৬৫ ওভারের আগে কেন বোলিংয়ে এলেন না সাকিব
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ এপ্রিল,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:১৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
দলের অধিনায়ক ও সফলতম বোলারের এত পরে বোলিংয়ে আসা এবং স্রেফ ৩ ওভার বোলিং করা নিয়ে জন্ম হয় অনেক প্রশ্ন ও কৌতূহলের। প্রথম সেশনের শেষ দিক থেকে যে প্রশ্নের জন্ম, পরে তা ভেসে বেড়াল দিনজুড়েই। সেই প্রশ্নের উত্তর পুরোপুরি পাওয়া গেল না দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনেও। সাকিব আল হাসান কেন এত দেরিতে বোলিংয়ে এলেন, কেন স্রেফ তিন ওভারই বোলিং করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক!
তিন পেসার নিয়ে একাদশ সাজালেও মিরপুর টেস্টের একাদশ ওভারেই স্পিন আক্রমণে আনেন সাকিব। বল তুলে দেন তিনি তাইজুল ইসলামের হাতে। চতুর্দশ ওভারে আরেক প্রান্তে বোলিংয়ে আনেন তিনি মেহেদী হাসান মিরাজকেও।
এরপর বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি বোলিং করেন এই দুই স্পিনারই। কিন্তু প্রথম দুই সেশনে আক্রমণে দেখা যায়নি সাকিবকে। বিশেষ করে যখন চতুর্থ উইকেটে ভালো জুটি গড়লেন হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্পার, তখনও তার বোলিংয়ে না আসা বেশ বিস্ময়ের জন্ম দেয়।
শেষ সেশনের প্রথম ১০ ওভারেও তাকে দেখা যায়নি বোলিংয়ে। তাইজুল-মিরাজরা খারাপ করছিলেন না অবশ্যই। তবে দলের অধিনায়ক, সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও সফলতম বোলারের এতটা সময় বোলিং থেকে দূরে থাকা প্রবল কৌতূহল জাগানিয়া বটে। অবশেষে ৬৬তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন তিনি। শুরু করেন মেইডেন দিয়ে। তবে এরপর আর স্রেফ দুই ওভার বোলিং করেন তিনি।
তাইজুলের ৫ উইকেট আর মিরাজের ২ উইকেটে আয়ারল্যান্ডকে ২১৪ রানেই আটকে দেয় বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দলকে প্রথম দিনে এই রানে গুটিয়ে দেওয়াটা বেশ ভালো সাফল্য অবশ্যই। সাকিবের বোলিংয়ের সেখানে প্রয়োজন হয়নি। তবে সাকিব আরও আগে আক্রমণে এলে আইরিশদের ইনিংস আরও কমে থামতে পারত কি না, এই প্রশ্নও অযৌক্তিক নয়।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাইজুলের কথায় অন্তত বোঝা গেল, কোনো চোট সমস্যা ছিল না সাকিবের। “তেমন কোনো কারণ আমাদেরকে বলেননি (আগে বোলিংয়ে না আসার) … হয়তো আমাদেরকে দিয়েই উনার করানোর ইচ্ছে ছিল, হয়তো বা আমরা বেশি সমস্যায় পড়লে উনি আসতেন।” বোলিংয়ে না এলেও অন্য স্পিনারদের পরামর্শ দিয়ে সাকিব সহায়তা করেছেন বলে জানালেন তাইজুল।
“অধিনায়ক তো সবসময় অবশ্যই দলের ভালো চাইবেন। যদি ভুল কিছু হয়, অবশ্যই পরামর্শ দেবেন। মাঠের পরিস্থিতি অনেক ভালো বোঝেন উনি। যখন যেটা শেয়ার করা দরকার, তা করছিলেন। আর আমাদের ওপর আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই উনি আমাদেরকে দিয়ে (বোলিং) জিনিসটা করিয়েছেন।”