জালাল উদ্দিন আহমেদ
ওরা জয়নব বিবি
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ আগস্ট, বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:১৯ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
যখন লিখতে বসি তখন এলোমেলো ভাবনাগুলো প্রচন্ড বেগে চোখের সামনে ঝড় সৃষ্টি করে সবকিছুকে গুবলেট করে দেয়। সব কিছু ফেলে তখন হালকা বিষয়বস্তু আমার কাছে ভারী ধাতব হয়ে অবয়ব তৈরীর উপলক্ষ্য হয়ে উঠে। ওরা আমাদের গার্হস্থ্য জীবনের সার্বক্ষনিক সহযোগী। সমাজ সংসারে ওরা উপপাদ্য নয় বরং প্রতিপাদ্য হয়েই আলো ছড়ায়। ওদেরকে নিয়েই না হয় আজকের পাতাগুলো ভরে উঠুক।
জয়নব বিবি
একজন জয়নব বিবি। বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। ছিপছিপে গড়ন। কর্মঠ। কর্মজীবি পরিযায়ী মানব সন্তান হয়ে সূদুর ভোলা থেকে এসে ঢাকায় আস্তানা গেঁড়েছেন। এছাড়া তার উপায়ই বা কি? সেই তের চৌদ্দ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৭ এর প্রলয়ংকারী 'সিড়র' তান্ডবের সময় তিনি তার স্বামী হারিয়েছেন, ঘর হারিয়েছেন। ভোলার বদরগাছি ইউনিয়নের চরকসবা গ্রামে তার মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল। ছিল মৎসজীবি স্বামী খোকন মুন্সি। আর সংসারে দুই ছেলে আর চার মেয়ে। সেদিনের সেই গৃহবধু জয়নব এখন গৃহকর্মী হিসাবে তার ভাগ্যের লিখন লিপিবদ্ধ করিয়েছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যে অব্দি চলে তার গৃহকর্মের রোজনামচা। রোদ বৃষ্টি ঝড়ে তার কর্ম বিরতি বা ছুটি বলতে গৃহস্বামী বা গৃহকর্ত্রীর কাছে ছুটির আবদার করে যেটুকু আদায় করানো যায়।
দুই ছেলে ও চার কন্যা নিয়ে সিড়র বিদ্ধস্ত চর কসবা থেকে জয়নব বিবি ঢাকায় চলে আসেন ভাগ্যান্বেষনে। স্থায়ী হন মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান খ্যাত বস্তি এলাকায়। অবশ্য সেসব বস্তি এখন প্রাসাদোত্তম বড় বড় অট্টালিকায় ছেয়ে যাচ্ছে। কোন রকমে একটি গার্মেন্টসে ক্লিনারের চাকুরী জুটিয়ে সংসারে স্থিতি আনার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু বাধাহীন সময় নিয়ে সুদূর আশুলিয়ায় গিয়ে চাকুরী চালিয়ে যাওয়া জয়নবের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে। শারিরীক জটিলতায় তিনি চাকুরী ছাড়তে বাধ্য হন। বড় ছেলে ইতোমধ্যে রিক্সা চালিয়ে মায়ের সংসারে সহয়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। জয়নব বিবি অবশেষে চাকুরি ছেড়ে ঘরে ফিরে মেয়েদের বিবাহ ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে ইতিমধ্যে এই চাকুরী ইত্যাদির অবস্থানগত সুবিধা নিয়ে তিনটি মেয়েকে ভালভাবে পাত্রস্থ করতে পেরেছেন তিনি। ছোট ছেলেকে আশেপাশের কোন এক ইলেক্ট্রিক দোকানে কর্মচারীর কাজে লাগিয়েছেন। গৃহবধু জয়নবের অফুরন্ত সময় এখন। কাজ করার নিমিত্তে যার সকালের ঘুম ভাঙ্গে সেই জয়নব কেমন করে ঘরে বসে থাকেন! তাইতো নিজের জীবন চক্রে আবাসিক এলাকার গৃহকর্মীর তকমা লাগিয়ে এখন ভালই কাটছে তার। তিনি এখন 'ছুটা কাজের বুয়া” হিসাবে গোটা চারেক বাসায় কাজ করে মাসে হাজার দশেক টাকা উপার্জন করেন। গত এক বছর ধরে তিনি আমার বাড়িতে সকালের নাস্তা বানানো ও ঝাড়া মোছা ধুয়ার কাজ নিয়েছেন। তার ভদ্রোচিত চলন বলন এবং মায়াবী মাতৃত্বের চেহারা আমাকে এই প্রবন্ধ লেখার উৎসাহ যুগিয়েছে। জয়নব বিবি ভাল আছেন। ছেলে মেয়েদের সঙ্গে নিয়েই থাকেন। নিয়মিত পান খান এবং জর্দা দিয়ে। তিনি যখন আমার বাসায় সকাল সকাল আসেন তখন তার মুখ ভর্তি পানের জর্দার মৌ মৌ সুগন্ধে ঘরটায় একটা নতুন আবহ তৈরী হয়। নিয়মিত কাজে আসেন। আমাদের মত নিম্ন মধ্যবিত্ত সংসারের জন্য জয়নব বিবিরা একটি অপরিহার্য উপাদান হয়ে ঢাকার পাড়া মহল্লায় বিশ্বস্ত আপনজন হিসাবে স্বদর্পে বিচরন করেন।
জয়নব বিবির কথা বলতে গিয়ে বিগত দশ বার বছর ধরে আমার পরিবারে অপরিহার্য সদস্য হিসাবে আরো একজন গৃহকর্মীর কথা উল্লেখ না করলে লেখাটাই অসম্পুর্ন থেকে যাবে। ওরা আসলেই আমাদের আপনজন। ওরাই আমাদের সংসারকে সচল ও সবল করে রেখেছেন। কারন ওদের অনুপস্থিতি সত্যিকার অর্থেই আমাদের দৈনন্দিন জীবনাচার অন্ধকারে মেঘে ঢাকা তারার মতোই মনে হয়। বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্য বিত্তের সংসারে সত্যিকার অর্থেই ওরা আমাদেরকে সচল করে রাখার প্রধানতম উপাদান বলে মনে হয়। এখন অবসর জীবনে আছি তাই সংসারের এমন খুঁটি নাটি বিষয়াদি চোখে পড়ে বলেই হয়তো এই অলিখিত জানালাটি খুলে দেয়া উচিত বলে মনে করছি। ডিজিট্যাল যুগের এইসব দিনগুলিতে বিবি বাচ্চাসহ আন্ডা বাচ্চাদের হাতেও উঠেছে আধুনিক প্রযুক্তির এনড্রয়েড সেল ফোন। সুতরাং এক গ্লাস পানি ঢেলে খাওয়ার ফুরসৎ মধ্যবিত্ত ঘরের সদস্যদের আছে বলে মনে করার অবকাশ আছে কি? এমনকি দুপুরের খাওয়ার সময়টাও আজকাল দ্বিপ্রহর গড়িয়ে অপ্ররাহ্নে গিয়ে ঠেকে। আশরের আযান শুনতে শুনতেই আজকাল দুপুরের লাঞ্চের টেবিলে বসতে হয়। কি সব ম্যাজিক্যাল বাক্স প্রত্যেকের হাতে হাতে। আমার চার বছরের নাতিটিকেও ইউ টিউব চালিয়ে দিয়ে ভাত খাওয়াতে বসাতে হয়। সুতরাং সব সময়ের কলার উঁচু করা নৈতিকতার বুলি আওড়ানো মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের সংসারের সর্ব চাহিদায় একজন জয়নব বিবি বা শমলা খাতুন কিংবা ডলি খাতুনদের অপরিহার্যতা সত্যিকার অর্থেই কতটা প্রয়োজন তা সংসারজীবি প্রত্যেকের জানা আছে।
শমলা খাতুন
শমলা খাতুন। কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার কোন এক গ্রামের গৃহবধু। ঢাকার আদাবর এলাকার বস্তি এলাকায় ঠাঁই নিয়েছেন স্বামী সংসারসহ। স্বামী রিক্সাচালক। এক ছেলে দুই মেয়ে নিয়ে দশ বাই বারো ফুটের টিনসেডের বস্তিতে উঠেছে পনের'শ টাকার ভাড়ায়। এখন তা অবশ্য পাঁচ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। গত দশ বছর আমার বাসায় “ছুটা বুয়া” হিসাবে কাজ করে এখন সে আমার ছোট মেয়ের বাসায় রাধুনীর কাজে নিয়োজিত আছে। এখন সে রাধুনী হিসাবে তিনটি বাসায় কাজ করে। স্বামী তাকে ছেড়ে এখন অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। ছেলেটা বড় হয়েছে। ঢাকার মেগাশপ এগোরার ধানমন্ডি শাখায় সেলস ম্যানের চাকুরি নিয়েছে। মেয়ে দুটোকে মাদ্রাসায় পড়াচ্ছে। বড় মেয়ে ইতোমধ্যে কোরান খতম করেছে। আমি তাদের নানাভাই৷ তাই শমলা এবছরের কোন একদিন তার মেয়ে দুটোকে আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছে। নানা নানিকে সালাম করাবে বলে। সত্যিকার অর্থেই এ এক বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যের পুরনো স্মৃতি। এই শমলারাই আমাদের সেই পুরনো ঐতিহ্যকে স্মরন করিয়ে দেয়। সেইজন্যই বলেছিলাম ওরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনাচারের অপরিহার্য অংশ হয়েই সমাজের বন্ধনকে অটুট রেখেছে।
শমলারা যুগে যুগে আমাদের সংসারে সহযোগী সদস্য হয়ে জাগরুক থাকে। ওরা আমাদের সংসারে “কাজের বুয়া” বা “কাজের বেটি”। কিন্তু আত্মোপলব্ধির অন্তর্জালে যখন নিজেকে চেনার চেষ্টা করি তখন ওদেরকে এভাবে ভাবতে মনটা ভারি হয়ে যায়। ওরা সত্যিই আমাদের দৈনন্দিন গার্হস্থ্য জীবনের অপরিহার্য উপাদান। শুধু নগর জীবনে কেন, যুগ যুগ ধরে গ্রাম্য জীবনেও ওরা আমাদের সংসারের অপরিহার্য সদস্য হিসাবে উজ্জ্বল। মনে পড়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে এই জয়নব বিবি বা মঞ্জুর মায়েরা একটি সংসারের দৈনন্দিন কাজের বিনিময়ে মাসিক ৫০-১০০ টাকার বিনিময়ে কাজ করতো। সময়ের আবর্তে ওরা এখন প্রতি কাজের ভিন্নতায় ২০০ থেকে ৫০০ টাকার চুক্তিতে বাসা বাড়িতে কাজ করে। অর্থাৎ যে শমলারা পঞ্চাশ এক'শ টাকার মাসিক চুক্তিতে বাড়ির সমস্ত কাজ করতো, তারাই এখন ছুটা বুয়া বা গৃহকর্মী হয়ে দু চারটে কাজে মাসিক দুই থেকে চার হাজার টাকা উপার্জন করেন।
জয়নব শমলাদেরম কথা বলতে গিয়ে মনটা ফিরে যায় সেই চল্লিশ বছর আগেকার দিনে। সবে সংসার পেতেছি। ঘরে ফুটফুটে সন্তান এলো। সে সময় আমার ঘরে আরো এক নতুন অতিথির আগমন। নতুন অতিথি হিসাবে পেলাম আমার বাচ্চার সঙ্গী হিসাবে ৯(নয়) বছরের রেহেনাকে। ময়মনসিংহের ধুবাউড়ার মেয়ে। সাত বছর আমার ঘরে সে আমার আরেকটি মেয়ে হিসাবেই ছিল। দেশের বাড়িতে নিয়ে ওর বাবা বছর ঘুরতেই এক ধনাঢ্য গৃহস্তের বোবা ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিল। রেহেনা খুব সুন্দরী ছিল। পাড়া প্রতিবেশীরা ওকে আমাদের আত্মীয় ভাবতো। পরে এলো আর এক ফুটফুটে নয় দশ বছরের পারুল। সেও ধুবাউড়ার মেয়ে। বছর ছয়েক পরে সেও চলে গেল। তবে অন্যভাবে। কোন এক ছেলের হাত ধরে। তারও বছর খানেক পরে অর্থাৎ নতুন শতাব্দীতে এল ফুলেশা নামক এক বার তের বছরের মেয়ে। সে অবশ্য আমার বাসায় থাকতো না। সে আমার শশুরের বাসায় থেকে আমার বাসায় কাজ করে চলে যেত। কারন সে সময় আমার বাসায় কাজের বাঁধা মেয়ে রাখা একটু দুস্কর ছিল। কারন ততদিনে আমার তিনটি বাচ্চা কলেজ ও স্কুল গোয়িং পর্যায়ে। ছোট্ট ভাড়া বাসায় তখন কাজের মেয়ের সংকুলান দুস্কর হয়ে পড়ে। কিন্তু সেই রেহেনা পারুল ফুলেশারা এখনো আমার বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে।। তাদের সুখ দুঃখে আমরা শরীক হই। মনে হয় ওরা আমাদেরই কেউ। ফুলেশা আর গ্রামে ফিরেনি। বিয়ে করে জেনেভা ক্যাম্পে সংসার পেতেছে। স্বামী স্ত্রী দুজনেই কর্মজীবি। ছেলেমেয়ে দুটো স্কুলে পড়ে। বড়টা এবার এসএসসি দেবে। ওর সঙ্গে প্রায়ই দেখা হয়। কারন ও গৃহকর্মী হয়েই এলাকায় প্রসিদ্ধি পেয়েছে। তবে সবচেয়ে ভাল লাগে যখন বাড়িতে এসে বলে ”খালা/খালু আমার ছেলে এবার এসএসসি দেবে। ওর জন্য দোয়া করবেন” ইত্যাদি। তখন মনের অজান্তেই পকেটে হাত ঢুকে যায়। ম্যানি ব্যাগ থেকে পাঁচ'শ বা হাজার টাকার একখানা নোট বের করে ওদের জন্য দোয়া করি।
আজকের দিনে এই খোদেজা সখিনারা ঢাকা শহরে ছেয়ে আছে। আছে তাদের স্বামী, ভাই, বোন, ছেলে মেয়েসহ পাঁচ ছয় জনের গড় সদস্য। ওরা সংখ্যায় ঢাকা মহানগরের প্রকৃত বাসিন্দার এক তৃতীয়াংশের বেশী তো কম হবে না। আরো হরেকী পেশাজীবির আধিক্যেও আজ ঢাকা সিটি ওদের পদভারে ভারি হয়ে যাচ্ছে। রিক্সাওয়ালা,সবজিওয়ালা,ঝাড়ুওয়ালা থেকে শুরু করে শত সহযোগী পেশাজীবি আজ ঢাকার অলিগলিতে ছেয়ে গেছে। সবকিছু হাতের মুঠায়। তবে নগর জীবনের প্রশান্তির জায়গায়টুকু আজ কোথায় যেন উবে গেছে। দেশব্যাপী কাজ হারা ও নদি ভাঙ্গনের গৃহহীন মানুষেরা আজ ভিক্ষা করেও ঢাকা শহরে পরম তৃপ্তিতে একমুঠো ভাত খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। এইসব বস্তিবাসী গৃহহীনদের জন্য ইদানীং সরকার বেশ ভাল ভাল উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। শুধু তাই নয়, ওদের গ্রাম মুখী করার জন্য সরকারের “আশ্রায়ন” প্রকল্পের কথাও আমরা জেনেছি। কিন্তু যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওদের গ্রাম মুখী করার প্রয়াস নেয়া হচ্ছে বা হবে তার অর্থকরি ইম্প্যক্ট কোথায়? গ্রামে গিয়ে কর্ম সংস্থান কিংবা ঢাকা শহরে থেকে সহজ আয়ের যে হাতছানি, তা কি তারা সেখানে পাবে? সেদিকে নজর দেয়াটাও জরুরী বলে মনে হয়। নইলে ওদের পদভারে ঢাকার জীবন মান একসময় সহায়ক শক্তির বদলে নগর জীবনের উইপোকা হয়ে সবকিছু তছনছ করে দেবে।
যে মধ্যবিত্ত ঘরে একজন জয়নব বিবির উপস্থিতিই অনেক কিছু, সেই পরিবারে এখন জয়নব বিবিরা দুজন তিনজনে পালা করে কাজ করেন। এতে করে মধ্যবিত্তরা যেমন পার্থিব জগতে সংসারের অপরিহার্যতায় অকেজো হয়ে যাচ্ছেন, তেমনি সেই মধ্যবিত্তের দেখাদেখি নিম্ন মধ্যবিত্তরাও আজকাল বুয়া নির্ভর হয়ে সংসারের টানা পোড়েনে সামাজিক বা কর্মক্ষেত্রে অঘটন ঘটিয়ে মধ্যবিত্তীয় সেন্টিমেন্টের কলার উঁচু রাখার মানসে দৌর্দান্ড প্রতাপে এগিয়ে চলেছে। ফলে সামাজিক বিন্যাসের অতল চাহিদায় মানবিক বিপর্যয় লক্ষনীয়ভাবে দৃষ্টিগ্রাহ্য হচ্ছে। সুতরাং এক্ষেত্রে জয়নব বিবিদের যেমন জীবন জীবিকার সুনির্দিষ্ট সরল পথের প্রয়োজন তেমনি সমাজ সংস্কারে রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ওদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ, নতুনত্বের ছোঁয়া লাগানো এক মাইল ফলক হয়ে প্রশান্তির আলো ছড়াবে - এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। সমাজ কাঠামোর যেকোন বিন্যাসে মেদ বহুলতা যেমন কাম্য নয় তেমনি মেদহীন হলেও তা হবে দৃষ্টিকটু। সামাজিক চাহিদার বিন্যাসে জয়নব বিবিরা সুবিন্যস্ত হোক - এটাই কামনা করি।