avertisements 2

পিকনিকে আর যাওয়া হলো না, ৭ জন চলে গেলেন না ফেরার দেশে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ আগস্ট,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:১৪ এএম, ৫ মে,রবিবার,২০২৪

Text

ছুটির দিনকে সামনে রেখে ঢাকার সাভার এলাকার এসবিনিটিং কম্পানিতে কর্মরত ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী সিলেটের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে রওয়ানা দেন। কিন্তু নরসিংদী পৌঁছানোর পর ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি দুর্ঘটনায় ৭ জন মারা গেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।  ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর শিবপুরের পুটিয়া ইউনিয়নের ঘাসিরদিয়া এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইলের দেলদোয়ার থানার মীর মোতাহার হোসেনের ছেলে সবুজ মিয়া (৩২), ঝালকাঠির রাজাপুর থানার আব্দুল গণি হাওলাদারের ছেলে আল আমিন হাওলাদার (৩৭), মির্জাপুরের জেলার মির্জাপুরের মৃত আইয়ুব খানের ছেলে আল আমিন (২৭), মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার তোফায়েল হাওলাদারের ছেলে আব্দুল আওয়াল (৪০), বরিশালের মুলাদী এলাকার মুজিবুর হাওলাদারের ছেলে আরিয়ান ওরফে রায়হান (২৫), জামালপুরের সরিষাবাড়ির দুধু মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া (৩৭) এবং গাড়ি চালক মো. নাসির। প্রাথমিকভাবে আহতদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

নিহত আল আমিন খানের ছোট ভাই আদিফ খান বলেন, ঢাকা সাভারে ইপিজেড এলাকায় এসবি নিটিং কম্পানিতে মার্চেন্টাইজার হিসেবে চাকরি করতেন আল আমিন। ওই কম্পানির সবাই রাত ১২টার দিকে সিলেটে বেড়ানোর উদ্দেশে যাচ্ছিলেন।

আমি সিলেটে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি এবং তার আমার সাথে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু তার হলো না। এখন লাশ নিতে নরসিংদী সদর হাসপালে এসে দাঁড়িয়ে আছি। ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সাভার থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস সিলেট যাচ্ছিল।

মাইক্রোবাসটি শিবপুরের ঘাসিরদিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ৬ জনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যায় আরো ২ জন। আহত বাকি ৪ জনকে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।  শিবপুর থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, মাইক্রোবাসটির উচ্চগতি দুর্ঘটনার মূল কারণ- প্রাথমিকভাবে এমনটাই ধারণা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2