জেলখানাতেই কোরআনের হাফেজ হলেন ৬০৫ বন্দি!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ জানুয়ারী,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০১:০১ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
জেলখানা মানে অপরাধীদের বন্দিশালা। বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের ধরে এখানে রাখা হয়। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই বন্দিশালা বা জেলখানা রয়েছে। এসব জেলখানায় অপরাধের সাজা হিসেবে বন্দিদের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে থাকতে হয়। তবে এবার অনন্য নজির স্থাপন করল দুবাই কর্তৃপক্ষ। সে দেশের একটি কারাগারে বন্দিদের মধ্য থেকে ৬০৫ জনকে কুরআনের হাফেজ বানিয়েছেন জেলখানা কর্তৃপক্ষ। গত দুই বছরে ধর্মশিক্ষা প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে পবিত্র কোরআন হিফজ করেছেন এই ৬০৫ বন্দি।
জানা গেছে, ধর্মশিক্ষা প্রোগ্রামে পবিত্র কোরআন পড়তে ও শিখতে দুবাই পুলিশের শাস্তি ও সংশোধন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ বিভাগ নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে থাকে। এর অংশ হিসেবেই ৬০৫ বন্দি কোরআন হিফজ করার সুযোগ পায়।
এছাড়াও ২০২১ সালে ২৭৫ জন এবং ২০২০ সালে ৩৩৩ জন এই প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন।
দুবাই কারাবন্দিদের পুনর্বাসনে বিভিন্ন প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করে থাকে আরব আমিরাত সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় ধর্ম, খেলাধুলা ও পেশাদার বিষয়ক বিভিন্ন প্রোগ্রাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জানা গেছে, দুবাইয়ের এডুকেশনাল জোন, স্থানীয় ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কলেজের সহায়তায় বন্দিরা নিজেদের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করেন এবং নিয়মিত তাদের কাছে সর্বশেষ প্রকাশিত প্রয়োজনীয় সব বই সরবরাহ করা হয়।
আরব আমিরাতে বন্দিদের জন্য বিভিন্ন কোর্স ও প্রোগ্রামের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোর্স হলো সম্প্রদায়ভিত্তিক উদ্যোগ শিল্প কোর্স, গ্রাফিক ডিজাইন, ফিল্ম মেকিং, ইংরেজি ভাষা, চীনা ভাষা, রাগ নিয়ন্ত্রণ, চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের পথ, ক্রিয়েটিভ কোর্স ইত্যাদি।
এর আগে ২০২০ সালে সায়েন্টিফিক কোর্স থেকে উপকৃত হয়েছেন ১৭০ জন বন্দি এবং শিক্ষা কোর্স থেকে উপকৃত হয়েছেন ১৯১ জন বন্দি।
দুবাই পুলিশের শাস্তি ও সংশোধন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ বিভাগের পরিচালক মেজর জেনারেল আলি আল শামালি বলেন, এসব প্রোগ্রামের মাধ্যমে বন্দিদের দক্ষতা ও সক্ষমতার বিকাশ, পুনর্বাসন এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে শক্তিশালী করা। এসব প্রোগ্রামের প্রধান উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক ও মানসিক সমস্যার মোকাবেলা করা এবং বন্দিদের মুক্তির পর ভয় ও দ্বিধাদ্বন্দের বাধা অপসারণে সহায়তা করা, যেন বন্দিরা সহজেই সমাজের মূলধারায় পুনরায় সংগঠিত হতে পারে। সূত্র: খালিজ টাইমস, ইকনা