তৃতীয়বারের মতো খুলনার নগরপিতা তালুকদার আবদুল খালেক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ জুন,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:০৮ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) নেয়া ভোটের ফল অনুযায়ী খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) নগরপিতা হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক। বিপুল ভোটের ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো কেসিসি মেয়র হলেন তিনি। ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে সবকটির ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলে তালুকদার আব্দুল খালেক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট।
সোমবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে খুলনা জেলা শিল্প কলা একাডেমির হলরুম থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আলাউদ্দিন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা শুরু হয়।
এ নিয়ে তৃতীয়বার মেয়র হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এই প্রার্থী। এর আগে ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির কাছে হেরেছিলেন। ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো বাগেরহাট-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে খুলনা সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দ্বিতীয়বার মেয়র হন। বর্তমানে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক।
আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।
এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন পাঁচজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের শফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল আউয়াল, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকের এস এম সাব্বির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দেয়ালঘড়ি প্রতীকের এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক।
এদিকে, ফল ঘোষণা শুরুর কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরিশাল নগরীর চাঁদমারীর দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বরিশাল ও খুলনা সিটির ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন। একইসাথে আগামী ২১ জুন হতে যাওয়া সিলেট ও রাজশাহী সিটির ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এই ঘোষণা দেন দলটির আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
এ ছাড়া ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুই জন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।