avertisements 2

বেনাপোল এক্সপ্রেসের যাত্রী চন্দ্রিমাকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ জানুয়ারী,রবিবার,২০২৪ | আপডেট: ০৮:৪৯ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী চন্দ্রিমা চৌধুরী। চন্দ্রিমার খোঁজে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে হন্যে হয়ে ছুটছেন পরিবারের সদস্যরা। ট্রেনে আগুন লাগার আধা ঘণ্টা আগেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয় তার। তবে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে তার খোঁজ মেলেনি বলে জানায় তার পরিবার।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে চন্দ্রিমাকে খুঁজতে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যায় শিক্ষার্থী  চন্দ্রিমা চৌধুরীর বাড়ি রাজবাড়ীতে।

এ সময় চন্দ্রিমার ফুফাতো ভাই অনিন্দ্য পাল জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাজবাড়ী থেকে ঢাকার উদ্দেশে বেনাপোল এক্সপ্রেসে ওঠেন চন্দ্রিমা। এরপর বেশ কয়েকবার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর তার ফোন নম্বরে কল করা হলে তখন ব্যস্ত পাওয়া যায়। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ রয়েছে, কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় বড় ভাইয়ের বাসায় থেকে চন্দ্রিমা লেখাপড়া করছিলেন জানিয়ে অনিন্দ্য বলেন, গতকাল রাত থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ আশপাশের সব হাসপাতালে আমরা খুঁজেছি। হাসপাতালের মর্গে গিয়েও তার খোঁজ পাইনি। পাগলের মতো আমরা তাকে খুঁজছি কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে চার জন নিহত হন এবং আহত হয়ে এখন পর্যন্ত ৮ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন। রাত সাড়ে ১২ দিকে চারজনের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়।

ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপপরিদর্শক সেতাফুর রহমান জানান, মরদেহ চারটি পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে তাদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন শিশু এবং বড় চুল দেখে একজনকে নারী হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। বাকি একজন পুরুষ নাকি নারী, তা দেখে বোঝার উপায় নেই।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2