শেখ রাসেলের চলাফেরা ছিল সাধারণ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৩৩ এএম, ১৯ অক্টোবর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০৫:২৩ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
বঙ্গবন্ধুর ছেলে হয়েও শেখ রাসেলের চলাফেরা ছিল খুব সহজ সরল, সাধারণ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
রোববার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে হাসুমণির পাঠশালা আয়োজিত ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ অবলম্বনে গোলটেবিল আলোচনা, শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিশুতোষ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও ‘আঁক তোমার স্বপ্ন’ শীর্ষক এ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও ভার্চ্যুয়াল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে তিনি একথা বলেন।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমার ছোট বোন ও শেখ রাসেল একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। তার কাছ থেকে একাধিকবার শেখ রাসেলের কথা শুনেছি। শেখ রাসেল বঙ্গবন্ধুর ছেলে হয়েও চলাফেরা ছিল খুব সাধারণ। তার বুদ্ধিদীপ্ত আচরণ ও আন্তরিকতা সবাইকে মুগ্ধ করতো। শেখ রাসেলের বিভিন্ন শিক্ষকও বলেছেন, তাদের শিক্ষক জীবনে শেখ রাসেলের মতো শিক্ষার্থী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।
‘বর্তমান শিক্ষার্থীদের শেখ রাসেলের জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। ছোট্ট একটা শিশু হয়েও সে কীভাবে শিক্ষকদের সঙ্গে ব্যবহার করতো, সবাইকে সম্মান দিতো। বঙ্গবন্ধু নিজেও শিক্ষকদের আলাদা মর্যদা দিতেন। আজ কি সেই সময় আছে? আমাদের ভাবতে হবে, বঙ্গবন্ধু কোন আদর্শে চলতেন। আমাদের সেই আদর্শ মেনে চলা খুব প্রয়োজন। ’
করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। প্রধান আলোচক ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া রেজওয়ান, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপি।
জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। এরপর ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সব শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
প্রধান আলোচক একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির প্রতিটি মানুষ মানবিকবোধে গুণান্বিত। শেখ রাসেল মাত্র ১০ বছরের শিশু হয়েও সেই মূল্যবোধে তাদের একজন হয়ে উঠেছিল। তবে ঘাতকেরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্য করলেই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না। সেই প্রত্যাশায় তারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ছোট্ট শিশুটিকেও ছাড় দেয়নি। কিন্তু তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বরং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্ব বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।