avertisements 2

মারল ছাত্রলীগ, রিমান্ডে বিএনপি!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫৮ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

মঙ্গলবার নিউমার্কেটে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পুলিশকে লাঞ্ছিত, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় স্থানীয় বিএনপি নেতা মকবুল হোসেনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম।

অন্যদিকে ওইদিন সংঘর্ষে কারা নেতৃত্ব দিয়েছে, কারা হেলমেট, চাপাতি, রামদাসহ নাহিদ ও মুরসালিন নামের দুই নিরীহ যুবককে হত্যা করেছে, সে তথ্যও ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে। দেখা যায়, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের চার প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের নেতা ও তাদের অনুসারীরা সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাহলে কি ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্থানীয় বিএনপি নেতার নির্দেশে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে?

আমরা বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক সমঝোতার কথা জানি, ছাত্রলীগ থেকে ছাত্রদল বা ছাত্রদল থেকে ছাত্রলীগ। কিন্তু বিএনপির কোনো নেতার নির্দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারধর, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছে এমন উদাহরণ কেউ দেখাতে পারবে না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেদিন নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ থামাতে পারেনি এবং সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর আড়াই ঘণ্টা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। পুলিশ সময়মতো হস্তক্ষেপ করলে হয়তো নাহিদ ও মুরসালিনকে এভাবে প্রাণ দিতে হতো না। নাহিদ একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারী এবং মুরসালিন একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে দোকানের শ্রমিক ও ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। হয়তো এ কারণেই পুলিশ ঠিক করতে পারেনি কোন পথে যাবে। কারণ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান এখন জাতীয় স্লোগান।

বিএনপি নেতার রিমান্ডে কী জানতে চায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী? বিএনপি বা অন্য কোনো দলের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হলে, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করলে বা পুলিশের কাজে বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু সেদিন যা ঘটেছিল তা দিনের বেলায় শত শত মানুষের সামনে ঘটেছিল। টিভিতে ছবি দেখানো হয়েছে। সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। গত শুক্রবার ডেইলি স্টারের ছবিতে দেখা যায়, হেলমেট পরা এক যুবক নাহিদকে লম্বা লাঠি দিয়ে ছুরিকাঘাত করছেন। তার পেছনে হেলমেট পরা আরও ছয় যুবক দাঁড়িয়ে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2