২৬ দিনেও বিমানবন্দর থেকে বাড়ি পৌঁছাননি কুয়েতফেরত সাইদুর
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ জুলাই,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৫:৪১ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
গত ২১ জুন কুয়েত থেকে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের সাইদুর রহমান (৪৫)। কিন্তু ২৬ দিনেও বাড়িতে পৌঁছাননি তিনি। তার সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। এ ঘটনায় ২৫ জুন সাইদুর রহমানের স্ত্রী রেহেনা বেগম বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
সাইদুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সিঙ্গাইর উপজেলার বাইমাইল গ্রামে। তার বাবার নাম সুলতান মাহমুদ। সাইদুরের বাড়িতে স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছেন।
পুলিশ ও জিডি সূত্রে জানা গেছে, ২১ জুন সকাল সাড়ে ৮টায় সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে কুয়েত থেকে রিয়াদ হয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান সাইদুর রহমান। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তার। স্ত্রী রেহেনা বেগম ও স্বজনরা তাকে বাড়িতে আনতে গাড়ি নিয়ে ওই দিন সকালে বিমানবন্দরে যান। দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষার পর বিমানবন্দরের একটি সূত্রে তারা জানতে পারেন, আনুষ্ঠানিকতা শেষে করে ইমিগ্রেশন থেকে সকালেই বের হয়ে গেছেন সাইদুর। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ।
পরে আত্মীয়-স্বজন, বিদেশে তার সহকর্মী, স্থানীয় থানা ও বিমানবন্দর থানা পুলিশের কাছে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি পরিবারের লোকজন। এ অবস্থায় ২৫ জুন তার স্ত্রী বিমানবন্দর থানায় জিডি করেন।
সাইদুর রহমানের ছোট বোন আকলিমা আক্তার রবিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বড় ভাই সাইদুর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ছুটিতে কুয়েত থেকে দেশে ফিরেছেন। তার পাসপোর্ট নম্বর বি-কিউ-০৩০৩৯২৭ এবং বিমানের টিকিট নম্বর-০৬৫৫৮৮৫১১২০৪১। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার পর ইমিগ্রেশনের সব কাজ শেষ করে বাইরে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। ২৬ দিন পার হলেও ভাইয়ের সন্ধান পাচ্ছি না। আমরা তার জন্য উদ্বিগ্ন দিন কাটাচ্ছি।’
সাইদুরের স্ত্রী রেহেনা বেগম বলেন, ‘সর্বশেষ কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালামাল বুকিং দিয়ে বিমানে ওঠার পর স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছিল। শাহজালাল বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিক শেষ করে থেকে বের হয়েছেন। এরপর থেকে স্বামীর খোঁজ পাচ্ছি না। স্বামীর সন্ধানে পুলিশ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাই।’
নিখোঁজ সাইদুর রহমানের স্ত্রীর করা জিডি তদন্ত করছেন বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল লতিফ মিয়া। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিক কাজ শেষ করে বের হয়ে নিখোঁজ হন সাইদুর রহমান। তার বাংলাদেশি মোবাইল নম্বর নেই। থাকলে প্রযুক্তির সহায়তায় সহজেই সন্ধান পাওয়া যেতো। এ জন্য তাকে খুঁজতে সময় লাগছে। আমরা বিভিন্নভাবে সন্ধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’