avertisements 2

ছিলেন গাড়িচালক, রাতারাতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:০১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

আড়াই বছর আগে সাভারে মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু মাহমুদুল হাসানের (৩) চিকিৎসা শুরু করেন সবুজ মাতুব্বর, চিকিৎসা বাবদ হাতিয়ে নেন প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা, কিন্তু দীর্ঘদিনেও কোনো উন্নতি হয়নি, উল্টো চিকিৎসার নামে গত ১৮ ডিসেম্বর শিশুটির বাকা পা সোজা করার নামে একটি পা ভেঙে ফেলেছেন কথিত চিকিৎসক সবুজ মাতব্বর,।

বিষয়টি বুঝতে পেয়ে গত ৪ জানুয়ারি সাভার মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিশুর মা পরে বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) সকালে সাভার পৌর এলাকা থেকে পুলিশ অভিযুক্ত সবুজ মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করে,

কথিত চিকিৎসক সবুজ বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ থানার বালিয়া গ্রামের মৃত আবু জায়েদ মাতুব্বরের ছেলে, তিনি সাভারের ডগরমোড়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন ও প্রায় সাত বছর আগে এক চিকিৎসকের ব্যক্তিগত গাড়িচালক ছিলেন,

ভুক্তভোগী শিশু মাহামুদুল হাসান চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার হরিনা গ্রামের বাসিন্দা চিকিৎসার জন্য তার পরিবার সাভারের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিল,

ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ জানায়, গত আড়াই বছর ধরে সাভারে শিশু মাহমুদুল হাসানের পায়ে থেরাপি দিয়ে আসছিলেন সবুজ, এ পর্যন্ত থেরাপির জন্য শিশুটির পরিবারের কাছ থেকে প্রায় পাঁচ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তিনি, তবে এতদিনেও শিশুটির শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।

পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সবুজ প্রকৃত চিকিৎসক নন, এ ঘটনায় বুধবার সাভার মডেল থানায় কথিত চিকিৎসককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা,

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে সবুজ চিকিৎসার নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি সাভারে ডগরমোড়ায় এলাকায় এ ধরনের আরো কয়েকটি দালাল চক্র রয়েছে, তারা চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে মানুষকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2