খুলনায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৮ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০৮ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
খুলনার সোনাডাঙ্গায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া চারজনকে আট বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (স্পেশাল পিপি) ফরিদ আহমেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস (পলাতক), শেখ শাহাদাত হোসেন (পলাতক), মো. রাব্বি হাসান পরশ, মো. মাহামুদ হাসান আকাশ, কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম (পলাতক) ও মো. মিম হোসেন। মামলার অপর চার আসামি অপ্রাপ্ত বয়স হওয়ায় তাদের আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি মোরশেদুল ইসলাম শান্তর সঙ্গে ভিকটিমের পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোবাইলে মাধ্যমে ভিকটিমকে ডেকে নেয় শান্ত। নগরীর সাহেবের কবর খানায় তারা মিলিত হয়। সেখান থেকে ভিকটিমকে নেওয়া হয় সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিহারী কলোনীর ভাড়া বাড়িতে। সেখানে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে শান্ত। শান্তর ভিডিওটি ধারণ করে উপস্থিত অন্যরা। পরে ধারণকৃত ভিডিওটি ভিকটিমকে দেখানোর পর ভয়ভীতি দিয়ে অন্যান্যরাও পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ভিকটিমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ধ্যায় ছেড়ে দেয়।
পরে ভিকটিম ঘটনাটি বড়বোনকে বললে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরদিন বড়বোন বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় ৯ আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক অভিযোগপত্র দেন। মামলায় ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।