বৃষ্টি হলেই ডুবছে রাজধানী, ভোগান্তিতে নগরবাসী
বৃষ্টি হলেই ডুবছে রাজধানী, ভোগান্তিতে নগরবাসী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ জুন,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১৬ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বৃষ্টি হলেই ডুবে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকার বেশিরভাগ সড়ক। এ নিয়ে বেশ ভোগান্তিতে রয়েছে রাজধানীবাসী। বৃষ্টি হলে অফিস যাওয়া বা বাইরে কোন কাজে যেতে ভোগান্তির সাথে অর্থ খরচও বেড়ে যাচ্ছে। গত সোমবারের এক ঘন্টার বৃষ্টিতেও অনেক এলাকা ডুবে যায়। এছাড়া জুন মাসের এক তারিখের পর থেকে বৃষ্টিতে রাস্তা ডুবে যাওয়া, নিচ তলার ঘরে পানি ঢুকে যাওয়া নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে নগরবাসীর।
গতকাল ২৫ মিলি মিটার বৃষ্টিতে ডুবে যায় রাজধানীর মূল সড়কসহ বেশিরভাগ এলাকার ওলি-গলির রাস্তা। যার যার বাড়ির সামনের রাস্তা, কিংবা গাড়ি, রিকশায় করে যাতায়াতের সময় ভোগান্তির চিত্র ছবি ও ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। মূল সড়কের পানি কয়েক ঘন্টা পর নেমে গেলেও এলাকাগুলোর অলি-গলি রাস্তার পানি কয়েকদিন ধরেই জমে থাকছে।
সরেজমিন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট থেকে দেখা যায়, পুরান ঢাকার বেশিরভাগ রাস্তা, যাত্রাবাড়ি, ডেমরা, যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভার থেকে শনির আখড়ার দিকে নামার রাস্তা, ধানমন্ডি, ঝিগাতলা, মতিঝিল, মগবাজারের মধুবাগ, মালিবাগ, তুরাগ, উত্তরখান, দক্ষিণখান, আশকোনা, নদ্দাপাড়া, ডুমনি এলাকা হাটু থেকে কোমড় পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
আয়েশা সিদ্দিকা তামান্না বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই ডিএনসিসির ৪৯ নং ওয়ার্ডের আশকোনা এলাকা ডুবে যায়। প্রায় একমাস ধরে এলাকার প্রত্যেকটি বাড়ির নিচ তালায় পানি ঢুকে রয়েছে। অথচ সিটি করপোরেশনের এ বিষয়ে কোন চিন্তাই নেই।
মগবাজারের মধুবাগের বাসিন্দা আলী আসিফ শাওন বাসা থেকে অফিস যাওয়ার সময় তলিয়ে যাওয়া রাস্তার ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেন।
শনিরআখড়ার বাসিন্দা ইলিয়াস হোসাইন বলেন, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে উঠার পুরো রাস্তাই ডুবে গেছে। এছাড়া অলি গলির রাস্তা ডুবে যাওয়ায় বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ২০ টাকার রিকশাভাড়া ৫০ টাকা লেগেছে বলেও জানান তিনি।
ধানমন্ডির বাসিন্দা ইমরান শরিফ ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন যাতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি রাস্তা পার হবার সময় ম্যানহোলের খোলা ঢাকনায় পা ঢুকে পড়ে গিয়েছেন।
এদিকে ভোগান্তির নিরসন না হওয়া ও প্রতিনিয়ত ভোগান্তি বেড়ে যাওয়ার কারণে এ নিয়ে তেমন একটা প্রতিক্রিয়া দেখান না নগরবাসী। রাস্তায় অনেকের সাথে সাংবাদিক হিসেবে আলাপ করতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। তারা বলেন, আপনাদের লিখে তো কোন কাজ হয় না। শুধু শুধু লিখে কি লাভ। আর আমাদের বলেই কি লাভ।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম গতকাল দাবি করেছেন সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই প্রবল বৃষ্টিপাতেও পানিজটের ভোগান্তি থেকে নগরবাসীকে মুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে। মেয়র বলেন, অন্যান্য বছর সামান্য বৃষ্টিতেই ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা-ঘাট ডুবে যেতো, পানিজটে নগরবাসীকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। কিন্তু এবার রেকর্ড পরিমাণ বৃস্টিতেও নগরবাসীকে পানিজট সমস্যায় ভুগতে হচ্ছেনা।