দালাল ধরতে একযোগে সারাদেশে র্যাবের অভিযান চলছে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:০৪ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
দালাল ধরতে সারাদেশের বিআরটিএ, পাসপোর্ট অফিস ও সরকারি হাসপাতালগুলোতে একযোগে অভিযান শুরু করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সারাদেশে আজ সকাল থেকে দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন একযোগে অভিযানে নেমেছে। পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ কার্যালয়, সরকারি হাসপাতালসহ যেখানেই দালালদের দৌরাত্ম্য, সেখানেই অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
এরইমধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও পাসপোর্ট অফিসে দালালদের বিরুদ্ধে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে ৫১ জনকে আটক করেছে র্যাব।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বিআরটিএ অফিসে দালালির অভিযোগে ৩৬ জন ও পাসপোর্ট অফিসে দালালির অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করে র্যাব-১০। পাসপোর্ট অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম।
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস এলাকায় রোববার সকাল থেকে অভিযানে নেমেছে র্যাব-২ এর একটি দল। সেখানে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-২ এর মোবাইল কোর্ট চলমান রয়েছে।
র্যাব-৩-এর সহযোগিতায় অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। দুপুরের দিকে অভিযান শেষ হয়।
অভিযান শেষে ঢামেকের বাগান গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু সাংবাদিকদের জানান, গোয়েন্দা সূত্রের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আগের মতোই আমরা আজকে অভিযান পরিচালনা করি। প্রথমে ৪০ এর অধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তাদের যাচাই-বাছাই শেষে স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ ৩০ জন দালালকে বিভিন্ন মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ঢামেক হাসপাতাল হচ্ছে রোগীদের জন্য শেষ ভরসা। সব শ্রেণির মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসে। নামমাত্র মূল্যে এখানে রোগীদের সেবা দেওয়া হয়। এই সঙ্গবদ্ধ দালাল চক্র কৌশলে বুঝিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের নিম্নমানের হাসপাতলে নিয়ে যায়। সরল মনে রোগীরা সেখানে গিয়ে প্রচারিত হয়। সেইসব নিম্নমানের হাসপাতালগুলোতেও আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। এসব সংঘবদ্ধ দালাল চক্র চিকিৎসকদের চিকিৎসার বাধা সৃষ্টি করে থাকে।