পেয়ারা চাষে ভাগ্যবদল করছেন পাহাড়ের চাষিরা!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ আগস্ট,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জমে উঠেছে বাংলার আপেলখ্যাত পেয়ারার বাজার। উপজেলার স্থানীয় বিভিন্ন হাঁট-বাজারগুলোতে আসে পূর্ব পাহাড়ি অঞ্চলে উৎপাদিত দেশীয় ও বিদেশি জাতের পেয়ারা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা এখানে পেয়ারা কিনতে আসে। সকাল থেকেই পেয়ারা কেনাবেচা শুরু হয়।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পেয়ারা কেজিদরে বিক্রি হলেও এখানে পাইকাররা ভারপ্রতি ২৫০০-৩০০০ টাকায় কিনে থাকে।
খুচরা বিক্রেতারা প্রতি ডজন বড় সাইজের পেয়ারা ৮০-১০০ টাকা, মাঝারি সাইজের পেয়ারা ৬০-৭০ টাকা এবং ছোট সাইজের পেয়ারা ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
এছাড়াও আঞ্চলিক সড়কে চলাচলরত যানবাহন থামিয়ে যাত্রীরা পেয়ারা ক্রয় করছেন। মৌসুম শুরু হওয়ায় বর্তমানে দাম কিছুটা বেশি। মাঝামাঝি সময়ে দাম কিছুটা কমলেও মৌসুমের শেষ দিকে আবারও পেয়ারার দাম বেশি হবে বলে জানান স্থানীয় কয়েকজন পেয়ারা বিক্রেতা।
বাঁশখালী উপজেলার পূর্ব পাহাড়ি অঞ্চলের সাধনপুর, পুকুরিয়া, পুঁইছড়ি কালীপুর, চাম্বল, জঙ্গল জলদী, শীলকূপ, এলাকায় পেয়ারার চাষ হয়ে থাকে। চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে পেয়ারা চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন। কেউ কেউ নিজস্ব জমিতে অল্প পরিসরে পেয়ারার চাষ করছেন।
এখানকার মাটি পেয়ারা চাষের জন্য খুব উর্বর। বৃষ্টির হলে পাহাড়ের মাটিতে পলি জমে। এর ফলে পেয়ারা চাষে রাসায়নিক সার প্রয়োগ ও গাছে কোনো রকম কীটনাশক ছিটানো প্রয়োজন হয় না বাগান মালিক ও চাষিদের। এ কারণে এই পেয়ারাকে স্বাস্থ্যসম্মত বা (অর্গানিক) পেয়ারা বলে। তাছাড়া চাষিরা ডাঁটা ও পাতাসহ পেয়ারা সংগ্রহ করায় ৪-৫ দিন অনায়াসে এ পেয়ারা সংরক্ষণ করা যায়।
বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সালেক জানান, পুঁইছড়ি এলাকায় পেয়ারার বাগান অনেক বেশি। এখানে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছে। পেয়ারা চাষ খুবই লাভজনক এবং উচ্চমূল্যের বাণিজ্যিক ফসল। প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষ করতে পারলে ফলন আরো বৃদ্ধি পাবে। ফলে লাভও বেশি হবে। বিশেষ করে থাই পেয়ারা-৫, থাইপেয়ারা-১০ এবং থাই স্পেশাল জাতের পেয়ারা গুলো বর্তমানে অধিক লাভজনক। পাহাড়ি পাদদেশে এ জাতের পেয়ারার চাষাবাদ হয়ে থাকে। উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলে পেয়ারা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। চাষিরা চাইলে কৃষি বিভাগ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে।