স্যাংশনস দুর্নীতি দমনের হাতিয়ার: রিচার্ড নেফিউ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৮ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৩০ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
রিচার্ড নেফিউ। ছবি: সংগৃহীত
স্যাংশনকে দুর্নীতি দমনের হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ।
সোমবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলাপে তিনি এ কথা বলেন।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নেফিউর সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রসচিব সাংবাদিকদের বলেন, এটি (স্যাংশন) যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে, শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, নেফিউ বলেছেন যে বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রমকে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এটি ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে পারে। আমরা তাকে সক্ষমতা বৃদ্ধির কথা বলেছি এবং যেসব দেশে অবৈধভাবে অর্থ গেছে তাদের সহায়তা পাওয়ার কথা বলেছি।
১১ জনের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি (রিচার্ড) নিজেও যেহেতু স্যাংশনসের কর্মকর্তা ছিলেন এক সময়, সুতরাং কোনো ইন্ডিভিজ্যুয়ালের কথা বলেননি। বলেছেন, স্যাংশনস ইজ অ্যা টুল, এ ধরনের চিন্তাভাবনা আছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের কিছু না। ওরা বলছে, বড় বড় প্রজেক্ট, ব্লু ডট প্রয়োগ। সেখানে ভবিষ্যতে বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রে ওই ধরনের প্রজেক্টকে অগ্রাধিকার দেবে। তবে ইন্ডিভিজ্যুয়ালের বিরুদ্ধে বা কোনো দেশের বিরুদ্ধে হবে কি না এগুলো নিয়ে আলাপ হয়নি।
টাকা পাচার নিয়ে নেফিউরের কোনো মতামত ছিল কি না জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মানি লন্ডারিং তো দুর্নীতির একটি পার্ট। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। আমরা বলেছি যেসব ব্যাংক বা ছোট ছোট আইল্যান্ড কান্ট্রি- সেগুলোতে সহজেই টাকা পাচারের বিষয় আছে। আমরা হুন্ডি নিয়ে কথা বলেছি। এগুলোতে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকা দরকার। এটি কোনো একটি দেশ বা সংস্থার পক্ষে শতভাগ দেখা সম্ভব না। আমি সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছি। কারণ এটা সমাজে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তবে সব দেশেই এটা একটা সমস্যা। এমন কোনো দেশ পৃথিবীতে নেই যেখানে এ ধরনের সমস্যা নেই, কমবেশি সব জায়গায় আছে।
রিচার্ড নেফিউ রোববার ঢাকায় আসার পর দুদকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। সোমবার তিনি প্রথমে মার্কিন দূতাবাসে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং পরে পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রিচার্ড নেফিউ মার্কিন কূটনীতি এবং বৈদেশিক সহায়তায় দুর্নীতি মোকাবিলায় কাজ করে থাকেন।
গত ৫ জুলাই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন তাকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের গ্লোবাল অ্যান্টি-করাপশন কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিযুক্ত করেন। রিচার্ড নেফিউ সরাসরি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রিপোর্ট করেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগদানের আগে রিচার্ড নেফিউ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর গ্লোবাল এনার্জি পলিসিতে সিনিয়র ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।