avertisements 2

দাদাকে দেখে ঘরে ফেরা হলো না ইয়াসিনের

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৯ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:২৪ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

বাবার জন্য খাবার নিয়ে রাজধানীর খিলক্ষেতের নামাপাড়ায় যাচ্ছিলেন মো. সুমন মিয়া। সে সময় দাদাকে দেখতে যাওয়ার বায়না ধরে তার ছেলে ইয়াসিন (৭)। সন্তানকে খুশি করতে সঙ্গে নেন সুমন। সেখানে দাদা মফিজুল ইসলামের সঙ্গে ভুনা খিচুড়ি ও পিঠা খাওয়ার পর বিদায় নেয় ইয়াসিন।

বাসে ওঠার জন্য বাবার হাত ধরে খিলক্ষেত বাজার সংলগ্ন ফুডওভার ব্রিজের পাশে যাত্রীছাউনি নিচে অপেক্ষা করছিল সে। এ সময় ব্রিজের নিচে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে আসা বেপরোয়া গতির একটি গাড়ির ধাক্কায় ওই শিশুসহ তিন জন নিহত হয়। গুরুতর আহত হন সুমন। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খিলক্ষেত থানার পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলেই শিশু ইয়াসিন প্রাণ হারায়। স্থানীয়রা বাকিদের উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাত ১১টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে উজ্জ্বল পান্ডে (২৬) নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১টায় মারা যান আহত আরমিনা হক (৩৪)। ঢামেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ব্লকের অর্থপেডিক বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুমন।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, বাবাসহ স্বজনরা সুমনের পাশে আছেন। ইয়াসিনের মৃত্যুর কথা সুমনকে জানানো হয়নি। তিনি ছেলের কথা জানতে চাইলে বলা হয়, ইয়াসিন বাসায় আছে। হাসপাতালে ডিউটিরত চিকিৎসকরা জানান, সুমন গুরুতর আহত হয়েছেন। হাত-পায়ের বিভিন্ন স্থানে ফ্র্যাকচার (ভেঙেছে) রয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক।

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে সুমন। ইয়াসিন ছিল তার একমাত্র সন্তান। মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পাশে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকতেন সুমন। তার বাবা মফিজুল ইসলাম খিলক্ষেত নামাপাড়া এলাকায় থাকেন। তিনি নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2