avertisements 2

বাবা ও মা হারিয়েছেন বেঁচে যাওয়া বর-কনে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৪৩ এএম, ৩ আগস্ট,রবিবার,২০২৫

Text

গত শনিবার বিয়ে হয়েছিল কাওলার হৃদয়ের সঙ্গে আশুলিয়ার রিয়ামণির। দুই দিন পর গতকাল বউভাত শেষে বরকে নিয়ে যেতে এসেছিল কনের পরিবার। বরের বাবা নিজেই গাড়ি চালিয়ে তাদের দিয়ে আসতে গিয়েছিলেন। সেই গাড়িতে ছিলেন কনের মা, খালা ও দুই শিশু। কেউ বাঁচেননি তারা। বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের ভায়াডাক্ট চাপায় পিষ্ট গাড়ির যে দুই আরোহী প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন, তারা সম্পর্কে বর-কনে।

তাদের বউভাতের অনুষ্ঠান ছিল এদিন। যারা মারা গেছেন তারা হলেন- বরের বাবা, কনের মা, কনের খালা ও খালাতো ভাই এবং বোন। গতকাল বিকালে উত্তরায় জসিমউদ্দীন মোড়ে প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে কথা হয় ভুক্তভোগী পরিবারটির সদস্য জাহিদ হাসানের সঙ্গে। দুর্ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত না থাকলেও বেঁচে ফেরা দুই স্বজনের বরাত দিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তার কাছ থেকেই জানা যায় নিহতদের পরিচয়।

জাহিদ জানান, বউভাতের অনুষ্ঠান শেষে তারা বর-কনেকে অতিথি করে বাসায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। বরের বাবা গাড়িতে করে তাদের দিয়ে আসতে যাচ্ছিলেন। গাড়িটিতে ছিলেন মেয়ের মা ফাহিমা বেগম, তার বোন ঝর্ণা বেগম এবং তার দুই সন্তান ৬ বছর বয়সী জান্নাত ও ২ বছর বয়সী জাকারিয়া। তাদের সবাই মারা গেছেন। জাহিদ বলেন, পুরোটাই প্রজেক্টের গাফিলতি। সাড়ে তিনটায় ঘটনা ঘটছে, কোনো লোক আসেনি। চার ঘণ্টা এভাবে পড়ে ছিল।

আমি এসে দেখি আমার ভাইগনা জীবিত, বোন জীবিত। শ্বাস চলতেছে। আমার বেয়াই, যিনি ড্রাইভ করছিলেন, তার হাত কাঁপতেছে। প্রশাসনের লোকদের প্রতি অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ওনারা কিছুই করেননি। ছবি তোলা নিয়া ব্যস্ত।’ পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির এক পাশে থাকা বর ও কনে দুই জনই আশ’ঙ্কা মুক্ত।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2