হঠাৎ হাসপাতালে মাশরাফি, ছিল না ডাক্তার-কর্মচারী!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৫২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নড়াইল সদর হাসপাতালে ফের নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার ঝটিকা পরিদর্শন। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় মাশরাফির পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন না হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী। রোগীদের খাবারের নানা অনিময় শুনে মাশরাফি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিভিন্ন ওয়ার্ডে গেলে রোগীরা অভিযোগ করেন, গতরাতে হাসপাতালের মাত্র তিনজনকে খাবার দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি মানতে নারাজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আসাদ উজ-জামান মুন্সী। মাশরাফি বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করলে হেরে যান তত্বাবধায়ক।
হাসপাতালের এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিকেলের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেন সংসদ সদস্য মাশরাফি।
দীর্ঘদিন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। শনিবার সকাল ৮টায় তিনি আধুনিক সদর হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে তিনি সংশ্লিষ্টদের দেখতে পাননি। হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তত্ত্বাবধায়কে।
জানা যায়, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা হাসপাল পরিদর্শন এসে রোগীদের খাদ্যে অনিয়ম, রোগীদের ওষুধ না দেওয়া, চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সঠিক সময়ে হাজির না হওয়া। চিকিৎসক-কর্মচারীদের ছুটি না নিয়ে অফিসে না আসাসহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান। হাসপাতালের সংশ্লিষ্টদের না দেখে রোগীদের ওয়ার্ডে যান। এ সময় রোগীরা বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজাকে।
তত্বাবধায়ক ডা. আসাদ উজ-জামান মুন্সীর অনুমতি না নিয়ে বা কারো দরখাস্ততে তত্বাবধায়কের স্বাক্ষর নেই অথচ তিনি ছুটিতে রয়েছেন। ছুটি না মঞ্জুর করলেও ছুটি ভোগ করছেন কিভাবে? মাশরাফির এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তত্ত্বাবধায়ক।
এ বিষয়ে এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, 'হাসপাতালগুলোতে বিভিন্নস্থান থেকে গরিব মানুষ আসে দূর-দূরান্ত থেকে। তাদের খাবার দেওয়া হয় না, অফিস করেন না ঠিক মত চিকিৎসকরা। আমার রোগীদের খাবার-ওষুধ পায় না এটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।'
এর আগে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এমপি মাশরাফি সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে নানা অনিয়ম এবং চিকিৎসকদের অনুপস্থিত পান। সে সময়ে কয়েকজন চিকিৎসককে বদলি করে স্বাস্থ্য বিভাগ, এতে চিকিৎসক সমাজে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।