মা-মেয়েকে বাঁচানো গেল না
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:৩৯ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
অত্যাধুনিক চিকিৎসাসেবা প্রদানের পরও মা-মেয়েকে বাঁচানো গেল না। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন ধামরাইয়ে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ সেই গৃহবধূ জোসনা বেগম (২৫) ও শিশু কন্যা মরিয়ম আক্তার।
শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরা অত্যাধুনিক চিকিৎসাসেবা প্রদান করার পরও তাকে বাঁচাতে পারলেন না। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাদের মৃত্যু হয়।
এর আগে শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে ঢাকার ধামরাই পৌরশহরের কুমড়াইল কবরস্থান সংলগ্ন দুইতলা বাড়ির নিচ তলায় একটি রুমে লিকেজ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে স্বামী-স্ত্রী ও শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, মারা যাওয়া গৃহবধূর শরীরের ৭০ শতাংশ ও শিশু মরিয়মের শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
দগ্ধ অন্যরা হলেন- শিশুটির বাবা গার্মেন্টস কর্মী মঞ্জুরুল (৩২), খালা হোসনা (৩০) এবং আরেক খালার মেয়ে সাদিয়া (১৮)। দগ্ধ মঞ্জুরুলের বাড়ি নীলফামারী জেলায়। তারা ওই বাড়িতে ভাড়া নিয়ে পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মো. নিজাম শেখ জানান, শনিবার ভোরের দিকে বিকট একটি শব্দ শুনতে পাই। এরপর ওই ভবনের নিচতলা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখি। পরে বাসাটির ভেতর থেকে পাঁচজনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্বজনরা জানান, ভোরে রান্নার জন্য চুলায় আগুন জ্বালানোর পর লিকেজ থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।