পূর্ন শরিয়া প্রতিপালন করে কোরবানির আয়োজন করেছে ল্যাকেম্বার দেশী পাইকারী বাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ জুলাই,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১২:১৯ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
অস্ট্রেলিয়ায় মুসলিমরা মূলত কোরবানির টাকা জমা দেন যার যার এলাকার মুসলিম বুচার শপ বা মাংসের দোকানে। মাংসের দোকানিরা নিয়মমাফিক শহর থেকে দূরের খামারের মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় পশু জবাই, ভাগাভাগি প্যাকেট করে নিয়ে আসেন। এরপর টাকা জমার রশিদ দেখিয়ে ঈদের ২/১ দিন পর দোকান থেকে মাংস নিয়ে আসতে হয়। এইভাবে পশু কোরবানিতে পূর্ন শরিয়া প্রতিপালন হয় কিনা তা নিয়ে অনেকে সংশয়ে থাকেন। এই কারনে অনেকে আবার বন্ধু বান্ধব বা পরিজন নিয়ে বহুদূরের কোন খামারে গিয়ে সেখানে আগে থেকে কিনে রাখা পশু নিজেদের হাতে জবাই, কাটাকাটি করে মাংস নিয়ে আসেন। কিন্তু করোনা বিধি নিষেধ এর কারনে এই বছর এই ভাবে কোরবানী করতে পুলিশী ঝামেলা এবং মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হতে পারে। এই সব বিষয় মাথায় রেখে ল্যাকেম্বার সুপরিচিত দেশী পাইকারী বাজার পূর্ন শরিয়া প্রতিপালনের নিশ্চয়তা দিয়ে কোরবানির আয়োজন করেছে।
গরুর মাংস: প্রতি অংশে 350 ডলার
ছাগল: প্রতি 250 ডলার
মেষশাবক: প্রতি $ 270
প্রতিষ্ঠানটির কর্নধার লিপু মোর্শেদ জানান, ঈদের দিন সম্পর্কে মতপার্থক্য থাকায় আমরা মঙ্গলবার ও বুধবার উভয়দিনই শতভাগ ত্রুটিমুক্ত প্রানী দিয়ে কোরবানীর আয়োজন করব। প্রতি দিন সকাল ৯ টার পরে জবাই শুরু হবে যাতে ঈদের নামাজের পর কোরবানীর নিয়ম প্রতিফলিত হয় । মঙ্গলবার আমরা কেবলমাত্র সেই ক্লায়েন্টদের জন্যই পশু জবাই করব যারা মঙ্গলবার বুকিং দিয়েছিল এবং বুধবার আমরা বুধবারের জন্য বুকিং দেওয়া ক্লায়েন্টদের জন্য পশু জবাই করব।
তিনি আরো জানানএকজন কোরবানী দাতা কেবলমাত্র নির্দিষ্ট প্রাণীর অংশ পাবেন যা তার নামে জবাই করা আছে। কোরবানির পশুর গোশত খাওয়া সুন্নত তাই আমরা এটি নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত খেয়াল রাখব। কোরবানীর পরেরদিন শপ থেকে মাংস গ্রহনের ব্যাবস্হা থাকবে।
এই ব্যাপারে যে কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন 0449 661 470 or 0403 665 775 (Lipu) info@desipaikaribazar.com.au