জন্মদিনেই বাসচাপায় প্রাণ গেল ছাত্র মাইনুদ্দিনের
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩০ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১১:২০ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
২০০২ সালের ২৯ নভেম্বর জন্ম মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের। এ বছর এসএসসি পরীক্ষাও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু কে জানত জন্মদিনেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমাবেন মাইনুদ্দিন। সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল বাসের চাপায় নিহত হন তিনি। মাইনুদ্দিনের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বাবা আবদুর রহমান রামপুরায় একটি চায়ের দোকান চালান। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাইনুদ্দিন সবার ছোট।
ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মাইনুদ্দিনের মা রাবেয়া বেগম। তিনি বলেন, জন্মদিনে ছেলে এভাবে চলে যাবে, ভাবতেই পারিনি। মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস বলছে, মাইনুদ্দিন রাত ১০টার দিকে রামপুরার ডিআইটি রোডের সোনালী ব্যাংকের সামনে দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি বাস সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছিল। অন্যদিকে আবদুল্লাহপুর থেকে সায়েদাবাদগামী অনাবিল পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় মাইনুদ্দিনকে ধাক্কা দেয়। এতেই তার মৃত্যু হয়। এরপরে লোকজন ধাওয়া দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গিয়ে বাসটি ধরতে সক্ষম হয় ও চালককে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে। তবে তার আগেই বিক্ষুব্ধ জনতা ১২টি বাসে আগুন দেয় ও ভাঙচুর করে
চলতি বছরের ২৯ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাইনুদ্দিনের দেওয়া একটি স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তিনি লিখেছিলেন- ‘ঠিক ততটা আঁধারে হারিয়ে যাব, যতটা আঁধারে হারালে কেউ সন্ধান পাবে না।’ তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর পরই অনেকে সেই স্ট্যাটাসে কমেন্টস করা শুরু করেন। মাইনুদ্দিনের বন্ধু তালিকায় থাকা আবদুল আজিজ পাটোয়ারী লিখেন, এই কথাটা আজ সত্যি হলো।