avertisements 2

রাত-দিন কর্মব্যস্ত সেই মাওয়া ফেরিঘাট এখন ঘুমিয়ে আছে!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ জুন,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:২৩ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

রাত কিংবা দিন, মানুষের চলাফেরা ও যানবাহনের শব্দে যেখানে প্রতিটা মুহূর্ত জানান দিত কর্ম ব্যস্ততার সেই স্থানটি আজ ঘুমিয়ে আছে সকাল থেকেই। নেই কুলিদের হাঁকাহাঁকি, যাত্রীর ব্যস্ততা। বাস স্টপেজে অলস পড়ে রয়েছে ব্যস্ত বাসগুলো। একদিনের ব্যবধানে এ যেন অচেনা এক স্থান।

হুইসেল বাজিয়ে ঘাটে ভিড়ছে না বা দূর গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে না কোনো লঞ্চ বা ফেরি। ঘাটে গড়ে ওঠা রেস্টুরেন্টেও নেই হাঁকডাক। চিরচেনা ব্যস্ত মাওয়া ঘাট এখন অতীত!  আর এ দৃশ্যের জন্ম দিয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু।

অথচ এই ঘাট সকাল কি সন্ধ্যা ২৪ ঘণ্টাই জনাকীর্ণ থাকত। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতো যানবাহনের সারি। ক্লান্ত চোখগুলো জেগে থাকত লঞ্চ বা ফেরির অপেক্ষায়। মাওয়া ঘাটে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা রিকশার সংখ্যা যেমন কমে গেছে তেমনি যারা আছেন তারা যাত্রী সংকটে। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ায় আজ কোনো যাত্রী নেই।

অন্যদিকে ঘাটের রেস্টুরেন্টে নেই কোনো খরিদ্দার। তবুও খরিদ্দারের আশায় দোকান খুলে আছেন রেসটুরেন্টের মালিকরা। অলস বসে থাকা রেসটুরেন্ট মালিকদের ভাষ্য, আমাদের দিন শেষ হতে চলল। আগের সেই জৌলুস আর থাকবে না। তবে, সন্ধ্যার পর হয়তো টুরিস্টের ভিড় বাড়তে পারে।

শনিবার (২৫ জুন) বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মুহূর্তেই অবসান হয়েছে দীর্ঘ ভোগান্তি আর যানজটের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন দেশের বৃহত্তম এবং পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘ এই সেতুটি। আর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, রোববার (২৬ জুন) সকাল ৬টাই খুলে দেয়া হয় যানবাহন খুলে চলাচলের জন্য। গাড়িগুলো ভোর রাত থেকেই জমা হতে থাকে পদ্মা সেতুর টোলপ্লাজায়।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2