ঢাকা-১৭ আসনে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবিতে ইসিতে হিরো আলম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ জুলাই,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৪৪ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। ফাইল ছবি
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটের ফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। রোববার (২৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে আবেদন জমা দেন তিনি।
আবেদন জমা দেওয়ার পর হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, এ দেশে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নেই। আমি এই সরকারের অধিনে তিনটি নির্বাচন করলাম। ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছি, তখন মার খেয়েছি। ২০২৩ সালে বগুড়ায় উপনির্বাচন করলাম, সেখান মার খেলাম। আবার এখানে (ঢাকা) নির্বাচন করলাম, এখানেও মার খেলাম। তাহলে এই সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে আশা করি।
হিরো আলম বলেন, ১৭ তারিখে সুষ্ঠু কোনো নির্বাচন হয়নি। তারা জাল ভোট দিয়েছে, আমার কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে। ১২-১৩ বছরের ছেলে-মেয়ে ভোট দিয়েছে। একটা মেয়ে ১০-১৫টা করে ভোট দিয়েছে এবং তাদের জোর করে ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
‘সেই ভিডিও ফুটেসসহ আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আপিলের জন্য দিয়েছি। আমরা এই ফলাফল বাতিল চাই এবং পুনরায় নির্বাচন করার জন্য এখানে আজ আমরা এসেছি।’
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইসি থেকে কিছু বলা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, রিটার্নিং অফিসারকে আমি কাল (শনিবার) ফোন দিয়েছিলাম। তিনি আমাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর চিঠি দিতে বলেছেন। এই জন্য আজকে এখানে আপিল করলাম। এই আপিলের শুনানি আমরা দেখার অপেক্ষায় থাকি।
তিনি বলেন, সবাইকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা ভিডিও ফুটেজগুলো দেখবেন, সেদিনকার ভোটটা কত সুষ্ঠু হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ, স্পিকারকে অনুরোধ করব, আরাফাত ভাই যাতে শপথগ্রহণ করতে না পারে।
একই কেন্দ্রে দ্বিতীয় বার যাওয়ায় হিরো আলমকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। এই মন্তব্য নিয়ে হিরো আলম বলেন, ডিএমপি কমিশনার কিছু কথা বলেছে। আমি একই কেন্দ্রে নাকি দুইবার গিয়েছিলাম। আমি তাকে একটি কথা বলতে চাই, আপনি ভিডিও ফুটেজগুলো দেখবেন, আমি একই কেন্দ্রে দুইবার গিয়েছি কি না। আমার কথা হলো নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশ ভেতরে আসেনি।
‘আমি কেন আপনাকে বলে কেন্দ্রে ঢুকতে যাব। আপনি আমাকে নিরাপত্তা দেবেন। যখন আমাকে ঘুষি মারে, তখন উচিত ছিল তাদের বের করে দেওয়া। আমাকে নিরাপত্তা দিয়ে বাসায় তুলে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল। কিন্তু তারা দেয়নি।’
হিরো আলম আরও বলেন, যখন আমাকে মারধর করে, তখন বাইরে বিজিবি ছিল। আমি যখন জীবন বাঁচানোর জন্য বিজিবির কাছে গেলাম, একটা লোকও গাড়ি থেকে নামেনি। সেই হিসেবে আপনাদের বললাম, ডিএমপি স্যারের কথাগুলো খুবই দুঃখজনক, কষ্টজনক। তারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।