দশ মাসে ৪০টি বাংলা সিনেমার দর্শক মাত্র ৫৩ হাজার!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ মার্চ,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:২১ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ঢাকাই সিনেমার ভীত বর্তমানে নড়বড়ে। একেবারেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে সিনেমা জগৎ। সিনেমা হলগুলো বন্ধ হতে হতে বর্তমানে এর সংখ্যা এখন একেবারেই হাতেগোনা। প্রতিবছর সিনেমা নির্মাণের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। এতে করে নতুন সিনেমার চাহিদা এবং সময়োপযোগী সিনেমা নির্মাণের অভাবে ধুঁকছে সিনেমা হল মালিকদের ভবিষ্যৎ।
২০২২ সালে দুই/তিনটি সিনেমা ছাড়া মুক্তিপ্রাপ্ত অধিকাংশ সিনেমার ভাগ্যে জুটেছে চরম ব্যর্থতার তকমা। এ কারণে সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম।
এ কারণে বাকী হলগুলো টিকিয়ে রাখতে এবং দর্শকদের হলমুখী করতে বছরে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদেশি ভাষা তথা হিন্দি সিনেমা আমদানির জন্য এক হয়েছেন চলচ্চিত্রের ১৯সংগঠন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বরাবর লিখিত প্রস্তাবনা পেশ করেছেন এই সংগঠনের নেতারা।
হল মালিকরা এতোদিন মুখিয়ে ছিলে সদ্য মুক্তি পাওয়া শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ সিনেমাটি নিয়ে। তাদের দাবি ও ধারণা ছিল- এই সিনেমাটি আমদানি করে দর্শকদের হলমুখী করতে পারবে। কিন্তু একটি সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের মুক্তি পাচ্ছে না ‘পাঠান’।
এ বিষয়টি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, পাঠান মুক্তির প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী উপমহাদেশীয় ভাষায় তৈরি করা চলচ্চিত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের অনুমোদন দেওয়ার সুযোগ নাই।
এসব বিষয়ে দু:খ ও হতাশা প্রকাশ করে গেল দশ মাসে মুক্তি পাওয়া ৪০টি বাংলা সিনেমার হল রিপোর্ট জানালেন লায়ন সিনেপ্লেক্সের কর্ণধার মির্জা আবদুল খালেক।
শনিবার (০৪ মার্চ) রাজধানী মগবাজারের একটি রেস্তোরায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এই সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আবদুল খালেক বলেন, আমার লায়ন সিনেমা হলটি মাল্টিপ্লেক্স করেছি। এরপরর দশ মাসে আমার এখানে ৪০টি বাংলা সিনেমা মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই ৪০টি সিনেমা চালিয়ে মাত্র ৫৩ হাজার টিকিট বিক্রি করেছি। এরমধ্যে ‘পরাণ’ এবং ‘হাওয়া’ সিনেমা দুটির টিকিট সেল হয়েছে মোট ৩৬ হাজার। আর বাকী ৩৮টি সিনেমার ক্ষেত্রে মাত্র ১৭ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি অনুদানের এমন সিনেমাও আছে যেগুলো চালিয়ে একটি শোতে একটি টিকিটও বিক্রি হয়নি। তাহলে আমরা কীভাবে সিনেমা হল খোলা রাখবো। এমন চলতে থাকলে আমাদের সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি একটি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ, প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনসহ সংগঠনটির অন্যান্য নের্তৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় সিনেমা মুক্তির দাবি জানান তারা।