জালাল উদ্দিন আহমেদ
ভূমিষ্ট হওয়ার পূর্বেই শিশুটিকে মেরে ফেলার সুপারিশ
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৫৩ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
এ এক আজব বসবাস আমাদের। কি নিয়েই বা আমরা গর্ব করবো! ছোট্ট ভূখন্ডের ১৬ কোটি মতান্তরে ১৮ কোটি মানুষের এই দেশে মানব সম্পদ ছাড়া আর কোন resource বা সম্পদ কি আমাদের আছে বা হবে! যদিওবা হবে হবে করে, সেটাও আবার অতি সচেতন কতিপয় মাথাওয়ালা মানুষের কড়ি কাঠের বলি হয়ে অতল সাগরে খড়কুটো দিয়ে ভাসিয়ে দেয়ার সুপারিশ করা হয়। বলছি, চামড়া শিল্প সেক্টরের দৈন্যদশার বর্তমান চালচিত্রের কথা। কি নাকানি চুবানিই না খেতে হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় রপ্তানী আয়কারী এই শিল্প সেক্টরটিরকে। বাংলাদেশে চা, চামড়া আর পাট ছাড়া অভ্যন্তরীন দেশীয় কাঁচামাল সমৃদ্ধ আর কোন শিল্প সেক্টর আছে কি?
রবি ঠাকুর বলেছিলেন, ' কি দরকার ওদের বিকাশের, ওদের শিক্ষার। ওরা চাষা ভূষার দল। ওদের কাজ চাষবাস করা। শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি নিয়ে তো আমরাই আছি' ইত্যাদি ধরনের বর্ণ বৈষম্য মূলক কথা বার্তা। সেজন্যই তো আমরা দেখেছি, পাট চাষ হয় পুর্ব বাংলায় আর পাট কল গড়ে উঠে পশ্চিম বাংলায়। আসাম বেঙ্গলের চামড়া দিয়ে কোলকাতা মাদ্রাজের চামড়া শিল্পের স্ফীতি ঘটে। পুর্ব বাংলা ও আসামের চা বাগান থেকে সংগৃহীত চা, দার্জিলিংয়ের ব্র্যান্ড নেম নিয়ে বিশ্ব পরিভ্রমণ করে। বাঙালীর মাথা বটে! এই মাথা নিয়েই তো বাঙালী তার কোলকাতা কেন্দ্রিকতার ভারতকে নির্বাসন দিয়ে তা দিল্লিময় করতে সাহায্য করেছিল গত শতকের গোঁড়ার দিকে। এই মাথা নিয়েই তো বাঙালীর বাংলাকে হিন্দু মুসলমানের করতে গিয়ে দু'ভাগ হয়ে পুর্ব পশ্চিম হলো। এই মাথা নিয়ে আজকাল তারা স্মৃতি রোমন্থনের বিমর্ষতায় পশ্চিমের ভিক্টোরিয়ায় বসে তাদের ভাষা সংস্কৃতি ও বাঙালীর অস্মিতা নিয়ে বুক চাপড়াচ্ছে।
ইদানীংকার সময়ে আবার সেই মাথার খোঁজ পাওয়া গেল। যে সে মাথা নয় এটা। দেশের আইন প্রনেতাদের নিয়ে গঠিত জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পর্কীয় সংসদীয় কমিটির আইন প্রনেতা এরা। সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় কাঁচামাল সমৃদ্ধ চামড়া শিল্প সেক্টর বন্ধ করে দেয়ার সুপারিশ এসেছে এই কমিটির পক্ষ থেকে। কারন? নদী দূষন, পরিবেশ দূষনসহ আরো সব একগাদা ফিরিস্তি। অথচ কথিত দূষন সমূহের কলঙ্ক মাথায় নিয়ে যে শিল্প ক্লাস্টারটিকে তার ষাট পঁয়ষট্টি বছরের তিলে তিলে গড়ে উঠা স্থিতি ভেঙ্গে হাজারীবাগ হতে সরকার কর্তৃক স্থাপিত এবং নির্মিত তথাকথিত পরিবেশ বান্ধব চামড়া শিল্প নগরী সাভারে স্থানান্তর করা হোল, সেই সাভার চামড়া শিল্প নগরী শুরু হওয়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়লো। মাথায় অসুখ। চিকিৎসার ব্যবস্থা পত্র না দিয়ে সরাসরি সুপারিশ এসেছে মাথা কেটে ফেলার। মানুষে বলাবলি করে, সরকারী কাজ কর্মের একটি উদ্যোগের ব্যর্থতাকে ঢাকতে গিয়ে আর একটি সরকারী কর্নার থেকে তা উপড়ে ফেলার সুপারিশ করেছে। বিষয়টি কি 'না রহেগা বাঁশ, না বাজেগা বাঁশি'র পর্যায়ে ফেলা হচ্ছে না তো?
তবে সাদা চোখেই তো সব দেখা যাচ্ছে। যে দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প পাঁচ-দশ বছরেই দাঁড়িয়ে যায়, সেখানে দু'আড়াই বছর সময়কালের মাত্র পাঁচ'শ হাজার কোটি টাকার একটি ছোট্ট প্রকল্প শেষ হতে হতেও শেষ হয়না ষোল সতের বছরে। আবার চালু হওয়ার পুর্নতা না পেলেও ইতোমধ্যে বিএমআরই (BMRE) নামক “তালি” লাগানোর গুঞ্জন কানে কানে ভাসে। কি আজিব অসহায়ত্ব একটি শিল্প সেকটরের অস্তিত্বের মূলে। অতি সম্প্রতি মাঝারি ও ছোট ছোট উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের কর্ণধারদের এক গুরুত্বপুর্ণ সভায় মন্ত্রী পরিষদ সচিব (Cabinet Secretary) মহোদয়ের ক্ষোভের কথাগুলি শুনলেই এর যথার্থতা উপলব্ধি করা যায়।
যেটা নিয়ে কথা হচ্ছে তা হলো CETP (Central Effluent Treatment Plant) বা কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার। পাকিস্থান পরবর্তী সময়ে ১৯৫০ এর দিকে ৬২ একর জায়গায় নিয়ে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকায় একটি আধুনিক চামড়া শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হয়। ঊনিশ শতকের ধারনায় তখন সেটা আধুনিকের থেকেও আরও বেশী আধুনিক ছিল বলে ধারনা করা যায়। সেই হাজারীবাগের চামড়া শিল্পাঞ্চল যখন চামড়া শিল্পের পরিবেশ দূষনের ভারে নুব্জ হয়ে গত শতকের শেষদিকে জনবহুল ঢাকার বিষ্ফোড় হলো তখন এই শতাব্দীর শুরুতেই সরকারী সিদ্ধান্তে তা একটি পরিবেশ বান্ধব এলাকায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হোল। ঢাকার অদূরে সাভার হেমায়েতপুর সংলগ্ন হরিনধারা হজরতপুর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর পাড় ঘেঁষে এই শিল্পাঞ্চল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার সমৃদ্ধ পরিবেশ বান্ধব এই চামড়া শিল্প নগরী স্থাপনের দায়িত্ব পড়লো শিল্প মন্ত্রনালয় অধিভুক্ত সরকারী প্রতিষ্ঠান বিসিকের উপর। দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বিকাশ ও উন্নয়নে একটি স্বশাসিত সরকারী প্রতিষ্ঠান এই বিসিক। দেশের শিল্প বিকাশে বিসিকের কর্মধারা সব সময়ই প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু তা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে। টেনারী বা চামড়া শিল্প ভারি ও মাঝারী পর্যায়ের শিল্প হিসাবে স্বীকৃত। তাছাড়া পরিবেশ বান্ধব কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার সমৃদ্ধ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা এবং তার পরিচালন সম্পর্কিত কাজগুলি বিসিকের নিজস্ব কর্মধারার আঙ্গিকে যায় না। কেননা বাংলাদেশ প্রেক্ষিতে তৎসময়ের হিসাবে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার সমৃদ্ধ একই গতি প্রকৃতির দেড়'শ থেকে দু'শ টেনারীর জন্য শিল্পাঞ্চল স্থাপনের বিষয়টি ছিল একটি নতুন ধারনার প্রযুক্তি ও কর্মধারা। অবশ্য ইতোমধ্যে সিইটিপি নির্মান ও কারিগরি সহায়তাসহ অর্থ প্রাপ্তির লক্ষ্যে CSF (Country Service Framework) এর আওতায় উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে Swedish SIDA ও জাতি সংঘের শিল্পোন্নয়ন প্রতিষ্ঠান UNIDO এর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি ত্রিপক্ষীয় প্রোটোকল স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির শর্ত মোতাবেক টেনারী শিল্প স্থানান্তরের যৌক্তিকতা উল্লেখ পুর্বক বাংলাদেশ সরকার একটি Master Plan প্রনয়ন করে তা SIDA ও UNIDOর কাছে প্রেরন করে। পরবর্তীতে ইউনিডো এই প্রকল্পের উপর কারিগরি সমীক্ষা প্রনয়ন করে বাংলাদেশ সরকারের কাছে উপস্থাপন করে ২০০৬ সালের মার্চ মাসে। সেই মোতাবেক পরিবেশ বান্ধব শিল্প নগরীর জন্য স্থাপিতব্য সিইটিপি ও তার আনুসাঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে SIDA, Swedish Embasy, UNIDO ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা মিটিং হয়। এই সমস্ত ব্যাপারগুলি ঘটেছে ২০০৪ এর শেষের দিক হতে সেপ্টেম্বর ২০০৭ সময়কালের মধ্যে। সিডা ও ইউনিডোর মাধ্যমে সিইটিপি নির্মানের জন্য যথাক্রমে আর্থিক ও কারিগরি সহয়তা প্রাপ্তির Green Signal পাওয়ার(আগস্ট,২০০৭) পরও অন্তিম সময়ে অঘটনটা ঘটেই গেল। বিসিকের প্রকল্প অফিসের অজ্ঞতা (বা অন্য কিছু) এবং তৎসময়ের এক এগারোর প্রবল প্রতাপশালী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অবিমৃষ্যকারিতার ফলে Outsourcing from Developing partners for CETP procurement, construction and Technical assistance এর বিষয়টি মাটি চাপা পড়ে যায়। কারন একদিকে সিডা যখন কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নির্মান ও তার কারিগরি সয়তার লক্ষ্যে ইউনিডোর অংশ গ্রহনে প্রয়োজনীয় অর্থায়নের বিষয়টি নিয়ে শিল্প মন্ত্রনালয়ের সাথে চুড়ান্ত পর্যায়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তার পাশাপাশি বিসিকের প্রকল্প অফিস সিইটিপির জন্য টেন্ডার ইত্যাদির কাজ চুড়ান্ত করে তা সচিব পর্যায় বা তারও উপর তলার সমপৃক্ততায় CPC (Cabinet Purchase Committee)এর মাধ্যমে সিইটিপির টেন্ডার অনুমোদন করে কার্যাদেশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। আবার ঐ একই মাসে সিডার Chief Financial Adviser Mr. Cleas Leijon তখন চুড়ান্ত পর্যায়ে শিল্প মন্ত্রনালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়, ইআরডি ও আইএমিডির সাথে মিটিং সিটিং এ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিষয়টি শিল্প মন্ত্রনালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং সব পক্ষের জ্ঞাতসারেই এগোচ্ছিল। কিন্তু যখন টেন্ডার ও কার্যাদেশ ইত্যাদির খবর সুইডিশ এম্ব্যাসির মাধ্যমে সিডার গোচরে এলো তখন তারা বাংলাদেশ সরকারকে একই কাজের উপর procurement and technical assistance ইত্যাদির ক্ষেত্রে double standard and overlapping হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করে এবং এই প্রকল্পে অর্থ সহায়তার কার্যক্রম থেকে নিজেদের হাত গুটিয়ে নেয়। এর ফলে সেসময়ের এক এগারোর ক্ষমতাসীনেরা,বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়ে সাভার টেনারী স্টেটের নতুন RDPP অনুমোদন করেন।
শুরু হোল CETP Procurement and Construction এর মহাযজ্ঞ। স্থানীয় কোন এক প্রভাব প্রতিপত্তি ওয়ালা কন্ট্রাক্টরের সম্পর্কযুক্ত চীনের একটি বিশেষজ্ঞ(?)কোম্পানীকে এই কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে চীনের সেই কোম্পানীটি চামড়া শিল্প সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার ও তার আনুসাঙ্গিক কর্মধারায় কতটুকু বিশেষজ্ঞ ও পারঙ্গম এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চামড়া শিল্প ও তার জন্য সিইটিপি নির্মান ও ইত্যাদির ব্যাপারে কতটুকু পরিচিত তা প্রশ্নবোধক হয়েই তাদের পথচলা শুরু করে।
কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন না করে কোন প্রকল্প শুরু করলে যা হয় তাই হয়েছে এই চামড়া শিল্পাঞ্চল স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে। জমি অধিগ্রহন, ভূমি উন্নয়ন, প্লট নির্ধারন, প্লট বরাদ্দ অভ্যন্তরীন ড্রেন সুয়ারেজ ইত্যাদির কাজগুলো করতেই প্রায় তিন বছর পেরিয়ে যায়। প্রকৃত অর্থে সিইটিপি ও তার আনুসাঙ্গিক কাজে হাত লাগাতে সময় লেগেছে প্রকল্প যাত্রার ছয় সাত বছর পর। অথচ প্রকল্প প্রস্তাবনার আলোকে দেখা যায় ৩৬ মাসের মধ্যেই এই প্রকল্প স্বয়ং সম্পুর্ন হয়ে চালু হয়ে যাওয়ার কথা। বছর পেরিয়ে যায় কিন্তু আরাধ্য সিইটিপির কোন খোঁজ নেই। প্রকল্প প্রস্তাবনার শর্ত মোতাবেক সিইটিপির প্ল্যান্ট লে আউট, ডিজাইন, ড্রয়িং এবং মেশিন সিলেকশন, ইনস্টলেশন সম্পর্কিত কারিগরি দিকগুলি দেখার জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিশেষজ্ঞ কোম্পানীকে নিয়োগ দেয়ার ক্লজ ছিল। বিসিক তা করেও ছিল। ভারতের ডালমিয়া এন্ড কোম্পানীকে এর দায়িত্ব দেয়া হয়। শিল্প মন্ত্রনালয়ের মৌখিক অনুরোধে ডালমিয়া কোম্পানীর এক্সপার্ট ও ইউনিডোর এক্সপার্ট সমন্বয়ে সিইটিপির ড্রয়িং, ডিজাইন, লে আউট, ইত্যাদির কাজগুলো এগোচ্ছিল সঠিক পথেই কিন্তু মাঝ পথে ডালমিয়া এন্ড কোম্পানী বিসিকের টেনারী প্রকল্প অফিসের অসহযোগিতা ও তাদেরকে ঠিকমত পেমেন্ট না দেয়ার অজুহাতে এই প্রকল্পের পরামর্শক হিসাবে নিজেদেরকে সরিয়ে নেয়। পরবর্তীতে কাজের স্থবিরতা ঘুচানোর লক্ষ্যে সরকারী অনুমোদন নিয়ে বুয়েটকে(BUET) এই প্রকল্পের সিইটিপি স্থাপন, সিইটিপির জন্য মেশিনপত্র যাচাই বাছাই ইনস্টলেশন অপারেশন ইত্যাদির ক্ষেত্রে কারিগরি পরামর্শক হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। লক্ষ্যনীয়, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের BRTC (Bureau of Research, Testing and Consultation) নামক যে সার্ভিস সেন্টারটিকে সিইটিপির কথিত কাজগুলির পরামর্শক করা হয়েছিল তা wrong track এ পড়েছিল বলে বিদগ্ধ জনেরা বলাবলি করেন। কারন বুয়েটের ইতিহাসে চামড়া শিল্প সেক্টরকে নিয়ে কোন কাজ হয়েছে কিনা তা অন্ততঃ বিগত একাত্তর(৭১) বছরের চামড়া শিল্প সেক্টরের অভিজ্ঞতার আয়নায় ধরা পড়ে না। সেক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের Institute of Leather Engineering and Technology(ILET) কিংবা খুলনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের Leather Tech. And Engg. Faculty র সাথে এই consultancyর চুক্তিটি হলে বর্তমানে সৃষ্ট জটিলতার অনেকখানি এড়ানো যেত বলে মনে করা হয়। (ক্রমশঃ-----)