‘তাজমহলের জমি আমাদেরই ছিল’ দাবি বিজেপি নেত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১২ মে,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫১ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ভারতে ফের আলোচনায় সম্রাট শাহজাহান নির্মিত সহধর্মিণী মমতাজের সমাধি ‘তাজমহল’।
সম্প্রতি তাজমহলের রহস্যঘেরা ‘২২ বন্ধ কক্ষ’ খোলার আবেদন জানিয়ে আদালতের দারস্থ হন ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা শাখার বিজেপি নেতা ড. রজনীশ সিং।
এবার তাজমহল যে জমির ওপর নির্মিত, সেটি নিজেদের ছিল বলে দাবি করলেন আরেক বিজেপি নেত্রী দিয়া কুমারী ।
দিয়া রাজস্থানের বিজেপির সংসদ সদস্য। তিনি জয়পুরের প্রয়াত মহারানি গায়ত্রী দেবীর নাতনি।
বুধবার গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে বিজেপির এই নেত্রী বলেন, ‘তাজমহলের জমি আমাদেরই ছিল। তাজমহল নির্মাণের জন্য জমি নেওয়ার বিনিময়ে জয়পুরের রাজা জয় সিংহকে সম্রাট শাহজহান ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন। জয়পুর রাজপরিবারের কাছে তাজমহলের ওই জমির নথিও রয়েছে। ’
দিয়া কুমারী জানান, জয়পুর পরিবারের কাছে একাধিক কেরক্ড রয়েছে, যা তিনি প্রয়োজনে সরবরাহ করবেন।
তবে জমির ক্ষতিপূরণ তার পরিবার গ্রহণ করেছিল কিনা তা তার জানা নেই বলেন জানান দিয়া কুমারী।
এ বিজেপি নেত্রী বলেন, সেই সময় বিচারব্যবস্থা ছিল না। তাই মোগল সম্রাটের বিরুদ্ধে গিয়ে আপিল করার কোনো সুযোগ ছিল না তার পরিবারের। তবে যেসব নথি রয়েছে, সেগুলো খতিয়ে দেখলেই সব কিছু পানির মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
অযোধ্যা শাখার বিজেপি নেতা ড. রজনীশ সিংয়ের সেই আবেদনের সঙ্গেও একমত হন দিয়া কুমারী।
বলেন, ‘তাজমহল নির্মাণের আগে সেখানে কী ছিল তা তদন্ত করা উচিত। জনগণের তা জানার অধিকার রয়েছে। জয়পুর পরিবারের কাছে জমির নথি রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে সেটি আদালতকে দেওয়া হবে।’
কয়েকজন ইতিহাসবিদের মতে, রাজস্থানের উদয়পুরের রাজারা মোগলদের বিরুদ্ধে লড়াই চালালেও জয়পুরের রাজপরিবার বরাবরই ছিল মোগল-ঘনিষ্ঠ। রাজা মানসিংহ ছিলেন সম্রাট আকবরের অন্যতম সেনাপতি। সেই সূত্রেই যমুনার তীরের ওই জমি মানসিংহের হাতে এসেছিল বলে জয়পুর রাজপরিবারের দাবি। উত্তরাধিকার সূত্রে সেই জমি নাকি পেয়েছিলেন রাজা জয়সিংহ। তিনিও মোগল দরবারে উচ্চপদে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ১৬৩১ সালে তাজমহল নির্মাণ করেন মোগল সম্রাট শাহজাহান। ২২ বছর ২২ হাজার কর্মী কাজ করেছিলেন এটি নির্মাণে। এর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছিল ১৬৫৩ সালে।
তাজমহল নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ১৯৬৫ সাল থেকে। ইতিহাসবিদ পিএন ওক তার বইতে দাবি করেছিলেন তাজমহলের আগে সেখানে একটি মন্দির ছিল। ২০১৭ সালে বিজেপি সাংসদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাঁথে তাজমহলকে তেজোমহল হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার, ওয়ান ইন্ডিয়া