ওসমান পরিবারের পূর্ব পুরুষের কবরে শ্মশানের মাটি দিল নাসিক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ আগস্ট,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:১৬ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ওসমান পরিবারের কবরস্থানে শ্মশানের পোড়া মাটি রাখায় ক্ষোভ জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা সরিয়ে নিতে আলটিমেটাম দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেলে শহরের মাসদাইর এলাকার কবরস্থানে গিয়ে এ ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি। এ সময় বাবা-মাসহ স্বজনদের কবর জিয়ারত করেন শামীম ওসমান।
শামীম ওসমান বলেন, ২৭ জুলাই (মঙ্গলবার) আলী আহম্মেদ চুনকা সাহেবের স্ত্রীর কবর জিয়ারত করতে আসি কবরস্থানে। ওই সময় দেখি শ্মশান সংস্কারের কাজ চলছে। আজ এসে দেখি আমার আব্বা-আম্মা, ভাইয়া ও দাদির কবরের ওপর মাটির স্তূপ।
তিনি বলেন, এ কবর আমি নিজ হাতে বানিয়েছি। আজকে আমার কাছে মনে হচ্ছে ব্যর্থ সন্তান আমি। সবার বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই এ ধরনের কাজ কেউ মেনে নেবেন? এটা ইবলিশের কাজ। শয়তান মানুষের ভিতরে প্রবেশ করে এ কাজটি করেছে।
শামীম ওসমান বলেন, এ অবস্থা দেখার পর আমি গাড়িতে একা বসেছিলাম। আমার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। আমি নারায়ণগঞ্জবাসীকে বলতে চাই দয়া করে আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। আমি জানি জনগণের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কতটুকু। এমনিতেই চারদিকে মৃত্যুর মিছিল। এর মধ্যে এ অমানবিক কাজ।
এ বিষয়ে স্থানীয় মসজিদের ইমাম মুহাম্মদ বদরশাহ বলেন, কবরস্থানে শ্মশানের মাটি দেয়া সমীচীন হয়নি। শুধু ধর্মীয় বিষয় নয়, মানবিক দিক থেকেও এটা উচিত নয়। আমি মসজিদে নামাজ পড়াই ও দোয়া করি। এ বিষয়টি আমি দেখভাল করি না।
কবরস্থানের দেখভালের দায়িত্বে থাকা জাকারিয়া বলেন, এটা শ্মশানের মাটি কিনা আমি নিশ্চিত না। তবে ঠিকাদাররা শ্মশান ও কবরস্থানের উন্নয়ন কাজ করেছেন।
জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ঠিকাদার মো. মামুন বলেন, কবরস্থানে শ্মশানের মাটি ফেলা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল না। শ্মশান সংস্কারের সময় মাটি রাখা হয়েছিল। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মাটি এখানে চলে এসেছে।