avertisements 2

আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:১৬ এএম, ২৮ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেছ পুলিশ। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ আমাদের সময়কে বলেন, আজ সন্ধ্যায় মিরপুর থেকে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে রিমান্ডে আনা হবে।

মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে হারুন অর রশিদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে যেসব অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে তার প্রেপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মিল্টন সমাদ্দার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার লাখ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। সম্প্রতি তার সেবামূলক কর্মকাণ্ডের আড়ালে ভয়ঙ্কর সব অপরাধের চিত্র তুলে ধরে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

মিল্টন সমাদ্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামের বৃদ্ধাশ্রম গড়ে রাস্তা থেকে অসুস্থ কিংবা ভবঘুরেদের কুড়িয়ে সেখানে আশ্রয় দেন। সেসব নারী, পুরুষ ও শিশুকে নিয়ে ভিডিও তৈরি করে প্রায়ই তাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করতে দেখা যায়। মানুষের অসহায়ত্ব তুলে ধরে তাদের জন্য বিত্তবানদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।

তার আবেদনে সাড়া দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ১৬টির বেশি নম্বর এবং তিনটি ব্যাংক হিসাবে প্রতি মাসে প্রায় কোটি টাকা জমা হয়। এর বাইরে অনেকেই তার প্রতিষ্ঠানে সরাসরি অনুদান দিয়ে আসেন। মানবিক কাজের জন্য এখন পর্যন্ত তিনটি রাষ্ট্রীয় পুরস্কারও পেয়েছেন মিল্টন সমাদ্দার।

তবে মানবিকতার আড়ালে ভয়াবহ প্রতারণার জাল বিস্তার করেছেন মিল্টন। প্রকৃতপক্ষে তিনি যে কয়জনকে লালন-পালন করছেন, প্রচার করছেন তার চেয়ে কয়েক গুণ। লাশ দাফন করার যে হিসাব দিচ্ছেন, তাতেও আছে বিরাট গরমিল। মিল্টনের বিরুদ্ধে রয়েছে অসহায় মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার নামে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির অভিযোগও উঠেছে।

এ ছাড়া গুরুতর অসুস্থদের হাসপাতালে না নিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে আটকে রাখা, ভুয়া ডাক্তার কর্তৃক মৃত্যুর সার্টিফিকেট তৈরির অভিযোগ রয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য আসার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার সৃষ্টি হয় তাকে নিয়ে। অনেকেই তাকে গ্রেপ্তারের দাবি করেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ডিএমপি কমিশনারকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।  

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2