দালালদের ‘হালাল’ করতে চান পাসপোর্ট মহাপরিচালক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ আগস্ট,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫৮ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
পাসপোর্টে দালালদের প্রভাব ঠেকাতে ও নাগরিকদের উন্নত সেবা দিতে ‘হালাল’ উপায় চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের। এ জন্য এক ধরনের ‘এজেন্সি’ সেবা চালু করতে চান ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী।
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী বলেন, লকডাউন উঠে যাওয়ায় এখন নতুন পাসপোর্ট এবং পুরনো পাসপোর্টের রি-ইস্যুর আবেদন বেড়েছে। এছাড়া মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হওয়ায় পাসপোর্টের চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া ও-লেভেল, এ-লেভেল শিক্ষার্থীসহ বিদেশে অধ্যয়নে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদেরও পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়।
পাসপোর্টের চাহিদা থাকার কারণে দালালদের দৌরাত্ম্য আছে, তবে সেটি আগের মতো নয়। অনেক সময় ফরম পূরণের কাজটি করে দিচ্ছে দালালরা। তবে সঠিকভাবে ফরম পূরণ করার কাজটি কোনো এজেন্সি করে, তাহলে দালালদের প্রভাব থকবে না।
এক্ষেত্রে তিনি উল্লেখ করেন, দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে নাগরিকদের ফরম পূরণ করে দিতে ডিজিটাল সেন্টারগুলোর সাহায্য নেয়া হয়। তারা কিছু টাকা চার্জ করে। অনেক দেশের দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করলে এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।
আবার অনেক দেশে থাকা বাংলাদেশের দূতাবাস থেকেও পাসপোর্ট রি-ইস্যুর আবেদন বাংলাদেশে আসে এজেন্সির মাধ্যমে। পুরো ব্যবস্থাটাকে এভাবে সাজালে দালালদের কাছে গিয়ে সাধারণ নাগরিকদের হয়রানি বা প্রতারিত হতে হবে না। বরং তারা একটি পেশাগত সেবা পাবেন। চাইলে গ্রাহক ঘরে বসেই এজেন্সির মাধ্যমে পাসপোর্টটি পেয়ে যাবেন।
তবে এজেন্সি ব্যবস্থাকে বাধ্যতামূলক করা হবে না বলেও তিনি জানান। যারা নিজেরা উপস্থিত হয়ে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সেবা নিতে চান, তাদের অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সেবা দেওয়া হবে।
দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে দাবি করেন মহাপরিচালক। একই সঙ্গে অধিদপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন কার্যালয়ে দায়িত্বরত কর্মীদের বিরুদ্ধে দালালদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলেও তিনি জানান।
বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসীদেরও দ্রুততার সঙ্গে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেনারেল আইয়ুব। এক্ষেত্রে এক থেকে দেড় মাস সময়ের মধ্যে তাদের সেবা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, অনেক সময় বিদেশ থেকে পাসপোর্ট আমাদের কাছে আসতে দেরি হয়। সাধারণত এগুলো অনেক সময় বিদেশ থেকে আসতে কুরিয়ার বা অন্য কোনো কারণে দেরি হয়।
তবে আমাদের সিস্টেমে আসা মাত্রই দ্রুত সেগুলো নিয়ে কাজ করা হয়। বিশ্বের অন্যতম সেরা কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান ফেডেক্সের মাধ্যমে সেগুলো পাঠিয়েও দেওয়া হয়।
দালালদের তৎপরতা কমাতে এবং নাগরিকদের সচেতন হতে দেশের গণমাধ্যমের কাছেও সাহায্য চেয়েছেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।