কোম্পানীগঞ্জে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল, ওসিসহ আহত ৭
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৯ এএম, ২৬ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান আনছার উল্যাহকে (৬৫) 'মারধর করার' প্রতিবাদে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল হয়েছে।
তবে ঝাড়ু মিছিল পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশ পুলিশী বাধায় পন্ড হয়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংঘর্ষে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ রোমেনসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজার এলাকায় কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কাদের মির্জার ভাগনে সিরাজিস সালেকিন রিমনের সমর্থকরা।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাঁকড়া গ্রামে এক কুলখানি অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আনছার উল্যাহকে মারধর করার অভিযোগ উঠে কাদের মির্জার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কাদের মির্জার মুঠোফেোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ রোমেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এ সময় ২ পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ তাদের বামনী বাজার থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় ২ পক্ষের লোকজনের হামলায় তিনিসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হন।
সাজ্জাদ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা আনছার উল্যাহর অভিযোগ, তিনি আগে থেকেই কুলখানি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পরে কাদের মির্জা সেখানে পৌঁছালে তিনি দূরে সরে গিয়ে দাঁড়ান। খানিকক্ষণ পর কাদের মির্জা বসা অবস্থা থেকে উঠে এসে ভোট চুরির অভিযোগ তুলে তাকে চড় মারতে থাকেন।
এ ব্যাপারে রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কাদের মির্জার ভাগনে সিরাজিস সালেকিন রিমন বলেন, 'ভোটে আমার পক্ষে কাজ করায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক আনছার উল্যাহকে মারধর করেন কাদের মির্জা। এ ঘটনা শুনতে পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমি তাকে দেখতে যাই। ভুক্তভোগী আমাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'