ইউক্রেনে রাশিয়ার শীর্ষ জেনারেল নিহত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ মার্চ,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:০৩ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ইউক্রেনে রাশিয়ার এক শীর্ষস্থানীয় জেনারেল নিহত হয়েছে। দেশটিতে সামরিক হামলার প্রেক্ষাপটে এটি রাশিয়ার জন্য বড় ধরনের একটি বিপর্যয় বলে ধরা করা হচ্ছে। মেজর জেনারেল অ্যান্ড্রে সোখোভেটস্কি ছিলেন রাশিয়ার সেন্ট্রাল মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের ৪১তম কম্বাইন্ড আর্মস আর্মির ডেপুটি কমান্ডার। তিনি বৃহস্পতিবার নিহত হন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তার মৃত্যুর খবর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে তার সহকর্মী সার্গেই ফিফিলিয়ভ সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণাটি দিয়েছেন। রুশ ও ইউক্রেনের বিভিন্ন পোর্টালে খবরটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। একটি সামরিক সূত্র 'এক স্নাইপারের' হাতে ওই জেনারেলের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। ইউক্রেনে রুশ হামলার পর তিনিই নিহত সবচেয়ে বড় পদবির কর্মকর্তা।
বুধবার থেকেই রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনের দক্ষিণের কৃষ্ণসাগরের কাছে বন্দর শহর খেরসন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার কথা বলছিল। বৃহস্পতিবার স্থানীয় প্রশাসন নিজেরাই নিশ্চিত করেছে যে প্রায় তিন লাখ জনসংখ্যার শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। শহরের প্রশাসনিক সদর দফতর এখন রুশ সৈন্যদের নিয়ন্ত্রণে।
গত আট দিনের যুদ্ধে এই প্রথম ইউক্রেনের বড় কোনো শহর রুশ সৈন্যদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিল।
এরপর, অনেক সামরিক বিশ্লেষক বলছেন, নিপাহ নদী তীরবর্তী খেরসনের নিয়ন্ত্রণ রুশদের সামরিক কৌশলের দিক থেকে অনেক সুবিধা দেবে। কারণ এরপর সাগরপথে সৈন্য, অস্ত্র, সরঞ্জাম, রসদ নিয়ে এসে এই শহরকে ভিত্তি করে ইউক্রেনের ভেতরে ঢোকা সহজ হয়ে হবে রুশ সৈন্যদের জন্য।
গবেষণা সংস্থা রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইন্সটিটিউটের সামরিক বিশেষজ্ঞ ড. জ্যাক ওয়াটলিং বিবিসিকে বলেন, খেরসনের নিপাহ নদী ইউক্রেনকে কার্যত দুই ভাগ করেছে।
"এই নদীর তীরবর্তী শহরগুলো রুশরা একে একে দখল করতে শুরু করেছে। আর এর ফলে পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে মোতায়েন ইউক্রেনের সৈন্যদের কাছে পশ্চিম অঞ্চল থেকে রসদ সরবরাহে বাধা তৈরি করতে পারবে রুশরা।"
তিনি বলেন, এর পর রাশিয়া "পূর্বে মোতায়েন ইউক্রেনিয়ানদের রসদ এবং সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ করে দিতে শুরু করবে।" ক্রাইমিয়া থেকে ঢোকা রুশ সেনা ইউনিটগুলো দক্ষিণের ছোট-বড় অনেকগুলো শহরে অবরোধ তৈরি করেছে। মস্কো মনে করছে, ইউক্রেনে সামরিক সাফল্য অর্জনে এই অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপকূলীয় এই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হলে ইউক্রেনের বাকি অংশেরও সাগরে এবং বন্দরে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। তাছাড়া, রুশদের কাছে এই অঞ্চলটি চলে গেলে ক্রাইমিয়া এবং জাতিগত রুশ অধ্যুষিত ডনবাসের মধ্যে একটি সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হবে।