শততম ওয়ানডেতে শতাধিক রানের পরাজয়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ মার্চ,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:১৭ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
প্রত্যাশা ছিল নিজেদের প্রিয় ফরম্যাটে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে হবে সিরিজ নির্ধারণী ‘ফাইনাল’। কিন্তু কোথায় কী? মিরপুরের উইকেট আজ ব্যাটারদের পক্ষে কথা বললেও বাংলাদেশি ব্যাটাররা সেই কথা শুনতে পাননি। তাই টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়াতে হয়েছে টাইগারদের। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হেরেছে ১৩২ রানে। ৬ বছর ৪ মাস পর দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। এটা ছিল মিরপুর শেরে বাংলায় টাইগারদের শততম ওয়ানডে ম্যাচ। আর সব মিলিয়ে মিরপুর স্টেডিয়ামের ২০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশ। স্যাম কারেনের করা প্রথম ওভারেই ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে ফিরেন দুই ইনফর্ম ব্যাটার লিটন কুমার দাস এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৯ রানে সেই কারেনের বলেই ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিম (৪)। দলকে এই পরিস্থিতি থেকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান। যাদের মাঝে দীর্ঘদিন ধরেই কথাবার্তা বন্ধ। দুজনের জুটিতে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৩৫ রানে সাকিবকে এলবিডাব্লিউ দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়ার পরের বলেই বাউন্ডাই মেরে জবাব দেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত ২১তম ওভারে তামিমের বিদায়ে ভাঙে ৭৯ রানের এই জুটি।
মঈন আলীর বলে বাজে শটে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৬৫ বলে ৩৫ রান করা তামিম। এরপর সাকিব ৬৯ বলে তুলে নেন ফিফটি। অবশেষে বাংলাদেশের অল-রাউন্ডারকে থামান আদিল রশিদ। স্যাম কারেনের তালুবন্দি হয়ে শেষ হয় সাকিবের ৬৯ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৮ রানের ইনিংস। ৩৪তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দেড়শ ছাড়ায়। এরপর মাহমুদউল্লাহ আর (৩২) আর আফিফ হোসেনকে (২৩) ফিরিয়ে জোড়া শিকার ধরেন আদিল রশিদ। বাংলাদেশের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। আদিল রশিদের চতুর্থ শিকার হওয়ার আ্গে মিরাজ করেন ৭ রান। শেষদিকে তাসকিনের (২১) ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ব্যবধান কিছু কমে। ৪৪.৩ ওভারে ১৯৪ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। স্যাম কারান নেন ২৯ রানে ৪ উইকেট, আর ৪৫ রানে ৪ উইকেট আদিল রশিদের। বাংলাদেশ হারে ১৩২ রানের বড় ব্যবধানে।
এর আগে আজ শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩২৬ রান তোলে ইংল্যান্ড। ধীরগতির শুরুর পর দলীয় ২৫ রানে তাসকিনের বলে ফিরেন ফিল সল্ট (৭)। প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড মালানকে আজ ১১ রানেই থামান মেহেদি মিরাজ। জেমস ভিন্সকে (৫) থামান তাইজুল। তবে থামানো যায়নি ওপেনার জেসন রয়কে। তবে জেসন রয়কে থামানো যাচ্ছিল না। ৫৪ বলে পূরণ করেন ফিফটি। এরপর ১০৪ বলে ১২ চার ১ ছক্কায় তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বাদশ সেঞ্চুরি। এরপর তিনি আরও বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন। অবশেষে ৩৬তম ওভারে তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে ১২৪ বলে ১৮ চার ১ ছক্কায় জেসন রয় করেন ১৩২ রান।
এরই সঙ্গে ভাঙে অধিনায়ক জস বাটলারের সঙ্গে তার ৯২ বলে ১০৯ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। এরপর উইকেটে এসেই তাসকিনের বলে সাকিবের তালুবন্দি হয়ে ফিরেন উইল জ্যাকস (১)। ৫০ বলে ফিফটি পূরণ করেন বাটলার। ৬৪ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৭৬ রান করা ইংলিশ অধিনায়ককে দুর্দান্ত এক ফিরতি ক্যাচে থামান মিরাজ। ৪৮তম ওভারে ইংলিশদের স্কোর তিনশ ছাড়িয়ে যায়। তাসকিনের শিকার হওয়ার আগে ৩৫ বলে ৪২ রান করেন মঈন আলী। শেষদিকে স্যাম কারেন খেলেন ১৯ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৩* রানের বিস্ফোরক ইনিংস। ৬৬ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। মিরাজ নিয়েছেন ৭৩ রানে ২টি। সাকিব-তাইজুল নিয়েছেন ১টি করে। ৬৩ রান দিয়েও উইকেটশূন্য মুস্তাফিজ।