avertisements 2

‘নীরব এলাকা’য় পরিণত হচ্ছে আগারগাঁও

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১৭ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

আগামী সপ্তাহ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকাকে শব্দদূষণমুক্ত ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আশরাফউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আগারগাঁওকে শব্দদূষণ কমিয়ে নীরব এলাকা হিসেবে বাস্তবায়ন করতে মোবাইল কোর্ট কাজ করবে। এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা অন্য এলাকায় একই কার্যক্রম পরিচালিত করবো।’ বুধবার (৯ জুন) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় গণমাধ্যমকর্মীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।

মহাপরিচালক বলেন, ‘আজকের আলোচনায় আমরা হাইড্রলিক হর্নের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, পাঠ্যপুস্তকে শব্দদূষণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা, আইনের কঠোর প্রয়োগ, শিল্প-কারখানায় সহায়ক উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ পেয়েছি। এ সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে আমরা সচেষ্ট থাকবো।’ পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার পেছনের যে কয়েকটি বিষয়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি তার অন্যতম শব্দদূষণ। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি বন্ধসহ শব্দদূষণ রোধে মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়ার কথা জানিয়েছেন পরিবশে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর।

হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘শব্দদূষণের ভয়াবহতা বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ২০২০-২০২২ মেয়াদে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।’

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশে মাদক নিয়ন্ত্রণ, বাল্যবিবাহ নিয়ন্ত্রণ, যৌতুক, ইভটিজিংসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে সংবাদকর্মীরা গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। পরিবেশ দূষণের বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে তারা পরিবেশ অধিদপ্তরকে সহায়তা করে যাচ্ছেন। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণেও আমরা তাদের পাশে পাবো বলে বিশ্বাস করি।’

আয়োজনে একটি প্রবন্ধে বিশেষ অতিথি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান প্রফেসর শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমি বলেন, ‘পৃথিবীর জ্ঞান-বিজ্ঞান যত এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদের জীবন সহজ হয়ে উঠছে। সেই সাথে আমাদের পরিবেশও দূষিত হচ্ছে। শব্দদূষণে শিশুদের স্বাস্থ্যের ওপরও মারাত্মক প্রভাব পড়ে।’

প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিদ মজুমদার বাবু বলেন, ‘যানবাহনজনিত শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক আইন খুব কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। শব্দদূষণের উৎস যেমন কলকারখানা বা নির্মাণকাজে যারা কাজ করেন তাদের মধ্যেও সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। যে ধরনের সহায়ক উপকরণ ব্যবহার করে শব্দদূষণের ক্ষতি হ্রাস করে তাদের কাজ করার কথা, সেগুলো ব্যবহার করা হয় না।’

আয়োজনের বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘শব্দদূষণের ভয়াবহতার ফলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় কার্যকর কিছু পদক্ষেপ গৃহীত হবে বলে আমরা আশা করি। বাংলাদেশ টেলিভিশন এসব ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।’

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রধান অতিথি তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার বলেন, ‘যেকোনো ক্যাম্পেইন সফল করতে হলে পরিকল্পনা ও অর্থের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারদের সম্পৃক্ত ও সচেতন করা জরুরি। মানুষকে সচেতন করার জন্য তথ্য প্রদান করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মিডিয়া কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2