avertisements 2

ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২৫ | আপডেট: ০৩:২৬ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারী, বুধবার,২০২৫

Text


সাবেক স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন অভিযোগের গুরুতর প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন। তদন্তে দেখা গেছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার গণআন্দোলন দমনে নৃসংশ পন্থা অবলম্বনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আ. লীগ সরকার প্রত্যক্ষ ইন্ধন দিয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে এই তদন্তের ১০০ পৃষ্ঠার বেশি প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে জাতিসংঘ। সরকারের নির্ভরযোগ্য বেশ কয়েকটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে নিজেদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের (তদন্ত কমিশন) একটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ সরকারের কাছে পাঠায় জাতিসংঘ। ওই সময় সরকারের কাছ থেকে এ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে সেটি দেওয়া হয়। এরপরই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে জাতিসংঘ। 

প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্যের বিষয়ে সরকারের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জুলাই-আগস্টের নৃশংসতায় বিগত সরকারের প্রত্যক্ষ ইন্ধন পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন। বিশেষ করে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

 
তবে কিছু কিছু ঘটনা লোকমুখে শোনা বা পুরোপুরি তথ্য-উপাত্ত প্রদান না করতে পারায় তদন্ত কমিশন পুনরায় ওইসব ঘটনাবলি তদন্ত করার পরামর্শ দিয়েছে। প্রতিবেদনটিতে জুলাই-আগস্টে কী কী ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে করণীয় নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

 
জানা গেছে, এই প্রতিবেদনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গুরত্বসহকারে এসেছে। এতে আবু সাঈদের মারা যাওয়া ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশ যে আবু সাঈদকে গুলি করছে এবং গুলিতে তার শরীর থেকে রক্ত ঝরছে, এমন ছবি খুব কাছ থেকে জুম করে দেখানো হয়েছে। এছাড়া পুলিশের গুলির সময়ে তার কাছে যে কোনো অস্ত্র ছিল না সেটিও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ‘গুলি করার পরও মানুষ সরে যায় না’ বলতে শোনা ওই পুলিশ কর্মকর্তার ভিডিও, রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে পুলিশের নির্বিচারে গুলি করে মানুষ মারার দৃশ্য প্রতিবেদনে  উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে জুলাইয়ের বেশ কিছু ঘটনার জন্য সরেজমিনে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া ছাদ থেকে শিক্ষার্থীদের ফেলে দেওয়ার একটি ঘটনা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2