স্বামী-স্ত্রীর জাল টাকার তৈরীর কারখানার সন্ধান
স্বামী-স্ত্রীর জাল টাকার তৈরীর কারখানার সন্ধান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১২ জুলাই,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৪২ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঈদ ও অন্যান্য উৎসবে রাজধানীতে জাল টাকার কারখানাগুলো তাদের ব্যবসা শুরু করে। এসময় বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দেয় তারা।
রাজধানীর বাড্ডা থেকে এমন একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (১২ জুলাই) বাড্ডা থানার নুরেরচালা সাঈদ নগরে একটি বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। স্বামী-স্ত্রী মিলে সেই কারখানাটি পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আব্দুর রহিম শেখ, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম,গার্মেন্টস ব্যবসায়ী হেলাল খান, আনোয়ার হোসেন ও ইসরাফিল আমিন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) গুলশান বিভাগ বলছে, একটি বাসা নিয়ে ঘরোয়াভাবে জাল নোট তৈরির কারখানা শুরু করে আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম। কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তারা এই কারখানা পরিচালনা করে আসছিল তারা। এই কারখানা থেকে মাসে কোটি টাকার জাল নোট তৈরি করত তারা। কুরাবানীর ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠে তারা।
সোমবার (১২ জুলাই) বাড্ডা থানার নুরেরচালা সাঈদ নগরে এলাকার একটি বাসায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় জানিয়ে ডিবি গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, নুরের চালা সাঈদ নগরের একটি ৭তলা বিশিষ্ট বাড়ির ষষ্ঠ তলায় জাল টাকার কারখানা বানিয়েছিল তারা।
অভিযানে কারখানাটি থেকে ১ হাজার টাকা ও ৫০০ টাকা মূল্যমানের প্রায় ৪৩ লাখ মূল্যমানের তৈরিকৃত জাল টাকাসহ তা তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মূলত আব্দুর রহিম শেখ ও তার স্ত্রী ফাতেমা কারখানাটি পরিচালনা করতো। বাকিরা তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে তারা কারখানায় জাল নোট ছাপানোর কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছিল। তার প্রতিমাসে কোটি-কোটি জাল টাকা ছাপিয়ে মার্কেটে ছাড়তো।
মশিউর রহমান বলেন, গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করে আসতো। ১ লাখ টাকা তারা বিক্রি করতো ১৪- ১৬ হাজার টাকায়। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে তাদের কার্যক্রম আরো বেড়ে যায়। গত গত তিন বছর ধরে ঈদসহ অন্যান্য উৎসব এর আগে আগে জাল টাকা তৈরির কাজে নিয়োজিত থেকে বিপুল সংখ্যক দেশি জাল নোত বাজারে ছেড়েছে তারা। তিনি আরো বলেন, ফাতিমা বেগম ২০১৯ সালে হাতিরঝিল এলাকার একটি বাসায় জাল টাকার তৈরি করার সময় অপর সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল পুলিশের কাছে। তবে ওই সময় তার স্বামী রহিম পালিয়ে যায়।
এর আগে তারা বেশ কয়কবার জাল টাকা ছাড়াও মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল।