
জালাল উদ্দিন আহমেদ
আযাব
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৫ | আপডেট: ০৫:৩৪ এএম, ১৬ এপ্রিল, বুধবার,২০২৫

আমরা বোধ হয় আযাবের মধ্যেই আছি। দুনিয়ার আযাব। আমাদের বেঁচে থাকার অনুসঙ্গে প্রতিনিয়ত এই আযাব আমাদেরকে কুরে কুরে খাচ্ছে। মহা বিশ্বের মহা সৃষ্টির একটি ছোট বিন্দু হচ্ছে আমাদের এই স্বপ্ন পুরীর পৃথিবী নামক ভূখন্ড। স্রষ্ঠা ও সৃষ্টির পরিচয় তৈরী করা বা এসমন্ধে ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করার ধৃষ্টতা আমার নেই। যা নিয়ে আছি, যেভাবে উঠছি বসছি - সেসবের হালচালে যা বুঝা যায়, আমরা ভাল কিছুর অন্বেষায় নেই। প্রমত্তা পদ্মার আচরনে যেমন জনপদ লোকালয়ে সিকস্তি/পয়স্তি ঘটে তেমনি ক্রমবর্ধমান তথ্য প্রযুক্তির ঝঞ্জা ও ঝাপ্টায় মানব সভ্যতা সিকস্তি না পয়স্তির পথে এগোচ্ছে - সেসব নিয়েই চিন্তিত সুধী সমাজ।
সাধারন আটপৌড়ে লেখাপড়া করা মানুষগুলো আজ বাতিলের খাতায়। তাদের মাথায় নাই বা থাকার কথাও নয় যে কিভাবে কি হচ্ছে বা কি হতে চলেছে। অথচ বিজ্ঞানের প্রসারে তথ্য প্রযুক্তি যেভাবে রামকে শ্যাম আর যদুকে মধু বানিয়ে সাধারন জনপদে চমক সৃষ্টি করছে তাতে করে মনুষ্য কল্পনার মানুষরূপী এলিয়নেরাও যে কোন একদিন আমার বাপ দাদা চৌদ্দগুষ্টির পূর্ব পুরুষ হয়ে দাঁড়াবে না তার নিশ্চয়তা কে দেবে। কখন যে আমরা পাঁচ ভাই পঁচিশ ভাইয়ে রূপান্তরিত হয়ে বিশ্ব সমাজে ছড়িয়ে পড়বো সে নিশ্চয়তা আমার এই কাঠামোগত সমাজ সংসার বা রাষ্ট্র নিরূপন করে দিতে পারবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই যুগে সত্যিকার অর্থেই আমরা আজ অসহায়।
মহান স্রষ্টা তাঁর নিজস্ব কায়দায় আপন সৃষ্ট মহাবিশ্ব পরিচালনা করছেন। আমরা বিশ্ব ব্রম্ভান্ডের মনুষ্য জাতি স্রষ্ঠার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হয়ে স্রষ্ঠা প্রদত্ত লাইন রেখার মধ্যে থেকে নিজেদের উৎকর্ষতা সাধনে নিরলস রয়েছি। কিন্তু মহাবিশ্বের এই ক্ষুদ্র সৃষ্টি পৃথিবীকে নিয়ে আমরা কতই না বড়াই বাহাদূরীর আস্ফালনে নিজেদেরকে উচ্চকিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছি। অথচ বিশ্ব তথা মহাবিশ্বের মহান স্রষ্টাকে স্মরন বা তার বদান্যতা স্বীকারে আমাদের কতই না ফ্যাকড়া ফ্যাসাদ। ভেদজ্ঞানের তরাজুতে তুলে শাম দাম দন্ডভেদের ফর্মুলায় ফেলে সৃষ্টির স্রষ্ঠাকে আলু পটলের ভাগা বানিয়ে যে যার মত করে স্মরন করছি। মহান স্রষ্ঠা তাঁর ঐশী প্রদত্ত বাণী সমূহ ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পৃথিবীতে তাঁর নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ মানব সন্তানদের মাধ্যমে প্রেরন করেছেন। সেটা পরিশুদ্ধ হয়ে সর্বশেষ মহামানবের মাধ্যমে মহান সৃষ্টিকর্তা পবিত্র কোরআন উল করিমের বাণী দিয়ে মানব জগতের শুদ্ধতা ও স্বচ্ছতার ঘোষনা করেছেন। সম্ভবতঃ মনুষ্য বসতির এই পৃথিবীতে সমস্ত জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সবাই তা মেনেও নিয়েছেন।
তবে নিজ নিজ ধর্মমতে যে যার মত করে তাদের আপন বলয় তৈরী করে মানুষ বেঁচে থাকতে চায়। এজন্যই হয়তো সভ্যতার শিখরে থেকেও এই ধর্ম ইত্যাদি নিয়ে বেশী বাড়াবাড়ি করতে চায় না তারা। ধর্মভেদ সৃষ্টি করে ধর্মযুদ্ধ করে নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ মনে করিয়ে দেয়ার কোন সর্বনেশে ঝগড়া বিবাদে লিপ্তও হতে চায় না। তবে কথার পিঠে কথা থাকে বৈকি! মহান স্রষ্ঠা তাঁর সর্বশেষ সিদ্ধান্তে কোরআন শরীফের মাধ্যমে ঘোষনা দিয়েছেন যে তাঁর সৃষ্ট পৃথিবীতে একটি মাত্র জাতি আছে যারা অভিশপ্ত জাতি হিসাবে বিদ্যমান (সুরা আল বাকারা, সুরা আল ইমরান, সুরা মায়েদা)। অপরদিকে মহান স্রষ্ঠার অবাধ্য হিসাবে আগুন হতে তৈরী তাঁরই প্রিয় আযাযিলকে (যিনি জিন জাতির সর্দার) শয়তান হিসাবে ঘোষনা দেয়া হয়েছে। আর মাটি অর্থাৎ মানুষ হতে তৈরী হজরত মুসা নবীর একটি উচ্ছিষ্ট অনুসারীর দলকে অভিশপ্ত হিসাবে ঘোষনা দেয়া হয়েছে যারা যায়নবাদ সৃষ্টির মাধ্যমে যতসব অনাচার অত্যাচার সহিংসতা এবং যুদ্ধ বিগ্রহের মাধ্যমে দুনিয়াকে অশান্ত করে রেখেছে।
মানব কল্যানের গুচ্ছ গুচ্ছ সেবা পরিসেবা এবং মঙ্গলময় উদ্ভাবন নিয়ে মানুষ যেমন একের পর এক চমক সৃষ্টি করছে, পাশাপাশি নিজেদের শক্তিমত্তা ও শৌর্য বীর্যের অনুঘটনে তারা মানব ধংসকারী বিধংসী মারনাস্ত্র তৈরী করে পৃথিবীকে ধংসযোগ্য গুদামে রূপান্তরিত করছে। আজকের এই সভ্য জগতে আমরা একের পর এক ভুল করে যাচ্ছি এবং মানব সভ্যতা ও সৃষ্টির সরল পথকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে ধর্মীয় আবরনের খোলস তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছি। অনেকে তো প্রাচীন ধর্মের সনাতনী দোহাইয়ে নিজেদেরকে সভ্যতার অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরার খেলায় গলদঘর্ম হচ্ছে। আর যারা স্রষ্ঠা কর্তৃক বাতিলের সারিতে পড়ে আছে, তারা তো ধরাকে সরা জ্ঞান করে মানবতা বিপর্যয়ের কীট হিসাবে পৃথিবীতে ঘৃণা বৈ অন্য কিছু ছড়াচ্ছে বলে তো মনে হয়না। এসব অপকর্মের মদদদাতা বা যোগানদাতা হিসাবে বৃহৎ শক্তির একটা বড় অংশ তাদের মাস্টার মাইন্ড হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে বলে আমরা জানি। জানিনা মহান সৃষ্টিকর্তার হুকুমে এসব হচ্ছে কিনা। কারন স্রঠার সৃষ্ঠ এসব জাতিগোষ্ঠী আপাতদৃষ্টে অতিলোভী হিংসুক পরশ্রীকাতর উচ্চাভিলাষী জাতি হিসাবে দুনিয়া জগতে কুপরিচিত। তারা হিংস্র, তারা নিজেদের ছাড়া অন্য মানব জাতিকে মানুষ হিসাবে গণ্য করেনা। তারাই এক সময় নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ বিগ্রহ করে শুরু করে। তারা এত অহংকারী যে এক সময় গরু সদৃশ্য পশুকে তাদের স্রষ্টা বানিয়ে তার পুজা অর্চনা করা আরম্ভ করে। শ্রুতি আছে বা অনেক ঐতিহাসিক বলে থাকেন যখন স্রষ্টা মনোনীত পয়গম্বর হজরত মুসা তার অনুসারীদের বাছুর পুজা হতে বিরত করাতে চান তখন তাদের মধ্যে একদল মুর্তিপুজক অবাধ্য হয়ে পুর্বদেশের দিকে গমন করে। এখানে পুর্বদেশ বলতে প্রাচীন ভারতকেই বুঝানো হয়েছে।
ধর্মের অনুশাসনেই আমরা জেনেছি এই পৃথিবীকে সুখী সমৃদ্ধ আবাস ভূমি সৃষ্টির মানসে সৃষ্টিকর্তা প্রাণের সঞ্চার করেছেন। কিন্তু তাঁরই আরাধ্য জীন জাতির শ্রেষ্ঠ সাধক আযাজিল যখন স্রষ্ঠা ঘোষিত আদম নবীকে সেজদা করতে অস্বীকৃত জানালো তখন মহান স্রষ্ঠা ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে (জিনের সর্দারকে) অভিশপ্ত হিসাবে দুনিয়াতে প্রেরন করেন। তবে স্রষ্ঠা তার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষের প্রতি অগাধ বিশ্বাস রেখে শয়তান আযাজিল ও তার বংশধরদের মানব জাতির ক্ষতি সাধনের অবাধ লাইসেন্স দিলেন। কারন তিনি(স্রষ্ঠা) প্রমান করতে চেয়েছেন মানুষ প্রাণী জগতের শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। সুতরাং বিপথে নেয়া বা তার ক্ষতি করার ক্ষমতা অন্য প্রাণীর সাধ্য নয়। হোক না সে আগুনের তৈরী জীন। সময়ের বহমানতায় মানুষ তার মৌলিক শিক্ষা ও অর্পিত দায়িত্ববোধ থেকে দূরে সরে আজ কেমন যেন দুনিয়াদারির কাম ক্রোধ মোহ মদ মাৎসর্য এর কাছে আত্মসমর্পন করে বসে আছে। স্রষ্ঠার বিধি নিষেধকে ভুলে গিয়ে তারা দুনিয়াদারির ক্ষমতা ও মোহে বেপরোয়া হয়ে উঠছে। নিজেদের মনুষ্য বুনিয়াদীর শিক্ষাকে হেলায় ঠেলে ফেলে ইহজাগতিক ফায়দা লুটার মনোবাসনায় আজ মানুষ অমানুষ হয়ে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে দুনিয়াজোড়া চলছে হিংসা বিদ্বেষ অরাজকতা ব্যভিচার অনাচারসহ যুদ্ধ বিগ্রহ ও হানাহানি। মানুষ আজ পশুশক্তির কাছে পোষ মেনে হাঁ কে না আর না কে হাঁ বলতে বাধ্য হচ্ছে বা বাধ্য করানো হচ্ছে। খুব দ্রুতলয়ে মানুষ তার মানবতা ও নৈতিকতাসহ মানবিক মুল্যবোধের সবকিছু খুঁইয়ে প্রাচীন জীবনবোধের আদিম জীবনধারায় ফিরে যাচ্ছে। স্রষ্ঠার শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে মনুষ্য জীবনের এই ইহজাগতিক আযাব মৃত্যু পরবর্তী জীবনের থেকে কম কিসে?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতার কাছে জিলাপি খেতে চাইলেন ওসি

আযাব

শেখ হাসিনা-জয়সহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাো

রাজধানীর আকাশে দেখা গেল ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি

প্রথম আলোকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে : জামায়াত আমির

মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

নববর্ষে এবার মূল আকর্ষণ ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’
_1_1744549330.jpeg)
বাংলাদেশের পাসপোর্টে ফিরলো ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’

চারুকলায় ফের তৈরি হচ্ছে “স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি”

এবার রেকর্ড করেছে পাগলা মসজিদে দান, কত টাকা পাওয়া গেল?

মডেল মেঘনা-সৌদি রাষ্ট্রদূত: পরিচয় আট মাসের, চার মাসে ‘বাগদান’

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন: ট্রাম্পকে ধন্যবাদ প্রধান উপদেষ্টার

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজন: অস্ট্রেলিয়ার সিনেটরদ্বয়

আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, দেশজুড়ে তীব্র লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা

৩৬টি হামলায় শুধু নারী-শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সেতু বাংলাদেশে!

গাছের সঙ্গে বাঁধা সাত শিশু কাওছারের জীবন!

কারাগারে পরিকল্পনা, তিন মাসেই কোটিপতি ২ যুবক

সিডনিতে দুই বাংলাদেশীর আকস্মিক মৃত্যু

সিডনিতে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুনী খুন

অক্সফোর্ডের করোনার ভ্যাকসিন বিরোধীতায় অস্ট্রেলিয়ার ইমাম ও আর্চবিশপ

অস্ট্রেলিয়ার কারাগারেই আরেক বন্দিকে কোপালেন সেই বাংলাদেশি ছাত্রী সোমা

কিশোরীর সাথে যৌন সম্পর্কের চেষ্টাঃ সিডনিতে বাংলাদেশী ছাত্র গ্রেপ্তার

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৪-এ বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ান কিশোয়ার

হুইপপুত্রের গোপন ব্যবসার বলি তরুণ ব্যাংকার

খোলা চুলে সিগারেট হাতে এবার নতুন বার্তা দিলেন পরীমণি

কুইন্সল্যান্ডে বারবিকিউ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের আকস্মিক মৃত্যু

মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে সিডনির দুই বাংলাদেশীর মৃত্যু

হাটে কচুর লতি বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক
