প্রেমের টানে গাজীপুরে এসে প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন আমেরিকান যুবক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ জুন,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৩৮ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
গত রোববার (২৯ মে) গাজীপুর সিটির বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকায় সাইদার বাড়িতে এসে উঠেন রায়ান কফমান (৩৭) নামের এক মার্কিন যুবক। এক বছরের সম্পর্কের পর যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরীর ক্যানসাস থেকে বাংলাদেশে এসে প্রেমিকা সাইদা ইসলাম (২৬) কে বিয়ে করেছেন তিনি।
জানা গেছে, সাইদা ইসলাম গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেন মাস্টারের নাতনী ও মৃত সিকন্দার আলীর মেয়ে। তার প্রেমিক রায়ান কফমান যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস সিটির বাসিন্দা। তিনি সেখানে একটি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। পড়াশোনা করেছেন মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত। পরিবারে তার মা-বাবা ছাড়াও এক বড় ভাই রয়েছেন। তারা সেখানে প্রত্যেকেই আলাদাভাবে বসবাস করেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সাইদার নানা মোশারফ হোসেন মাস্টার বলেন, সাইদার বাবা সিকন্দার আলী ঢাকার দনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন, ২০১৯ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করলে মা ও ছোট বোনকে নিয়ে গাজীপুরে নানার বাড়িতে চলে আসে সাইদা। বর্তমানে তারা এখানেই বসবাস করছে। সাইদা ২০২০ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেছে।
সম্পর্কের বিষয়ে সাইদা ইসলাম বলেন, ২০২১ সালে ফেসবুকে প্রথম পরিচয় হয় রায়ান কফমানের সাথে। পরে নিজেদের আলাপচারিতায় ফোন নম্বর ও ঠিকানা বিনিময় হয়। নিয়মিত যোগাযোগ হতো, মাঝে মধ্যেই ভিডিও কলে কথা বলতাম। এতে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও বৃদ্ধি পায়। এক বছর প্রেমের পর দুজনে সিদ্ধান্ত নিই বিয়ে করার।
এদিকে, রায়ান বিয়ে করার জন্য তার দেশেই খৃষ্ট ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এ বছরের ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে পৌঁছান তিনি। এদিনই দুইজনের প্রথম দেখা হয়। পরে সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বুধবার (১ জুন) বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। রাইয়ান এখন গাজীপুরে মোশারফ মাস্টারের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
রায়ান বলেন, বাঙালিরা খুবই অতিথিপরায়ণ। আমেরিকায় অচেনাদের সাথে কেউ খুব একটা কথা বলে না বা মিশতে চায় না। কিন্তু বাংলাদেশে আসার পর দেখছি, আমার প্রতি সবাই খুবই আন্তরিক। খাবার-দাবার ও যত্ন নেয়ার বিষয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুবই তৎপর যা আমেরিকায় বিরল। আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। এসব সম্পন্ন হলেই সাইদাকে আমেরিকা নিয়ে যাবো বলেও জানান রায়ান।