ভাগ্য খারাপ, বাংলাদেশের শিল্পী হয়েছি: সাত শতাধিক সিনেমা করা রিনা খান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:২৩ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
প্রায় সাত শতাধিক ছবির অভিনেত্রী রিনা খান এখনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি। এ জন্য কিছুটা আক্ষেপ কাজ করে তার। তিনি বললেন, ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো আক্ষেপ বা হতাশা নেই। তবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এখনো পাইনি। এ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ কাজ করে। খল নায়িকা হিসেবে বাংলাদেশে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করা রিনা খান আগের মতো এখন আর সিনেমা করেন না। তিনি জানান, সিনেমা করতে চাইলেও তাকে বা তার মতো শিল্পীদের সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
এ নিয়ে রিনা খানের কিছুটা আক্ষেপ আছে। গতকাল শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর কবিরপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটিতে পরিচালক সমিতির বনভোজনে বহুদিন পর দেখা গেল তাকে। সেখানে জানতে চাওয়া হয়, আগের মতো তাকে সিনেমায় পাওয়া যায় না কেন? উত্তরে রিনা খান বলেন, আমি তো কাজ করতেই চাই। কিন্তু যে ধরনের চরিত্র করা উচিত তেমন চরিত্র পাই না।
তিনি বললেন, ইন্ডিয়াতে দেখেন আমাদের জেনারেশনের শিল্পীরা এখনো ভিন্ন ভিন্নি ক্যারেক্টার করছে। কিন্তু আমরা সেভাবে করতে পারছি না। অনেকদিন ঘরে বসে থাকলে খারাপ লাগে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পারিশ্রমিক নিয়ে বৈষম্য আছে। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। এ কারণে অনেকে শেষ সময়ে কষ্টে থাকে। মাঝেমধ্যে মনে হয় ভাগ্য খারাপ, বাংলাদেশের শিল্পী হয়েছি। অন্য দেশের শিল্পী হলে আরও ভালো থাকতাম।’
গত ১৯৮২ সালে ‘সোহাগ মিলন’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে রিনা খানের। ৪০ বছরের ক্যারিয়ারে প্রায় ৭০০ এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। কূট চরিত্রে সাফল্য পেলেও ইতিবাচক চরিত্রেও দেখা গেছে তাকে সাবলীল অভিনয়ে। রিনা খানের ভাষ্য, ‘আমার অধিকাংশ সিনেমা কাজ ছিল খল অভিনেত্রী হিসেবে। অন্তত ৫০টি ছবিতে পজিটিভ চরিত্রে কাজ করেছি। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া আমাকে খল নায়িকা হিসেবে শীর্ষে রেখেছেন।’
আর এই কথার সূত্র ধরে রিনা খান তার আরো একটি আক্ষেপ জানালেন। তিনি বললেন, এতো কাজ করলেও আমি ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পাইনি। কেন পাইনি জানি না। এটা নিয়ে আমার কষ্ট আছে। তবে সেই কষ্ট পূরণ করে মানুষের ভালোবাসা। রিনা খান বলেন, বাইরে বের হলে মানুষ আমার বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে কথা বলে। শুনেছি, অনেক ফ্যামিলিতে বলা হয় রিনার মতো কূট চাল দিচ্ছে উনি। সেলফি তোলার ধুম পড়ে যায়। আমি মনে করি এটা আমার কর্মের সার্থকতা।