বৃত্যায়ন করে, বাংলার জনপদকে অসহায় বানিয়ে আর কত কাল এই বাঁদর নাচন চলবে?
একটা সময় ছিল যখন রাজা মহা রাজারাই ছিলেন ক্ষমতার উৎস। কিং থেকে কিংডম এর সৃষ্টি হোত। এল “জনগন ক্ষমতার উৎস” নামক গালভরা এক শ্লোগান। একসময় “বন্দুকের নল ক্ষমতার উৎস” শ্লোগানটি ব্যাপকতা পেল। কিন্তু স্বতঃসিদ্ধতায় কোনটা আসল কোনটা নকল সেটাই বড় প্রশ্ন। সুবর্ন জয়ন্তীর উঠানে বসে বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডের আম জনতা শুধু শুনছে “জনগন সকল ক্ষমতার উৎস”, কিন্তু বাস্তব বিবেচনায় তারা দেখছে “ক্ষমতাই সব কিছুর উৎস”।