avertisements 2

শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতার মাথা ফাটালেন নেত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০২:১০ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. ইয়াসিনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানান, ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ তুলে বেনজির হোসেন নিশি তার হাতে থাকা মুঠোফোন দিয়ে মো. ইয়াসিনকে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকেন। এতে করে ইয়াসিনের মাথা ফেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ শুরু হয়। একপর্যায়ে ইয়াসিন জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াসিনের মাথায় চারটি সেলাই করেন। পরে চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় পৌঁছে দেন ছাত্রলীগ কর্মীরা।

এ ব্যাপারে মো. ইয়াসিন বলেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অনেক নেতাকর্মীই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে হঠাৎ করে নিশি আপু আমাকে মোবাইল দিয়ে মাথায় আঘাত করতে থাকেন। আমার মাথা ফেটে রক্ত পড়ার পরও তিনি মাথায় আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। হাসপাতালে গিয়ে আমার জ্ঞান ফেরে। মাথায় চারটি সেলাই লেগেছে। চিকিৎসকের পরামর্শে এখন বাসায় বিশ্রামে আছি।

মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি বলেন, ফুল দেওয়ার সময় অনেক ভিড় ছিল। সেখানে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তবে সেটা আমার সঙ্গে ঘটেনি। কে বা কার সঙ্গে ঘটেছে এখন আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যা প্রচার করছে।

এসব বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে ফাল্গুনী দাস তন্বী নামে এক ছাত্রলীগ নেত্রীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ রয়েছে বেনজীর হোসেন নিশির বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে আদলতে মামলাও হয়েছে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন তদন্ত করে সেই মামলার। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আদালত এই ছাত্রলীগ নেত্রীসহ তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে তা মঞ্জুর হয়। সেই মামলা এখনো চলমান।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2