জালাল উদ্দিন আহমেদ
রাজনীতির সেকাল - একাল
প্রকাশ: ১০:৫৬ পিএম, ২৭ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০৫:২৮ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ভাবছিলাম নতুন কিছু নিয়ে লিখবো। কিন্তু লিখতে বসলেই আমার পরিপাশের অলিগলির চোরাগলিতে প্রতিনিয়ত গড়াগড়ি খাওয়া বিষয়গুলো সামনে চলে আসে। তখন অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে নিজের বুনিয়াদি শিক্ষার তাগিদে সেসব কথাগুলো মাথার মধ্যে কিলবিল করা শুরু করে। আমার প্রাথমিক জীবনের বুনিয়াদ গড়ে উঠে বৃহত্তর বাংলার পশ্চিমাংশের বীরভুম জেলা নামক এক রাঢ় এলাকায়। যে এলাকা থেকে বেরিয়ে এসেছেন ডঃ কুদরত-ঈ-খোদা নামক প্রথিত যশা বাঙালী বিজ্ঞানী। বিশিষ্ঠ আইনজ্ঞ ও বাংলাদেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাস্টিস আব্দুস সাত্তার সে মাটিরই ছেলে। ভারতের প্রেসিডেণ্ট প্রনব মুখার্জী, সাহিত্যিক তারাশংকর বন্দোপাধ্যায় এবং ডঃ অমর্ত্য সেনের মত নোবেল লরিয়েট সে মাটিরই ছেলে। রাজনীতির আবাদি ও বন্ধ্যাত্ব নিয়ে কথা বলার জন্য আমার এই প্রয়াস।
বড় ভাইয়া বাংলা সাহিত্যের মানুষ। বাড়িতে হরেক রকম সাহিত্য সম্পর্কিত বই পুস্তকে ঠাঁসা পরিবেশ। এখন যেটা পারিনা -আমি আমার একাদশ ক্লাস পর্যন্ত সময়েই তা করতে পেরেছিলাম। রবীন্দ্র, নজরুল, শরৎ, বঙ্কিম, বিভুতিভূষন কিংবা মীর মুশারফ সমগ্র সেই অল্প সময়েই পড়া হয়েছিল আমার। তাছাড়া দেশ বা অন্যান্য সাহিত্য সাময়িকী পড়ার সুযোগ হয়েছিল। তখনকার সময়ে তো গুগল ইউটিউবের মত এত রঙিন হাতছানি ছিলনা। মিডিয়া বলতে আগের দিনের দৈনিক পত্রিকা পরের দিন সকালে হাতে আসতো এবং সবেধন নীলমনি একটি জাপানী নিক্কন রেডিও। বলছি ষাটের দশকের কথা।
সে সময় রাজনীতি ছিল তারায় ঠাসা স্বচ্ছ ও নৈতিকতা সমৃদ্ধ একটি প্লাটফরম। যে প্লাটফরম বা উঠানে চলতে হলে আদর্শ নৈতিকতা ও মানবিক মুল্যবোধ নিয়ে প্রকাশিত হতে হোত। রাজনীতির কর্মী হতে হলে প্রতিটি কর্মীকে রাজনীতির কৃচ্ছ্বসাধন, আদর্শিক অবস্থান এবং জ্ঞানার্জনের প্রথম পাঠে উত্তীর্ণ হতে হোত। আমরা দেখেছি রাজনীতির নেতা মানে সে এক বিশাল ব্যাপার। টাকা পয়সা প্রভাব প্রতিপত্তি কিংবা মাসলম্যান দাদাগিরির কারিশ্মায় রাজনীতি সে সময় আবর্তিত ছিল না। মানুষ রাজনীতিকে ভালবাসতো। রাজনীতির মানুষদের সমীহ করতো এবং রাজনীতির নেতাদের সমাজ ও এলাকার অভিভাবক হিসাবে তাদের সম্মানিত স্থানে ঠাঁই দিত”য এবং মানুষের ভালোবাসার একান্ত নৈতিকতার স্থান হতেই তার স্ফুরন দেখা যেত।
আমি এক শশাঙ্ক মন্ডলকে দেখেছি যিনি সারা জীবন অকৃতদার থেকে জনতার সেবক হয়ে তার রাজনীতির উঠানকে আলোকিত করেছিলেন। দেখেছি ত্রিলোচন মাল নামক এক প্রাইমারী স্কুল শিক্ষককে যার নিজস্ব একটি একচালা কুঁড়ে ঘরও ছিল না। অথচ রাজনীতির একনিষ্ঠ কর্মী, প্রজ্ঞা ও তার দৃপ্যমান ছটায় এলাকার মানুষ পুলকিত হয়ে তাকে আইন সভার সদস্য বানিয়েছিল। দেখেছি মোতাহার হোসেন নামক এক ডাক্তারের জনসেবক হয়ে বেঁচে থাকার আকুলতা। এই বয়সে সে সময়ের অনেক নেতাক কর্মীকে আমার মনে পড়ছে যারা জনসেবক হওয়ার দৌড়ে গ্রাম গঞ্জ অলিগলি এমনকি প্রতিটি বাড়ির উঠানে তাদের রাজনীতির আদর্শের কথা বলে বেড়িয়েছেন। নিজেদের সততা ও শুদ্ধ আচরনের বিশুদ্ধতায় আম জনতার কাছের লোক হয়ে দেশের আইন সভার দরজায় প্রবেশ করে জন সেবকের প্রকৃত উচ্চারনে স্মরনীয় হয়ে রয়েছেন। নিশ্চয় মনে থাকার কথা, গদাধর সাহা নামক সেই অজ গ্রামের আইন প্রনেতার কথা যিনি অবশ্যই এখনকার কারিশ্ম্যাটিক ম্যাডামদের তুল্যে পড়েন না। আমি দেখেছি রাজনীতির শুদ্ধ আচরনের হরেকৃষ্ণ কোঙার নামক সেই বামপন্থী নেতার বাগ্মিতা যার রাজনীতির সুবচন শোনার জন্য গ্রাম গঞ্জ থেকে সাধারন মানুষ রেড ব্রিগেডে ছুটে যেত। দেখেছি প্রিয় রঞ্জন দাশ মুন্সির মত সর্ব ভারতীয় তুখোড় ছাত্র নেতাকে যার নেতৃত্বের কারিশ্মায় গোটা ভারত জুড়ে সে সময়ের রাজনীতি এক সরল সমীকরনে পথ চলার দিশা পেয়েছিল। প্রিয়'দার নেতৃত্বের আলোকছটায় সেদিনের নক্সালী বিভিষিকা থেকে মুক্ত হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র সমাজের যুথবদ্ধতা তখনকার সময়ের রাজনৈতিক সরকারকে সুসংহত করেছিল। রাজনীতির বিশুদ্ধ আচরনের এসব পথ চলায় নিজেকে সম্পৃক্ত বা সমৃদ্ধ করতে না পারলেও আমার প্রথম জীবনের সহজ পাঠে রাজনীতির স্বচ্ছতা, যুথবদ্ধতা, নৈতিক আচরনের অনুশীলন এবং রাজনীতির প্রতি গনমানুষের স্বতঃস্ফুর্ততা আমাকে শুদ্ধভাবে বেড়ে উঠার খোরাক যুগিয়েছে। সে সময়ের রাজনীতি তার কাঠামোগত আচার ও অনুশীলনে সাধারন মানুষের ভালোবাসা ও আশা আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হতে পেরেছে। আমার প্রাথমিক সময়ের জীবন বোধের শিক্ষায় আমি রাজনীতিকে এভাবেই চিনেছি।
ঢাকার জীবনে এসে পড়লাম এক মহা সমুদ্রে। রাজনীতির মহানায়কদের সংস্পর্শে এসে রাজনীতির প্রথম পাঠের সাদৃশ্যে পুলকিত হলাম। ক্ষেত্রবিশেষে কেন্দ্রীয় রাজনীতির খুব কাছে থেকে নিজেকে ধন্য করার সু্যোগ পেলাম যদিও সক্রিয় রাজনীতি আমি কখনই করিনি। তবে অগ্রজদের সরাসরি রাজনীতি সংশ্লিষ্টতার আশীর্বাদে রাজনীতির আলোক ছটায় নিজেকে স্নাত করার বিরল সুযোগে আমি ধন্য হয়েছি। একজন একহারা ষাট পঁয়ষট্টি কেজি ওজনের মানুষ। অথচ তার তেজদীপ্ত নেতৃত্বের কারিশমা ও স্টেটসম্যানশীপ আচরনে সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। বলছি মনি ভাইয়ের কথা। অর্থাৎ শেখ ফজলুল হক মনি যিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে বিবেচিত হতেন। বড় ভাইয়াদের রাজনীতি সম্পৃক্ততার কারনে দু'একবার মনি ভাইয়ের ধানমন্ডির বাসায় যাওয়ার বিরল সুযোগ হয়েছিল আমার। রাজনীতির একজন অতবড় মহীরূহ তার সংসারে গ্রামের সাধারন গৃহস্থ হয়ে অতিথি আপ্যায়নে এগিয়ে আসতে পারেন সেটা আমি দ্বিতীয়বার মনি ভাইয়ের বাসায় গিয়ে টের পেয়েছিলাম। আমার সেজভাই গোলাম রসুলকে প্রায়ই নেতার বাসায় যেতে হোত। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের রাজনীতির সমন্বয়ক হিসাবে তিনি কাজ করতেন। প্রি- বাংলাদেশ সময়ে তিনি এজবেস্টস সিমেন্ট ফ্যাক্টরীর প্রশাসক ছিলেন। এলাকায় তিনি রসুল সাহেব হিসাবে পরিচিত ছিলেন। রাজনীতির শুদ্ধ আচরনের কথা বলতে গিয়ে যেটা বলতে চাচ্ছিলাম তা হচ্ছে সেদিন আমি রসুল ভাইয়ের সঙ্গে মনি ভাইয়ের বাসায় গিয়েছিলাম। সময়টা সম্ভবতঃ চুয়াত্তরের নভেম্বর হবে। সেদিন আরজু ভাবি(মনি ভাইয়ের স্ত্রী) আমাদেরকে রসের পিঠা খাইয়েছিলেন। এবং আশ্চর্যজনক ভাবে লক্ষ্য করলাম, মনি ভাই পাশে বসে একজন গ্রাম্য গৃহস্তের মত আমাদেরকে আপ্যায়ন করলেন। রাজনীতির একজন এতবড় মহীরূহ তার মানবিক মুল্যবোধে সেদিন সত্যিকার অর্থে আমাকে আকৃষ্ট করেছিলেন। বিশুদ্ধ রাজনীতির শিক্ষায় একজন নেতা তার গ্রাম্য গৃহস্তের রূপ নিয়ে আমার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেছিলেন - আজ জীবনের প্রৌঢ়ত্বে এসে তা ভাবায় বৈকি! মনে পড়ে রাজ্জাক ভাইকে। আব্দুর রাজ্জাক বাংলার রাজনীতির এক পুতঃসিদ্ধ নাম। এমন নির্মোহ ও নিরহংকার রাজনীতির মানুষ বাংলার রাজনীতিতে কমই পাওয়া যাবে। সেই রাজ্জাক ভাইয়ের জিগাতলার বাসায় মাঝে মধ্যে যাওয়া হোত। আমরা গুটিকয় উঠতি বয়সের ছেলে ছোকরা সেসময় কারনে অকারনে নেতার বাসায় যেতাম তার মুল্যবান মুক্তিযুদ্ধের কথা ও তার জীবন বোধের গল্প শোনার জন্য। রাজ্জাক ভাইয়ের বাসায় যাওয়ার মাধ্যমটাও ছিল আমার বড় ভাইয়ার রাজনীতি সংশ্লিষ্টতার কারনে। মনে পড়ে তার সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয় নব্বইয়ের গন অভ্যুত্থানের সময় পুর্বানী হোটেলের লবিতে। আমি তখন চেকোশ্লোভাকিয়া সংশ্লিষ্ট একটি প্রকল্পের স্থানীয় পরামর্শক হিসাবে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রী করপোরেশনে কাজ করছি। উত্তাল সেইসব দিনে কাজের সুবিধার্থে চেক ডেলিগেটদের শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছাকাছি পুর্বানী হোটেলে রাখা হয়েছিল। রাজনৈতিক ব্যস্ততায় রাজ্জাক ভাই সেদিন তার নেতা কর্মীদের নিয়ে বোধ হয় পুর্বানীতে বসেছিলেন। আমার সঙ্গে রাজ্জাক ভাইয়ের সেই শেষ দেখায় উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম জন সম্পৃক্ততার রাজনীতির জোরালো আবেদন। আমি আমার অফিস গুছিয়ে সকাল বেলায় পুর্বানীতে ঢুকছি এমন সময় সিড়ি দিয়ে নেমে আসা একদল মানুষের মধ্যে থেকে রাজ্জাক ভায়ের আওয়াজ। “ আরে জালাল, তুই কেমন আছিস। কোথায় আছিস” ইত্যাদি ধরনের একঝাঁক প্রশ্ন। কারন সরকারী চাকুরীতে ঢুকার পর আর নেতার সঙ্গে দেখা হয়নি। তাও প্রায় তের চোদ্দ বছর তো হবে। নেতাকে সালাম করে নিজের অবস্থান জানিয়ে বিদায় নিলাম। তারপরেও সেই একই আহবান ”বাসায় আসিস”। এতগুলো কথা বলা লাগলো এই কারনে যে রাজনীতির বিশুদ্ধ আচরন এবং নৈতিক দৃঢ়তা দিয়ে তখন রাজনীতি আবর্তিত ছিল। সাধারন মানুষের মুক্ত নিঃশ্বাসের জায়গাটাই ছিল বিশুদ্ধ রাজনীতির উঠান। সে সময়ে দেখেছি মুজাহেদুল ইসলাম সেলিমের মত বিশুদ্ধ ছাত্র রাজনীতির ঝলক। তাই আজকের দিনের রাজনীতির অহংবোধ ও তার রাজকীয় ঢংয়ে নেতা কর্মীদের চলন বলনে সেদিনের সেই সরল পথের রাজনীতির সমীকরন মেলাতে গেলে হোঁচট খেতে হয় বৈকি!
একটা সময় ছিল যখন রাজনীতির আদর্শে বলিয়ান নেতা কর্মীদের জীবন ও জীবিকার ভাবনায় দেশের বিত্তবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠিত শিল্প ও ব্যবসায়ীজন মাসোহারা দিয়ে তাদের সংসার জীবনের জীবিকার সংস্থান করতেন। এটা সমাজে সম্মানের চোখে দেখা হোত। কারন যিনি রাজনীতি করেন তিনি তো দেশের জন্য দশের জন্যই তার জীবন উৎসর্গ করে জনকল্যানের জন্য একটা আদর্শকে সামনে রেখে দেশ গড়ার শপথ নিয়েছেন। সুতরাং জনমানুষ ও সমাজ সংস্কারের অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে তিনি তার শ্রম ও মেধাকে উৎসর্গ করেছেন যা অপামর জনতার মনে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনের তাগিদ অনুভূত হোত। একজন রাজনীতিবিদের চারিত্রিক স্বচ্ছতা ও নীতির আপোষহীনতায় তিনি সমাজে নমস্য ব্যক্তি হিসাবে বিবেচিত হতেন। বঙ্গবন্ধু ভাসানী ও তাঁদের সহযোগীদের রাজনীতির রোজ নামচা'র সহজ পাঠে এসব বহু দৃষ্টান্ত আমরা পাই যা এখনকার দিনে বই পুস্তক বা মিডিয়ার কল্যানে জানতে পারি। আবার সে যুগে এমনও দেখেছি সমাজের নামকরা ধনবান সমাজ পতিরাও রাজনীতির আদর্শে তাদের ধন সম্পদের বিশাল অংশ জনকল্যানে ব্যয় করতেন বা দল গুছানোর সহয়তায় এগিয়ে আসতেন। সেক্ষেত্রে তারাও রাজনীতির প্রচ্ছন্ন কর্মধারায় নিজেদেরকে উৎসর্গ করতেন। কিন্তু রাজনীতির সংশ্লিষ্টতায় কখনোই তারা তাদের ব্যবসা বা সম্পদের জৌলুষ বাড়ানোর অনৈতিক সুযোগ নিতেন না। অর্থাৎ একটা নৈতিক আদর্শগত স্থানে রাজনীতির অবস্থান জনমানুষকে আশান্বিত করতো।
আজকের দিনে রাজনীতি বা রাজনীতিবিদদের পোষ্টমর্টেম করতে গেলে দেখা যায় শুধু মাংস চর্বিতে ভরা আমাদের এখনকার দিনের রাজনীতি। হাড়ের শক্ত গাঁথুনির উপর ভর করে রাজনীতি দাঁড়িয়ে নেই। সেখানে 'অস্থি'র অস্তিত্ব বিলীন হয়ে শুধু মাংস চর্বিতে ঠাঁসা। কিভাবে ঠাঁসা এবং এই চরিত্রে রাজনীতির উত্থান কিভাবে ঘটলো তার লাইভ চিত্র তো আমরা আমজনতা দিব্য চক্ষেই দেখতে পাচ্ছি। যে দেশের তথাকথিত গনতান্ত্রিক আচরনে শতকরা আশি ভাগ আইন প্রণেতা ব্যবসায়ী ও আমলা পেরিফেরি থেকে বাছাই করা হয় এবং ওই সকল বেনিয়া ও আমলারা আইন প্রনেতা সেজে দেশ শাসনের ছড়ি হাতে নেয়, সেদেশে রাজনীতি ও গনতন্ত্র কোন আচরনে আম-জনতার সামনে প্রকাশিত হতে পারে পাঠক মাত্রই তা অনুমান করতে পারছেন। সুতরাং আমাদের এখনকার রাজনীতি ও গনতন্ত্রের বর্তমান চালচিত্র নিয়ে কথা বলা বা গর্ব করে রাজনীতি ও গনতন্ত্র নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলার কোন অবকাশ আছে কি?
রাজনীতির জৌলুষ আজ নীতির কথা বলে না। আদর্শের কথা বলে না। কৃচ্ছ্বসাধন বা সহমর্মিতার কথা বলে না। রাজনীতি আজ ব্যবসায়িক জৌলুষে টইটম্বুর। তাইতো দেখি আমাদের ভবিষ্যতের নেতা কর্মীরা আজ কঠোর অনুশীলনের রাজনীতিকে সহজ পাঠে ফেলে এক দাদাময় রাজনীতির উঠানে বসে ভবিষ্যত রাজনীতির নেতা হওয়ার বাসনায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করছে। আর এর মূলে রয়েছে বর্তমান সময়ে রাজনীতির অনুপ্রবেশকারী মহাজনী আইন প্রনেতাদের প্রচ্ছন্ন আসকারা বা ইঙ্গিত।
রাজশাহী, ২৫ – ১১ - ২০২০