সড়কে নিভল উম্মে হাবিবার স্বপ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ নভেম্বর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:০৯ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রাজধানীর ডেমরায় সড়কে নিভে গেল উম্মে হাবিবা নামের ১১ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রীর স্বপ্ন। বৃহস্পতিবার সকালে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়কের পাইটি এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় লেগুনা যাত্রী হাবিবার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
ডেমরার মধ্য হাজীনগর এলাকায় রুহুর আমিন পাটোয়ারীর বাড়িতে প্রায় ১০ বছর যাবত ভাড়া থাকেন হাবিবার বাবা স্যানিটারি মিস্ত্রী মো. সোবাহান। ৪ মেয়ের মধ্যে ২ বোনের ছোট হাবিবা। সে মাতুয়াইল ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে (সিবতাতা) অধ্যয়নরত ছিল। তার স্বপ্ন ছিল মাদ্রাসা শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের, কিন্তু অকাল মৃত্যু সে স্বপ্ন আর বাস্তবায়ন হতে দেয়নি।
প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার বাসা থেকে বেরিয়ে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার থেকে লেগুনায় চড়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনা শিকার হয় হাবিবা। পথে বাসের সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষ হলে হাবিবাসহ আরও ৩ যাত্রী নিহত হন।
নিহত হাবিবার বাসায় গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম। হাবিবার বাবা-মা, আত্মীয়স্বজনরা হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন কিছুক্ষণ পরপর। তাদের কান্নায় যেন চারদিকের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।
এ সময় হাবিবার বাবা মো. সোবাহান বলেন, আমার মেয়ে আমার খুবই ভক্ত ছিল। সে খুবই শান্ত স্বভাবের মেয়ে। প্রতিদিনই মেয়েটি একটা না একটা বায়না ধরত। ওই দিন সকালে আমি ওকে বলি তোমার কাকা আজকে তোমাকে মাদ্রাসায় নিয়ে যাবে, সে বলে আমি নিজেই যেতে পারব বাবা, কারণ আমি এখন সবই চিনি। এরপরে আমি কাজে চলে যাই। পরবর্তীতে দুপুর ১২টার সময় শুনতে পাই আমার মেয়ে হাবিবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। একথা শোনার পর মনে হলো আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। মেয়ের ইচ্ছা ছিল কুরআনে হাফেজ হবে। বড় হয়ে কলেজ, ভার্সিটিতে পড়াশোনা করবে। তার ইচ্ছা আর পূরণ হলো না। আমি আমার মেয়েকে আর কখনো দেখতে পাব না। এসব বলতে বলতে হাবিবার বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েন।