দিলারা জাহান
বিনা খরচে দাসী পাঠানো অভিযান
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:৪৫ এএম, ২৯ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৫
দেশে বেকার নারীর সংখ্যা কমাতে কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবে পাঠানো হচ্ছে “গৃহকর্মী”— মানে সুন্দর করে বললে “হাউজ মেইড”, আর সত্যি বললে “ঘরের দাসী”। শুনেছি, যাওয়া বিনা খরচে! শুধু একটু ধৈর্য ধরলেই হুর-পরী হওয়ার প্রশিক্ষণ বিনামূল্যে মিলে যাচ্ছে।
সরকার বলে, “আমরা নারীদের ক্ষমতায়ন করছি।”
হ্যাঁ, একদম ঠিক—মধ্যপ্রাচ্যের রান্নাঘরে, লন্ড্রিতে, আর পর্দার পেছনে তাদের ক্ষমতা এখন তুঙ্গে। কোনো নারী যদি নিজের দেশে কাজ না পায়, তাহলে বিদেশে গিয়ে মালিকের শখের খেলনা হতে পারে—এটা বোধহয় নতুন ধরণের নারী উন্নয়ন মডেল।
সৌদি ভিসা অফিসে নাকি নতুন নিয়ম এসেছে—
নারী যাবে, সঙ্গে পুরুষ অভিভাবক যাবে। বাহ, দারুণ বুদ্ধি! এখন থেকে ধর্ষকও সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়ে যাবে। মানে, নারী গেলে “সম্মান রক্ষা কর্মকর্তা” হিসেবে সঙ্গে থাকবে এক গেলমান প্রার্থী—প্যাকেজ ডিল!
ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা—সব দেশ যখন তাদের নারীদের পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা তখন গর্বিতভাবে বলি, “না না, আমরাই পারব!” কারণ আমরা জাতি হিসেবে এমন, অন্যরা আগুনে পুড়ে গেলে আমরা গিয়ে হাত গরম করি।
তাদের মেয়েরা যখন নির্যাতনের কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়ে, আমরা তখন টিভিতে বসে বলি, “ওরা ঠিক প্রশিক্ষণ পায়নি।”
বাহ! ধর্ষণের আগেও এখন ট্রেনিং দরকার হয়, এটাই নতুন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম।
সৌদি আরবে এক গৃহকর্মীর মাসিক আয় নাকি ১৫ হাজার টাকা।
অবশ্য, “ধর্ষণ” বোনাস হিসেবে যোগ করলে আয়টা বেড়ে যায়, শুধু টাকাটা মেলে না—মেলে ঘা, ভয়, আর নিঃশেষ মানসিকতা।
তবু সরকার গর্ব করে বলে, “আমাদের নারী শ্রমিকরা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার জোগান দিচ্ছে।”
মানে—আমাদের মেয়েরা এখন দেশের রেমিট্যান্সের “বডি কারেন্সি”।
আর ধর্মীয় বুদ্ধিজীবীরা বলেন, “ওরা নিরাপদ, ওখানে পর্দা আছে।”
হ্যাঁ, পর্দা আছে—শুধু ভেতরে যা হয়, সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউ দেখে না।
যখন গৃহকর্মী কাঁদে, তার কান্নার আওয়াজ কাবা ঘরের দেয়াল পেরোয় না।
যখন সে ধর্ষণের শিকার হয়, তখন নাকি ওর পাপ—কারণ সে নাকি দাসী, আর দাসীর তো অধিকার থাকে না, তাই না?
আমরা দেখি, শুনি, জানি—তবু চুপ থাকি।
কারণ ডলার আসে।
কারণ অর্থনীতির নাম করে আমরা মানবতার পিঠে কুঠার মারতে অভ্যস্ত।
আমরা এমন এক জাতি, যারা মুদ্রার দিকেই তাকাই, মেয়ে মানুষ মরছে না বাঁচছে, তা দেখার সময় নেই।
একদিন হয়তো ইতিহাস লিখবে—
“বাংলাদেশ তার মেয়েদের মর্যাদা রপ্তানি করেছিল বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে।”
তখনও আমরা গর্ব করে বলব—“দেখো, আমাদের রেমিট্যান্স বেড়েছে!” ধিক তোমাদের রেমিট্যান্সের যা খরিদ করা হয় নারীর সম্ভ্রম দিয়ে।
লেখকঃ ব্লগার,সমাজকর্মী ও অনলাইন এক্টিভিষ্ট
ঢাকা-১৭ আসন থেকে তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন তারেক রহমান
পরাশ্রয়ী শিকল ছেঁড়ার শ্লোগান আর কত!
জামায়াতের সঙ্গে জোটে যেতে আপত্তি জানিয়ে নাহিদকে ৩০ নেতার চিঠি
খুনিদের আমরা ধরবই: চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম
সহকারী কোচ জাকি মাঠে হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেলেন
সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকবাহী জাহাজে আগুন, নিহত ১
শনিবার হাদির কবর জিয়ারত করবেন তারেক রহমান
ঢাকা-৮ আসনে লড়তে চান ওসমান হাদির বোন মাসুমা
দেশে ফিরেই প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানালেন তারেক রহমান
শুভ বড়দিন আজ
অস্ট্রেলিয়া বিএনপির উদ্যোগে সিডনীতে শহীদ ওসমান হাদীর গায়েবানা জানাজা
স্বাগত জানাতে গণমানুষের ঢল, হাসিমুখে হাত নাড়ছেন তারেক রহমান
আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান, ফর মাই কান্ট্রি : তারেক রহমান
শাজাহান খানের বাড়ি ও পেট্রোল পাম্প পাহারা দেয়া সেই যুবদল নেতার পদ স্থগিত
দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!
গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!
কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক
সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু
সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন
অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ
অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা
কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার
মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার
হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার
খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি
কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু
মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু
হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক



