বাফুফে সভাপতিকে দুই নাম্বার ও নির্লজ্জ বললেন ব্যারিস্টার সুমন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ এপ্রিল,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:২৭ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
নারী ফুটবল দলের মিয়ানমার সফর বাতিল নিয়ে বর্তমানে সরগরম দেশের ক্রীড়াঙ্গন। যার জন্য কথা শুনতে হচ্ছে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ বাকিদের। এবার নারী দলের মিয়ানমার সফর ইস্যুতে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে দুই নাম্বার ও নির্লজ্জ বললেন ব্যারিস্টার সুমন। সেই সঙ্গে পুরো কমিটিকে এক হাত নিলেন তিনি।
ব্যারিস্টার সুমন জানান, আমি গত কয়েকবছর ধরে ফুটবল ফেডারেশনের যে ব্যর্থতা, বাংলাদেশের ফুটবল যে এতো নিচে নেমে গেছে বার বার বলার চেষ্টা করেছি, শত শত জায়গায় ফুটবল খেলতে গিয়ে হাজার হাজার মানুষের সামনে বলেছি যে এই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন যার নেতৃত্বে কাজী সালাউদ্দিন এবং সালাম মোর্শেদী গং তারা সবাই ব্যক্তি স্বার্থে শুধু ফুটবলটাকে কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য যা যা করার কখনো এমপি হওয়ার, মন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করা। তারা ফুটবলকে ব্যবহার করে সবই হচ্ছেন। কিন্তু ফুটবলটা কোনভাবেই উন্নতি হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমি এতবার বলার পর দেখেন আল্লাহর কি কুদরত, আজকে মেয়েদের এই দলটাকে যখন মায়ানমারে পাঠাইতে ব্যর্থ হলো মাত্র ২০ লাখ টাকার জন্য যখন প্রধানমন্ত্রী নজরে আসলো, এখন কিন্তু আস্তে আস্তে বের হয়ে আসছে এর মূল কারণ।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীও কিন্তু বলেছেন যে তারা এই ধরণের দুই নাম্বারি করছে এবং আমি বার বার বলেছি যে, দুই নাম্বারি করা যাদের স্বভাব এবং এরকম নির্লজ্জ মানে বছরের পর বছর আমার একটা ফেডারেশন দিন দিন নিচের দিকে যাবে অথচ আমি এই জায়গায় থেকে যাব।
সভাপতি হিসেবে টাইট ফিট শার্ট পরে ইংলিশ বাংলা মিলিয়ে কথা বলা আর বাংলাদেশের ফুটবল দিন দিন নিচের দিকে যাওয়া। কথায় কথায় বলা আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং আমার ব্যাপক ব্যাকগ্রাউন্ড আছে।
বাফুফে সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আরে আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড, শিক্ষা আর অ্যাডুকেশন দিয়ে কি করবো যদি আমার কোনো কাজে না লাগে। শুনেন এখনো সময় আছে আমি বলি যে ফুটবল থেকে যতদিন পর্যন্ত এদেরকে বিদায় না দিবেন এবং ভালো লোককে যতদিন পর্যন্ত না আনবেন, কাজের লোককে যতদিন পর্যন্ত না আনবেন ততদিন ফুটবল কখনো আগাবে না।
এসময় ফুটবলের কফিনে এখন লাস্ট পেরেকটা মারা বাকি উল্লেখ করে সুমন বলেন, আশা করি এরা যদি আর কিছুদিন থাকে তাহলে ফুটবল বলে বাংলাদেশে আর কিছু থাকবে না।
তবে এটা তো হতে দেয়া যায় না। যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর নজর এখানে ইতোমধ্যে পড়ে গেছে আমার বিশ্বাস কোনও না কোনও পথ আমরা এখান থেকে পাব। আর আমার বিশ্বাস যে বাংলাদেশ ফুটবলের আগের যে ঐতিহ্য সেটা ফিরিয়ে আনতে পারব।